১৪৮ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ময়মনসিংহে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী



উবায়দুল হক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে । ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে । ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ছয় বছর পর আগামী ২ নভেম্বর (শুক্রবার) ময়মনসিংহে আসছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যতবার ময়মনসিংহে এসেছেন ঠিক ততবারই মুঠো মুঠো উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন। এবারও প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ আসছেন ১৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলায় ৬৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৮২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে আনন্দে উজ্জীবিত দলীয় নেতাকর্মীরা। সাজসাজ রব বইছে গোটা ময়মনসিংহে। ঝকঝকে-তকতকে করে সাজানো হচ্ছে ময়মনসিংহ নগরীকে। রেকর্ড জনসমাগমের টার্গেট মাথায় রেখে প্রস্তুতি সারছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ১৫ লাখেরও বেশি জনসমাগম ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তারা।

জানা যায়, দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রায় তিন দশকের প্রাণের দাবি ময়মনসিংহকে বিভাগে উন্নীত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনও উপহার দেন এই সরকার প্রধান।

এদিকে বর্তমানে পুরোদমে ময়মনসিংহে বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো সদর দফতর গড়ে ওঠেনি। কেবলমাত্র বিভাগীয় সদর দফতরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে।

এরই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে এসে ৮২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তার মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহ বিভাগের নতুন বিভাগীয় শহরের ভিত্তিপ্রস্তর, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, বিভাগীয় সার্কিট হাউজ, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, বিভাগীয় স্টেডিয়াম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, আরআরএফ-ময়মনসিংহ রেঞ্জ, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন প্রকল্প প্রমুখ।

ময়মনসিংহ বিভাগবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এমন উপহারে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ময়মনসিংহ জেলার পাশাপাশি জামালপুর ও নেত্রকোনায় দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। এরমধ্যে জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়া একাধিক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী বাফার গোডাউন প্রকল্প ও শেরপুর-জামালপুর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ৬৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ২৮টি, নেত্রকোনা ও শেরপুরে ১৬টি করে ৩২টি এবং জামালপুরে ছয়টি প্রকল্প রয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলার উল্লেখযোগ্য গুলো হচ্ছে- কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর ময়মনসিংহ কার্যালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অফিস ভবন, ময়মনসিংহ বিএসটিআই অফিস ভবন, ময়মনসিংহ জেলায় নবনির্মিত জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি) ভবন, ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ৮১০ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ।

নেত্রকোনা জেলায় উদ্বোধন হতে যাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়াম, শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি-দুর্গাপুর সড়কে জারিয়া সেতু, আটপাড়া, মদন, দুর্গাপুর এবং কলমাকান্দায় উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ভবন।

শেরপুর জেলায় নকলা উপজেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), ঝিনাইগাতী এবং শ্রীবর্দী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ভবন, শেরপুর সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।

জামালপুর জেলায় উল্লেখযোগ্য হল- জেলার ইসলামপুর উপজেলায় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেলান্দহ উপজেলায় ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম ও জামালপুর পাসপোর্ট অফিস।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে চাঙা দলটির নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বরণ করে নিতে উন্মুখ হয়ে আছেন তারা। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু কন্যা ময়মনসিংহ সফরে আসছেন। আমরা কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ লাখ লোকের জনসমাগম ঘটিয়ে নেত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। নেত্রীর আগমনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত।’

   

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রয়োজনে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব বলেন তিনি।

পেনি ওং বলেন, আমরা অভিন্ন ভাগ্য গড়তে একসাথে কাজ করতে চাই। আন্তর্জাতিক আইন কানুন মেনে ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না। আমরা এই যাত্রায় সাথে থাকতে চাই।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একা সমস্যা নয়। আমরা এই সংকটের টেকসই সমাধান চাই। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বাড়াতে চায় দুই দেশ। মেরিটাইম সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে কারিগরি সহায়তা দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া। আমরা এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের একটি চমৎকার সম্পর্ক আছে। গেল ৫২ বছরের পথ চলায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি মসৃণ ৪ বিলিয়ন ডলারের বিজনেস বাস্কেট। যদিও সাইজে এখনও যথেষ্ট ছোট।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোটা ফ্রি ও ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস সুবিধা এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অব্যাহত থাকবে। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ, তিনটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া। মানবপাচার কমাতে একসাথে কাজ করবে দুই দেশ। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। মিটিগেশনে সরাসরি যুক্ত থেকে সহযোগিতা করতে চায়। কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ হয়েছে। আমরা দক্ষ জনশক্তি রফতানির পক্ষে। দুই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে চাই।

