ধানের ফুলের সৌন্দর্য



রুহুল সরকার, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন আমন ধানের মৌসুম। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সবুজ রঙের ধান ক্ষেতের সমারোহ। রৌদ্র উজ্জ্বল আবহাওয়া মৃদু বাতাস বইছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে সদ্য বের হওয়া ধানের শীষ। দূর থেকে দৃশ্যটি ভালো লাগায় জমির কাছে গিয়ে দেখা মিললো ধান গাছের ফুলের।

ধানের ইংরেজি নাম Paddy, বৈজ্ঞানিক নাম Oryza Sativa এবং Graminea গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।

ধানের ফুল দেখতে কেমন এই প্রশ্ন করলে হয়তো বেশিরভাগ মানুষ উত্তর দিতে পারবে না!

সদ্য বের হওয়া ধানের শীষে সারিবদ্ধভাবে ঝুলে আছে সাদা রঙের ফুলগুলো। কাছে থেকে দেখলে এই সৌন্দর্য নজর কাড়ে। মাঠ জুড়ে ধানের জমিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ফুটে আছে ফুল যদিও পরাগায়নের ফলে বেশিরভাগ গাছে শীষ বের হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) সূত্রে জানা গেছে, ধান গাছের শীষ দন্ডের প্রশাখায় তুষ আবৃত ফুলকে ধান বলে।একেকটি শীষে ৫০ থেকে ৫০০টি পর্যন্ত ধান থাকতে পারে। তুষের দুটি অংশ থাকে বড় অংশটিকে লেমা এবং ছোট অংশকে পোলিয়া বলে। লেমা এবং পোলিয়া পুং স্তবক এবং স্ত্রী স্তবক অংশ ঢেকে রাখে। ধানে ৬টি পুংকেশর আছে এবং প্রতিটি পুংকেশরের মাথায় পরাগদানীতে অসংখ্য পরাগরেণু থাকে। ধানকে স্বপরাগায়ন জাতীয় উদ্ভিদ বলা হয়।

সকালের দিকে ধানের ফুল বেশি চোখে পরে। পরাগায়নও ঘটে দুপুরের মধ্যেই। ৪ থেকে ৫ দিন ব্যাপি ফুল ফোটে এরমধ্যেই পরাগায়ন হয়ে ধানে পরিণত হয়।

বাংলাদেশে আউশ, আমন ও বোর এই তিন মৌসুমে ধানের চাষ করা হয়। আবার বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের মৌসুমকেও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রবি মৌসুম ১৬ অক্টোবর হতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলা কার্তিক মাস হতে ফাল্গুন মাস। খরিফ-১ মৌসুম ১৬ মার্চ হতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাংলা চৈত্র মাস হতে আষাঢ় মাস। খরিফ-২ মৌসুম ১৬ জুলাই হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলা শ্রাবণ মাস হতে আশ্বিন মাস।

ছবি: বার্তা২৪.কম

ধান গাছের বৃদ্ধি পর্যায়কে ৩টি এবং জীবন চক্রকে ১১টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথম, দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায় (Vegetative Phase)
অঙ্কুরোদগম স্তর (Garmination Stage) ২-৩ দিন।
চাড়া স্তর (Seedling Stage)৩০-৪০ দিন।
রোপন ও পুনরুদ্ধার স্তর (Transplantating & Recovery Stage)৭-৮ দিন।
কুশি স্তর (Tillering Stage)৪০-৪২ দিন।

দ্বিতীয়, প্রজনন পর্যায় (Reproductive Phase)
কাইচ থোর (Panicle Initiation Stage) ৫-৭ দিন।
থোর স্তর (Booting Stage) ৮-১০ দিন।
শীষ বের হওয়া স্তর (Heading Stage) ৮-১০ দিন।
ফুল অবস্থা (Flowering Stage) ৪-৫ দিন।

তৃতীয়, পাকা পর্যায় (Ripening Phase)
দুধ অবস্থা (Milking Stage) ৮-১০ দিন।
ক্ষীর অবস্থা (Dough Stage) ৮-১০ দিন।
পরিপক্ব অবস্থা (Maturity Stage) ১০-১০ দিন।

দেশে চাষকৃত বিভিন্ন জাতের ধানের জীবনকাল গড়ে সর্বনিম্ম ৯৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৬৫ দিন।

ধান গাছের পরাগায়ন হয় বাতাসের মাধ্যমে। বীজ অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর ভ্রুণকাণ্ড ও ভ্রুণমূল যাথাক্রমে ধানের কাণ্ড ও গুচ্ছমূলে পরিণত হয়। কাণ্ড পর্বসন্ধি ও পর্বমধ্যে দ্বারা গঠিত। কাণ্ড থেকে উৎপন্ন পাতা একটি লম্বা পত্রফলক ও চ্যাপ্টা বৃন্তের সমন্বয়ে গঠিত। সর্বশেষ পাতাকে ধ্বজাপত্র বলে, যাতে থাকে শেষ পর্বমধ্যে বা যোগমঞ্জুরি।বাতাসের মাধ্যমে পরাগ সংযোগ ঘটার পর পরাগ ঝড়ে পরে। রাজীবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।

