কটিয়াদীতে বনের বানর এখন শিকলবন্দী



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বানরের বিচরণ ছিল। কিন্তু এখন একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে বানর। বনায়ন না থাকা ও অনুকূল পরিবেশ, খাদ্যের অভাবে হারিয়ে গেছে বানর। এখন যাও কিছু রয়েছে তা শুধু পালিত। বিনোদন ও বানর খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়া হয়। একসময় যে বানর ছিল গাছগাছালিতে। কালের বিবর্তনে আজ হাতেগোনা কিছু বানর আছে তাও শিকলবন্দী বা খাঁচার মধ্যে। 

সম্প্রতি কিছু বানর দেখা যায়, তাও খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ বিনোদন দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন মেলা ও অনুষ্ঠানে এসব বানর নিয়ে বানর খেলা দেখানো হয়। ছোট ছেলে মেয়েরা বানর খেলা দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠে। করতালি দিয়ে অভিবাদন জানায়। কেউ কেউ কলা রুটি মুড়ি দেয় বানরকে খাওয়ার জন্য। এভাবেই কিছু টিকে আছে। 

জানা যায়, কটিয়াদী বাজারে একসময় প্রচুর বানর দেখতে পাওয়া যেত। বাজারের ভিতর গাছে এবং পাটের গোডাউনের উপরে এসব দেখতে পাওয়া যেত। বাজারে বিশাল মহামায়া বটগাছে ছিল বানরের অভয়ারণ্য। 

পাটের বাজারের জন্য বিখ্যাত ছিল কটিয়াদী বাজার। আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়েই বাজরটি। একসময় লঞ্চ, নৌকা, জাহাজ ভীড়ত ঘাটে। এছাড়াও সড়ক পথে ট্রাকে আসত পাট। কথিত আছে, নৌকা, লঞ্চ ও পাটের ট্রাকের উপর বসে বিভিন্ন স্থান থেকে বানর চলে আসত। পরে বাজার থেকে আর ফিরত যেত না। ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন খাবার ছিটিয়ে দিত। এভাবেই প্রচুর বানরের আবাসস্থল হয়ে উঠেছিল।

স্থানীয় প্রবীনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংগ্রামের আগে প্রচুর বানর ছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে বানর চলে আসত। ধীরে ধীরে বানরের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল। বাজারে ভিতরের গাছপালা কেটে ফেলা। পাকা স্থাপনা বৃদ্ধি, খাবারের অভাব, প্রকৃতি অনুকূলে না থাকার ফলে হারিয়ে গেছে বানর। এখন সবকিছু অতীত হয়ে আছে৷ নতুন প্রজন্মের কাছে কেবলই ইতিহাস।

কটিয়াদীর পাশ্ববর্তী মনোহরদীর রামপুর গ্রামে এখনো বানরের বিচরণ রয়েছে। সেখানে প্রচুর বানর রয়েছে। খাদ্য অভাবে সেখানেও কষ্টে আছে বানর।

   

গবেষক ছাড়াই চলছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান



আরিফুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইনফোগ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ, বার্তা২৪.কম

ইনফোগ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি গবেষণা সংস্থা আছে যার প্রধান কাজ হলো দেশের সড়ক ও মহাসড়ক নিয়ে গবেষণা করা। মাটি ও বিটুমিনসহ রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা করা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে চালু হওয়া এই সংস্থায় কখনোই কোনো গবেষক ছিলেন না এবং এখনও নেই।

প্রতিষ্ঠানটির নাম বাংলাদেশ রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরি। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আহসান হাবীব জানান, প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য গবেষণা করা। কিন্তু গবেষকের অভাবে, তাদের কাজ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

তিনি বলেন, সম্প্রতি তারা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এবং দেশ-বিদেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় মোট ছয়টি গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

আহসান হাবীব বলেন, “আমরা এখন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছি। আমাদের এটা করতে হচ্ছে, কারণ হল আমাদের বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে গবেষকের কোনো পদই নেই।”

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মতে, বাংলাদেশ রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরি নির্মাণ সামগ্রী এবং রাস্তার নকশার সব দিক নিয়ে গবেষণা, পরীক্ষা এবং পরামর্শ দেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে। যাতে করে সবচেয়ে উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করে এবং প্রয়োজনীয় মান নিশ্চিত করা যায়।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের মতে, “সার্কেলটি মাটির নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয় এবং নির্মাণ সামগ্রী সম্পর্কিত গবেষণা পরিচালনা করে।

এখন মাঠ পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারদের বাংলাদেশ রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে পদায়ন করা হয় এবং কয়েক বছর পরে তাদের আবার বদলি করা। আর এভাবেই চলছে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

 জনবল কাঠামোতে কখনো বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বা গবেষকের মতো পদই ছিল না বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। তিনি বলেন, কিছু গবেষকের পদ সৃষ্টির জন্য তারা মন্ত্রণালয়কে দুবার নতুন জনবল কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু জনবল কাঠামোগুলো র অনুমোদন পাওয়া যায়নি মন্ত্রণালয় থেকে।

 আহসান হাবীব জানান, মিরপুর এলাকায় পুরাতন সড়ক ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে নতুন সড়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সাসেক রোড কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-২ এর অধীনে এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত ভবনটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

“নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে কিন্তু গবেষণা পরিচালনার জন্য আমাদের কাছে কোনো গবেষক পদ নেই। আমাদের নতুন গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্যও গবেষকের প্রয়োজন হবে। কিন্তু আমাদের এখনও কোনো গবেষক নেই,” বলেন আহসান হাবীব।

 দেশের রাস্তা নির্মানের জন্য গবেষণা খুব দরকারি উল্লেখ করে, আহসান হাবীব বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