;

ব্যক্তিগত তথ্যের অব্যাহত ফাঁস আতঙ্কজনক: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও মোবাইল ফোনের কল ডেটা রেকর্ড (সিডিআর)-সহ নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয় ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরি ও অনলাইনে বিক্রয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (২১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানায় টিআইবি।

সংস্থাটি বলছে, নাগরিকের সংবেদশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা থেকে তথ্য পাচার, তাও আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আইডি ব্যবহার করে তথ্য চুরি ও অনলাইনে বিক্রয়ের ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কজনক। একইসঙ্গে তা দেশের সাধারণ নাগরিকের ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতের সাংবিধানিক অঙ্গীকারকে ভূলুণ্ঠিত করে। তথ্য ফাঁস এবং এর মাধ্যমে ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি জনগণের ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪-কে ঢেলে সাজিয়ে অতি দ্রুত পাস করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভিন্ন দুই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যের আইডি ব্যবহার করে এনটিএমসির সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কল ডাটা রেকর্ডসহ (সিডিআর) অন্যান্য গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করে অর্থের বিনিময়ে পাচার করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের আইডি ব্যবহার করে নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য পাচারে ঘটনাকে চরম উদ্বেগজনক উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিডিআর-এর মতো এমন ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। আমরা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে নাগরিকের জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য চুরির অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের।

সর্বশেষ এমন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের ঘটনা ঘটলো যা এই তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত, আবার এমন ব্যক্তিদের ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে এই তথ্য পাচার হয়েছে যারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য। অর্থাৎ, সরকার যে প্রক্রিয়া ও কারিগরি কাঠামোর মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষার নিশ্চিত করতে চায়, তার সক্ষমতা ও শুদ্ধাচারও প্রশ্নবিদ্ধ। অবস্থাদৃষ্টে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত হওয়া অমূলক নয় যে, ডিজিটাল দুনিয়ায় তথ্যের অপব্যবহার ও নজরদারিতে কোনো কোনো মহলের যে আগ্রহ ও তৎপরতা, সে তুলনায় একটি সঠিক ও কার্যকর উপাত্ত সুরক্ষাপ্রক্রিয়া ও কারিগরি কাঠামো তৈরিতে সরকারের আগ্রহ ও সক্ষমতা নেই। অর্থাৎ, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের গৃহীত যে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ও আয়োজন তা একদিকে যেমন ফাঁপা বুলি, অন্যদিকে তা ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ -এমন মন্তব্য করা মোটেও অত্যুক্তি হবে না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশের নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য চুরির ঘটনা সামনে আসে, কিন্তু তা রোধে কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত লক্ষ করা যায়নি। একইভাবে, সংবেদশীল তথ্যের চুরি ঠেকাতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করার কোনো উদ্যোগের কথাও জানা যায় না। সর্বশেষ এই তথ্য চুরির ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুটির সব ইউজার আইডি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁস ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত সকলকে গভীরতর তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করতে পারলে, এসব উদ্যোগ অর্থবহ হবে না।

আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর দুই কর্মকর্তার ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে নাগরিকের সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে বিক্রয়ের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪ এর খসড়া পর্যালোচনা করে আমরা বলেছিলাম, সরকারের অধীনস্ত সংস্থাকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থরক্ষার নামে জবাবদিহিহীনভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করার এখতিয়ার দেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

বিচারবিভাগীয় তদারকি ছাড়া সরকারি সংস্থাকে ডেটা সার্ভারে বাধাহীন অনুপ্রবেশের সুযোগ দিলে, তা অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি থাকবে এবং দিন শেষে এই ব্যতিক্রম চর্চাকেই আইনের মূল ধারা হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য পাচারের এই ঘটনা টিআইবির উদ্বেগের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। ফলে নাগরিকের গোপনীয়তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪ ঢেলে সাজিয়ে অতি দ্রুত প্রণয়নের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

;

