নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলজার মোহাম্মদের গাড়ী বহরে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা বহরে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে এবং বহরে যোগ দেওয়া কয়েক কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে বলেও জানা যায়।

গোলজার মোহাম্মদ ওই ইউপি'র বর্তমান চেয়ারম্যান। তার গাড়ী বহরে হামলার জের ধরে এলাকায় একাধারে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোলজার মোহাম্মদ। একইসাথে তিনি লক্ষ্মীপুর সদরের চরশাহী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তার দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগসহ এলাকাবাসীর অনুরোধে এবার ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি এলাকায় আসলে লোকজন আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেয়। এসময় নৌকা প্রার্থীর লোকজন ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি বহরের উপর অতর্কিত হামলা করে। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ সহ সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’

এসময় তিনি দৃঢ় প্রতয়ে বলেন, ‘চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন এখানে সুষ্ঠু হলে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা একই অভিযোগ তুলে জানান, চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে তৃণমূলের তালিকা পাঠাতে অনিয়ম করেছেন।

তারা অসৎ উদ্দেশ্যে যোগসাজশে ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তির নাম না দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম সহ তালিকা দিয়েছেন। যিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কখনও কোন খোঁজ নেননি। অথচ অনিয়ম করে এবার নৌকা প্রতীক অসাংগঠনিক ও কর্মী বিচ্ছিন্ন ব্যাক্তিকে দেওয়া হয়েছে।

তাই মনোনয়ন পুনঃবিবেচনা করে যোগ্য ব্যক্তির হাতে নৌকা তুলে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম, নুরুল হুদা বাচ্চু, সেলিম চৌধুরী, শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদস্য অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন স্বপন, জাবের হোসেন মানু, চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিল্লাত হোসেন, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো. বাবুল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক প্রমুখ।