ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুমার নদের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বালা পাড়া গ্রামের নিমতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যাদবপুর নিমতলা ও বালা পাড়া গ্রামের কুমার নদের খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে চাষ করে আসছেন একই গ্রামের সেলিম হোসেন। তবে গত বছরের ৬ই আগস্ট একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম ওই জমির একটা অংশ নিজের দাবি করে দখল করে নেয়।
এরপর থেকে গ্রামের সেলিম ও আমিরুলের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজন চলে আসছিল। তবে এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার আমিরুলের সমর্থকরা সেলিম হোসেনের সমর্থক চাঁদ ও মোজামকে মারধর করে। এই ঘটনা নিয়ে শনিবার রাতে সেলিম এর সকল সমর্থকরা মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১টার দিকে আমিরুলে সমর্থকরা সেলিমের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
এরপর দুই দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মশিয়ার রহমান, রাশেদ হোসেন, ঝন্টু মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, রিগান, সোহান মোল্লা, জানারুল, মোয়াজ্জেম, আজিজুর, মনিরুল, পিন্টু হোসেন, মোজাম শেখসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।
খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেলিম হোসেন জানান, আমি দীর্ঘদিন সরকারের কাছ থেকে খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগদখল করে আসছি হঠাৎ একই গ্রামের আমিরুল নামে এক ব্যক্তি এই জমি তার বলে দাবি করে। তার জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আমিরুল ইসলাম বলেন, নদের পাশে আমার জমি আছে। সরকার সেলিম হোসেনকে জমি ভোগ দখলের অনুমতি দিয়েছিল অনেক আগে। বর্তমান সরকার তাকে কোন অনুমতি দেয়নি। পুরনো অনুমতি দেখিয়েই তিনি জমি দখল করে আছে। নদের ওপরের জায়গায় আমার জমি আছে সেই হিসেবে আমি জমি দখল করেছি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, সংঘর্ষের পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। কোন পক্ষই মামলা করেনি।