পুরনো রূপে ফিরেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। রাজধানীর অলিগলি থেকে প্রধান সড়কে আগের মতোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চালকেরা। কোন রকম নিয়ম মানা তো দূরের কথা, আগের তুলনায় যেন তাদের রিকশার গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা রোধে গত ১৫ মে বিআরটিএ ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টাদের সভায় রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক যেন না চলে এমন নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নির্দেশনার পর পর তা বাস্তবায়ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কঠোর অবস্থান দেখা যায়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারণ মানুষ সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ বলছেন মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের একটা সুযোগ দেওয়া দরকার। এবং আইনের মধ্যে রেখে মূল সড়ক থেকে ভেতরে অলিগলিতে চালাতে দেওয়া যেতে পারে।

হঠাৎ ওবায়দুল কাদেরের এমন নির্দেশে অটোরিকশা চালকেরা পড়েন বিপাকে। তাই পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতে আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে গত দু'দিন রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলনের ডাক দেয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা। আন্দোলনের মুখে সরকারের অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আবারও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢাকায় চলাচলের অনুমতি পায়।

মঙ্গলবার (২১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কালশী এলাকা মোড়ে আবারও ফিরেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। কোন রকম আইন কানুন না মেনে আগের মতোই এলোমেলো ভাবেই চলছে এই বাহন। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে অনেকটাই অসহায় ও নীরব ভূমিকায়।

অটোরিকশা চালাক সালাউদ্দিনের কাছে উল্টো পথে আসার কারণ জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি অকপটে নিজের ভুল স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আসলে আমাদেরও অনেক দোষ আছে জানি। আমাদের বেশিরভাগ চালক সুযোগ পেলেই উল্টো পথে চলাচল করতে বেশি পছন্দ করে। এসময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে। কিন্তু আমাদের হুশ হয়নি।

ক'দিন রিকশা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে দুর্ভোগের কথাও জানান তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই অটোরিকশা চালক।

কালশী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর সড়কে যানজট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু গতকাল বিকেল থেকে আবারও তারা সড়কে আগের মতো বিশৃঙ্খলভাবে রিকশা চালানো শুরু করেছে। কারো কোন কথাই তাদের গায়ে লাগে না। দ্রুতগতির কারণে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাদের একটা নিয়মের মধ্যে এনে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া। নইলে এভাবে অবাধে রিকশা চলাচল করলে যানজট নিরসনে সরকারের কোন পদক্ষেপ কাজে দেবে না।

কালশী মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কামরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের এখানে যে পরিমাণে গাড়ি চলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এই সড়ক ব্যবহার করে উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, মিরপুর ডিওএইচএস-সহ প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি ও গণপরিবহন চলাচল করে। এর সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগ হওয়ায় ট্রাফিক সদস্যদের হিমসিম খেতে হয়। উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিয়ন্ত্রণ করতে যে পরিমাণে লোকবল দরকার আমাদের তা নেই।

তিনি আরও বলেন, সরকার যেহেতু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সুতরাং খুব শিগগিরই একটা নিয়মের মধ্যে আনা হবে। কয়েকদিন অপেক্ষা করুন আশাকরি প্রতিফলন দেখতে পাবেন।

;

দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে নিম্নমানের পণ্যের উপর নামি-দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি এবং পণ্যের গায়ে আগের কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্য লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২১ মে) নগরীর জিইসি ও ২নং গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স পবিত্র ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে নেমে ব্যবসায়ীদের এমন গরমিল দেখতে পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম।

কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের ৪নং গলির একটি দোকানে হিরো ক্রিম (দুগ্ধ জাতীয় খাবার পণ্য) নামে একটি নিম্ন মানের পণ্যের DANO ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন অনেকদিন ধরে। অন্যদিকে ফ্রেডস কোম্পানির ইঁদুরে খাওয়া চিড়ার প্যাকেটে পুনরায় লেভেল লাগিয়ে ভালো পণ্য হিসাবে বিক্রি ও প্রদর্শন করার অপরাধে ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভুক্ত অধিকার।

এর আগে পণ্যের গায়ে লিখা কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্যে লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে নগরীর জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর একটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমান বলেন, ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে আমার দেখতে পাই- কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের একটি দোকানে হিরো ক্রিম নামে একটি পণ্যের উপর DANO ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও ইঁদুরে খাওয়া চিড়ার প্যাকেট পুনরায় লেভেল লাগিয়ে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করছে তার জন্য ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাশাপাশি সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে, একটি পণ্যের দাম ১৪৫ টাকার উপর ১৫৫ টাকা মূল্য বাসানোর অভিযোগে জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার জরিমানা করে সতর্কও করা হয়। আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;