ছবি: বার্তা২৪.কম

ধান গাছের জীবন চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রিটিক্যাল (নিম্ন) তাপমাত্রার একটি স্কেল নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের জীবন চক্রের অঙ্কুরোদগম অবস্থায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চারা অবস্থায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুশি অবস্থায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, থোড় অবস্থায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ফুল ফোটা অবস্থায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর নিচে তাপমাত্রা চলে গেলে ফলনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এতে ফলন অনেক কমে যায়।

স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ধানে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ চিটা হয়। চিটার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে ধরে নিতে হবে থোড় থেকে ফুল ফোটা এবং ধান পাকার আগ পর্যন্ত ফসল কোনো না কোনো প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে, যেমন অসহনীয় ঠাণ্ডা বা গরম, খরা বা অতিবৃষ্টি, ঝড়, পোকা ও রোগবালাই।

ধানের জন্য অসহনীয় তাপমাত্রা হলো ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি। তবে ফুল ফোটার সময় ১-২ ঘণ্টা এ তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাত্রাতিরিক্ত চিটা হয়ে যায়।এছাড়াও ঝড়ো বাতাস হলে গাছ থেকে পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। এতে ফুলের অঙ্গগুলো গঠন বাধাগ্রস্ত হয়। আবার ঝড়ো বাতাস পরাগায়ন, গর্ভধারণ ও ধানের মধ্যে চালের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এতে ধানের সবুজ খোসা খয়েরি বা কালো রঙ ধারণ করে। ফলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে। খরার কারণে শীষের শাখা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিকৃত ও বন্ধ্যা ধানের জন্ম দেয়ায় চিটা হয়ে যায়।

   

ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ লিবিয়া থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। 

এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্য রাত সাড়ে চারটার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। 

দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিশরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন ওই ৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তারা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাতের মৃত্যু ঘটে।

নিহত ইয়াছিন আরাফাত ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে।

জানা যায়, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াঁতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু ঘটে।
মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে বিধি মোতাবেক সহযোগীতা করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীই ‘স্বজন’: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে ‘স্বজন’ সংজ্ঞায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পারিবারিক ফর্মূলা কী- নিজের ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী! এর বাইরে তো পরিবার হয় না! আমরা চাচ্ছি, ইলেকশনটা (নির্বাচন) যেন প্রভাবমুক্ত হয়! মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোটটা দিতে পারেন’!

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবারের অনেকে তো দীর্ঘদিন ধরে একটা জায়গায় আগে থেকেই নির্বাচন করেন। যিনি এমপি হয়েছেন, তার বহু আগে থেকেই হয়ত ইউনিয়ন বা উপজেলা চেয়ারম্যান তার স্ত্রী। তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিলো, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিলো, সেটা ঠিক না! কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। সবকিছু নিজেরাই নিয়ে নেবো, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, সেটা তো হয় না!

তিনি বলেন, সবাই দাঁড়াচ্ছে। দাঁড়িয়েছে। ইলেকশন করছে, এটার অর্থ হলো- নির্বাচনটা অর্থবহ করা।

কয়েকটি দলের নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। বর্জন করে কেন! কারণ, নির্বাচন করার মতো সক্ষমতায় তারা নেই। ‘পার্লামেন্ট ইলেকশন’ করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে, পরবর্তী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন! আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে, তখন তো ছুতো খুঁজতে হয়। ইলেকশন করলাম না, বাস্তবতা তো সেটাই! আমাদের দেশে তো সেটাই হচ্ছে! সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি জনগণকে দেখান, জনগণ তো নেবে না। রাজনীতি করতে হলে তো ঝুঁকি নিতেই হয়!

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৭৫-এর পরে আমাকে দেশে আসতে দেবে না। রেহানাকে তো পাসপোর্টটাও দেয়নি! যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার শুরু করেছিলেন জাতির পিতা, যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল, তারাই মন্ত্রী, উপদেষ্টা, ক্ষমতায়। খুনিরা ক্ষমতায়! ওই অবস্থায় তো আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বার বার আঘাত এসেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এটাই অনেকের কষ্ট। এতবার মারবার চেষ্টার পরও বেঁচে গেলাম কেন!

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই ‘উন্নয়ন’ হয়েছে, এ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বা কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাঙালিদের। আগে তো নাম শুনলেই বলতো ‘গরিব’, ‘ভিক্ষুকের জাত’, সেই দুর্নামটা ঘোচাতে পেরেছি কি না, সেটাই বড় কথা!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো অনেক দেশেই নির্বাচন হচ্ছে। আমরা দেখবো, সেখানকার মানুষ কী রকম ভোট দেয়। আমরা সেটাও দেখবো। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখী ও স্বচ্ছ করা!

আমরা এই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আর্থিকভাবে এটি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরনির্ভর ছিল। সেখান থেকেও মুক্ত করে স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছি। আলাদা বাজেট করে দিয়েছি।

;

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফুস বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতককে আটক করতে না পারলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ব্রাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা কেশবা জুগিপাড়ার মৃত শুরেন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।


প্রদক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সকালে গাছের ডাল কুড়ানোর সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময়ে দ্রুত গতিতে আসা মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দিলে বৃদ্ধা ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;