 আহসান হাবীব বলেন, ‘দেশের সড়ক-মহাসড়কে গবেষণা ও নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ ও উপকরণ ব্যবহার না করলে বিশ্ব এগিয়ে যাবে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়বো।

 তিনি বলেন, বর্তমানে তারা আর্লিংটনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে একটি গবেষণা করছেন। রাস্তা নির্মাণে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে হচ্ছে সেই গবেষণা। গবেষণার অংশ হিসেবে নগরীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাধে প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তার কিছু অংশ নির্মাণ করেছেন তারা।

 আহসান হাবীব বলেন, গবেষণার ফলাফল ইতিবাচক হলে তারা পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করবে।

এখন গবেষণা ও ল্যাবরেটরির কাজগুলো মাটি পরীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বিটুমিনসহ সড়ক নির্মাণের উপকরণ।

 বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, যে কোনো উন্নত দেশে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণের জন্য আলাদা গবেষণা শাখা থাকে। গবেষণার মূল প্রয়োজন হলো বিনিয়োগকে টেকসই করা। ফলস্বরূপ উন্নত দেশগুলো প্রতিনিয়ত গবেষণা কাজ পরিচালনা করে। কারণ নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপকরণ আসছে।

 “বাংলাদেশ রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরিটিও এই ধরণের চিন্তাভাবনা থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু, বছরের পর বছর ধরে এর সক্ষমতা বাড়ানো যায়নি,” বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান।

অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, উইংকে গবেষণা সহকারী মতো পদ তৈরি করতে হবে। সরকারকে গবেষকদের নিয়োগ দিতে হবে। দেশের সড়ক-মহাসড়ককে টেকসই করতে গবেষণা করাই হবে তাদের একমাত্র কাজ।

 “তারা স্বল্প বিনিয়োগে কিভাবে টেকসই সড়ক তৈরি করা যায় তা নিয়ে তারা গবেষণা করবে এবং রাস্তা নির্মাণে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা করবে," বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান।

 অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপপ্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এখনই ব্যাপক গবেষণা চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

“আমরা যদি বিনিয়োগকে টেকসই করতে চাই তবে আমাদের গবেষণা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই,” অধ্যাপক হাদিউজ্জামান।

যোগাযোগ করা হলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, তারা একটি নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করছেন, যাতে গবেষকদের পদ রাখা হচ্ছে।

 এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘আমরা অর্গানোগ্রামটি অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। অর্গানোগ্রামটি অনুমোদন হলে আমারা গবেষক পদে নিযোগ দিতে পারবো।’

;

গাড়িতে একাধিক মাইক দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
গাড়িতে একাধিক মাইক দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা

গাড়িতে একাধিক মাইক দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার ও ছবিযুক্ত টি-শার্ট ব্যবহার কর আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতিয়ার সাইদ ইরানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) উপজেলার আজাদীবাজার এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন তাকে জরিমানা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতিয়ার সাঈদ ইরানকে প্রচারণায় প্রতিটি গাড়িতে একাধিক মাইক এবং ছবি যুক্ত টি-শার্ট ব্যবহার করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৭ (ক) ও ২১ (১) ভঙ্গের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করলে একই বিধিমালার বিধি ৩২ অনুসারে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

তাপ কমাতে ঢাকায় নগর বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি শহরের সুস্থ ও বাসযোগ্য পরিবেশের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সবুজের প্রয়োজন। দেখা যায়, শহরে যে এলাকায় গাছ বেশি, সে এলাকায় তাপমাত্রা কম। তাই, তাপমাত্রা সহনীয় রাখতে ঢাকায় নগর বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার জন্য বিশেষ স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে কোথায় গাছ লাগাতে হবে, তা নির্ধারণ করা হবে।

রোববার (১২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জলবায়ু কর্মপরিকল্পনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও প্রাণবন্ত ঢাকা গড়তে জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ঢাকায় দুটি সিটি কর্পোরেশন থাকলেও ‘এক ঢাকা’ হিসেবে এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। দুই কোটি মানুষের নগরীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ‘এক ঢাকা’ ঘোষণা সময়োপযোগী। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে।

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ছবি- বার্তা২৪.কম

পরিবেশ মন্ত্রী তার বক্তৃতায় ঢাকার জলবায়ু কর্মপরিকল্পনার প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ঢাকাসহ সারাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং সবুজ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এস.এম. মাকসুদ কামাল, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল, সি৪০ শহরের নির্বাহী পরিচালক মার্ক ওয়াটস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বক্তব্য রাখেন।

 

;

কুড়িগ্রামের যে স্কুলে পাস করেনি কেউ!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (১২ মে) সকাল ১১টায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ফলাফল পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী দিনাজপুর বোর্ডের ৪টি স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম রয়েছে।

কুড়িগ্রামের ঐ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম হলো নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব সুখাতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে এবার মোট ৫ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো।

বিদ্যালয়টির ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব শতভাগ ফেলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে জুনিয়র পর্যায়ের (অষ্টম শ্রেণি) পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২০১২ সালের পর থেকে নবম দশম শ্রেণির পাঠদান পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলে ৫ জন পাস করে। বর্তমানে ঐ প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২০৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক সহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন। আগামী এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৯ম শ্রেণিতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব বলেন, শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ এবং করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় সেজন্য আমরা সচেতন থাকবো।

উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট ২২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৬ হাজার ৪৫৫ জন। মোট পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯১ জন।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল আলম শতভাগ ফেলের বিষয়ে বলেন, এসব স্কুলের বেতন বন্ধ হওয়া দরকার। প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠান চালায়। করোনা কাল শেষ হওয়ার ৩ বছর পরেও এসে করোনার দোহাই দেয়াটা অযৌক্তিক।

;