দেশের স্থলায়তনে যুক্ত হচ্ছে ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা
চলতি বছর শেষে দেশের স্থালায়তনে নতুন যুক্ত হচ্ছে ২৫০ বর্গকিলোমিটার বা ২৫ হাজার হেক্টর নতুন জমি। ইতিমধ্যে গত চার বছরে ১৯ হাজার ৩৯৫ হেক্টর বা ১৯৩.৯৫ বর্গকিলোমিটার যুক্ত হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্ত হবে আরও ৫ হাজার ৬০৫ হেক্টর বা ৫৬.০৫ বর্গকিলোমিটার। যা মোট স্থলায়তন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯১০ থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৬০ বর্গ কিলোমিটারে উন্নিত করবে।
বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রকল্প অফিস বরিশাল সূত্র জানায়, দেশের ৯টি জেলার (পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার) ৬৭টি উপজেলায় ৬টি বনবিভাগের মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে নতুন চর জেগে ওঠার প্রক্রিয়া দ্রুত হওয়া, চরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনি/প্রাচীর নির্মাণ যা, সাইক্লোন, ঝড় জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্বন মজুদ বৃদ্ধি, আবাসস্থল এবং প্রজনন সুবিধার উন্নয়নের মাধ্যমে সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের জীববৈচিত্র্যের রক্ষার পাশাপাশি বৃক্ষ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে চরে ২৫,০০০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি, ১০০০ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান তৈরি এবং ৪০ হাজার বসতবাড়ির আঙিনায় বনায়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশীদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, বর্তমানে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এবং গলাচিপায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়, ভোলার চরফ্যাশন এবং মনপুরা, নোয়াখালীর হাতিয়া, চ্ট্টগ্রামের সন্দীপ এলাকার বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা চরে কাজ চলছে। এছাড়াও পিরোজপুর এবং কক্সবাজার এলাকায় রোডসাইড বনায়ন এবং বসতবাড়িতে বনায়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যা ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে।
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, দেশের মধ্যে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে ৭শ নদী। এর মধ্যে ৫৭টি নদী আন্তঃদেশীয়। যার ৫৪টি এসেছে ভারত থেকে বাকি তিনটি এসেছে মিয়ানমার থেকে। এসব নদী দিয়ে প্রতিবছর ১.৪ বিলিয়ন মেট্রিক টন মাটি বা পলি উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় জমে নতুন চরের সৃষ্টি করে। যার আয়তন প্রায় ৭-৮ হাজার হেক্টর বা ৭০- ৮০ বর্গ কিলোমিটার। এসব চর টিকিয়ে রাখতে হলে সামাজিক বনায়নের মতো করে চর বনায়ন ও সংরক্ষণের জন্য বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা জরুরি।
হারুন অর রশীদ আরও জানান, করোনার কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। একরণে প্রকল্পের কিছু কাজ বাকি থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য প্রকল্প মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির আবেদন করেছি। তিনি আশা করেন, আবেদন মঞ্জুর হবে।
উল্লেখ্য, দেশের মোট আয়তন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকি.মি. এর মধ্যে স্থলায়তন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯১০ বর্গকিলোমিটার বলে উল্লেখ করেছে Bangladesh.gov.bd।