শীতেও দমেন না কৃষকরা
ভোরে কুয়াশায় আবৃত প্রকৃতি। নদীর চর এলাকায় ঠান্ডা পড়ছে অনেক। খোলা ফসলের মাঠে মৃদু ঠান্ডা হিমেল হওয়া শরিলে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। শিশিরে ভেজা দুর্বাঘাস ও ফসল। গ্রামের মানুষ শীতবস্ত্র পড়ে বের হচ্ছেন। কিন্তু কৃষকদের শরিলে যেন শীত লাগেনা। ফজরের পর পরই ছোটে চলেন ফসলের মাঠে। উৎপাদিত ফসল তুলে হাট-বাজারে বিক্রি করতে হবে। শীত হউক বা ঝড় তুফান হউক, কৃষকদের সংগ্রাম চলেছে অবিরত বিরামহীন।
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর চর এলাকায় গিয়ে কৃষকদের ব্যাস্ততা দেখা যায়।
সরেজমিনে ফসলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াশা জড়ানো মাঠে কৃষকেরা কাজ করছেন। কেউ হাটে বিক্রির জন্য ফসল তুলছেন। আবার কেউ নতুন ফসল রোপণ করছেন। কেউ নতুন ফসল রোপণ করার জন্য জমিতে হালচাষ করে প্রস্তুত করছেন। অধিকাংশ কৃষকের শরিলে শীতের ভারি কোন কাপড় পরতে দেখা যায়নি। গ্রামের পথ দিয়ে সাইকেলে করে এবং বাঁশ ও বেতের তৈরি ঝুড়ি দিয়ে মাথায় করে শাক সবজি হাটে নিতে দেখা যায়।
এসময় কথা হয় অনেকের সাথেই। তাদের মধ্যে কৃষক গনি মিয়া বলেন, 'শীতকালীন তরিতরকারি চাষাবাদ করছি। জমিতে লাউ ও বেগুন হয়েছে। এগুলো বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভোরে জমিতে আসছি।
আরেক কৃষক আবু হান্নান বলেন, 'ভাই আমাদের শরিলে শীত লাগে না। ভোরে এসেই কাজ শুরু করলে শরিল ঘেমে যায়, শীত আর শরিলে লাগেনা। তবে এখন ফসলের ভালো দাম পাচ্ছি, তাই শীত কুয়াশার কোন কষ্ট শরিলে লাগছে না।’