করোনামুক্ত হয়ে ফেরার পর আবার ছুটতে হচ্ছে হাসপাতালে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন ৩৮ বছর বয়স্ক গণমাধ্যমকর্মী আনিসুর রহমান। কিন্তু তার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি কর্মক্ষমতা ফিরে পাননি। তিনি বলেন, আমার এই দুর্বলতা দীর্ঘ সময় ধরে চলে। দেখা যায় কিছু দূর হাঁটলে হাঁটুতে ব্যথা করে। যদিও বিশ্রামে আছি এবং যথেষ্ট প্রোটিন খাচ্ছি, তারপরও এই জিনিসটা যাচ্ছে না।

আনিসুর রহমান বলেন, আমি মাঝে মধ্যে অনেক কিছুই মনে থাকে না। ধরেন, বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে বললাম, বাসায় আসো পানির কলটা ঠিক করতে হবে। কলিংবেলের শব্দ শুনে দরজা খুলে সিকিউরিটি গার্ডকে দেখে জিঙ্গেস করি, কী কারণে এসেছেন? তাকে যে আমি ডেকেছি সেটা ভুলে যাই। আমি হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি।

শুধু আনিসুর রহমান নন, তার মতো অনেকেই করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে ফেরার পর আবার অনেকেই ছুটছেন হাসপাতালে। হাসপাতালের পাশাপাশি মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞদের চেম্বারেও বাড়ছে লং কভিড ও পোস্ট কভিড রোগীর ভিড়। এরই মধ্যে হাসপাতালগুলোতে লং কভিড রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা সাজানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো হাসপাতালে পোস্ট কভিড ইউনিট চালু করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কভিডমুক্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর অনেকেরই ১৫ দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে পোস্ট কভিডের প্রভাবে আগের মতোই উপসর্গ দেখা দেয়। কারো শ্বাসের সমস্যা, কারো জ্বর-সর্দি-কাশি দেখা দেয়। এ ছাড়া লং কভিডের প্রভাবে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে, কিছুক্ষণের জন্য মনে না থাকা, অল্পতেই ঠাণ্ডা-হাঁচি-কাশি, শরীর ব্যথা, পায়ে ব্যথার উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে তাদের অবশ্যই হাসপাতাল বা মেডিসিনের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি এবং সব সময়ের জন্য নিজ নিজ ক্ষেত্রের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা দরকার।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুযায়ী কেউ যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর - তা গুরুতর বা মৃদু যাই হোকনা কেন - ১২ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও যদি রোগীর দেহে এমন অসুস্থতার লক্ষণ রয়ে যায়, যার কারণ হিসেবে অন্য কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না, তাহলে ধরে নিতে হবে তার 'লং কোভিড' হয়েছে।

ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার তথ্য অনুযায়ী লক্ষণগুলো হচ্ছে: চরম ক্লান্তি বা অবসন্নতা; শ্বাস নিতে কষ্ট বা হাঁপিয়ে ওঠা, হৃৎপিণ্ডের ঘন ঘন স্পন্দন বা বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা বা টানটান ভাব; স্মৃতি শক্তি বা মনঃসংযোগের সমস্যা - যাকে বলা হয় 'ব্রেন ফগ' বা বোধশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া; স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতিতে পরিবর্তন; হাড়ের জোড়ায় ব্যথা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনায় আক্রান্তরা সুস্থ হওয়ার পরও অনেকেই পোস্ট কভিডে আক্রান্ত হয়। তাই আমরা আরো আগেই আমাদের হাসপাতালে আলাদা করে পোস্ট কভিড ইউনিট চালু করেছি এবং সেখানে রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসাও চলছে। অনেকে ভর্তি হয়েই চিকিৎসা নিচ্ছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা পোস্ট কভিড ও লং কভিডের রোগীদের তথ্য পাচ্ছি। এটা বাড়ছেও। পোস্ট কভিডের প্রভাব অনেকেরই ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত চলতে পারে। এর পর ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো ঠিক হয়ে আসতে পারে। এছাড়া লং কভিডে যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, হার্টের রোগ ছিল তাদের সেগুলো আবার মাঝে-মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। ফলে তাদেরও সব সময়ের জন্য নিজ নিজ ক্ষেত্রের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা দরকার। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত চেকআপ ও ফলোআপও করতে হবে।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেছেন, আমরা এখন প্রতিদিনই পোস্ট কভিডের রোগী পাচ্ছি এবং সেটা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে অনেকেরই আগের মতো ফুসফুসের সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু এর যথাযথ কারণ এখনো বলা যায় না। ধারণা করা যায়—কভিড যেভাবে আক্রান্তদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সংক্রমিত করে, তাতে প্রথম দফায় সুস্থ হওয়ার পরও অনেকের ক্ষেত্রে অন্তর্গত ক্ষতির প্রভাব থেকেই যায় এবং দীর্ঘদিন থেকে যাবে হয়তো। এর মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সাপেক্ষে কারো উপসর্গ বেশি, কারো কম দেখা দিতে পারে।

   

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যের ৪ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো—

>> তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

>> প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

>> গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

>> গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে।

বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

;

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা, রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হো‌সেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হ‌লো।

উল্লেখ্য, ভান মুন নোয়াম বমের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীতে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

;

উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র দাবদাহে উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সেইসাথে প্রচণ্ড তাপদাহে নিয়মিত রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ, স, ম, ফিরোজ এমপি। কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা; গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে ’হেরিং বোন বন্ড প্রকল্প’ সম্পর্কে আলোচনা এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা, বন্যা ঝুঁকি, বজ্রপাত ইত্যাদি মোকাবেলার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়।

বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আণয়নের লক্ষ্যে ”বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর” এবং ”বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তুর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কমিটি।

বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবাহের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, তাপদাহে আবহাওয়া ঠান্ডা রাখার লক্ষ্যে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানো এবং উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বরিশালে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে হকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, বরিশাল হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বরুণ সাহা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আজিজ খোকন, বরিশাল হকার্স সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য মামুন,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল শেখ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন বরিশালের নাজিরের পোল থেকে সদর রোডের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তিন শতাধিক হকার সবজি ফল চটপটি ডিম কলাসহ বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে তাদের সংসার চালাত। এদের মধ্যে অনেকেই ২৫-৩০ বছর ধরে এসকল ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্দেশে প্রশাসনের অভিযানে এইসকল ব্যবসায়ী সদর এলাকায় কোথাও দাঁড়াতে পারছেন না। পুনর্বাসন ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এভাবে মানুষের পেটে লাথি মেরে কখনোই শান্তি-শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। বক্তারা অবিলম্বে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার বরাবর পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে।

;