মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অশান্তি নির্যাতন করার জন্য বিতাড়িত করেছে
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর অশান্তি, নির্যাতন করার জন্য বিতাড়িত করেছে। আর অন্যদিকে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে টি-১০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপী ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন ২০২১’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে এ সম্মেলন হবে। আমরা এর মাধ্যমে বলতে চাই শান্তি হলো আগামী দিনের পাথেয়। শান্তি হলে সারা বিশ্বে উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্ভরশীল বিশ্বে আমরা চাই স্থিতিশীলতা, চাই শান্তি। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শান্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বলে গেছেন, প্রত্যেক মানুষের একমাত্র প্রত্যাশা শান্তি। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে কেন গেছেন? কারণ শান্তির জন্য। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাংলাদেশ হবে পূর্বের সুইজারল্যান্ড।
কিন্তু বিশ্বে শান্তির বদলে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই আছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর অশান্তি, নির্যাতন করে তাদের বিতারিত করেছে। নির্যাতনের অন্যতম কারণ হল মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ, ধৈর্য দিনে দিনে কমে আসছে। যদি মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ থাকত, সব মানুষ এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এ ধারণা রাখতো তাহলে জাতি, ধর্ম, বর্ণের কারণে একে ওপরের নামে বিষোদগার করতাম না, অশান্তি সৃষ্টি করতাম না। দেশে দেশে সংঘাত হচ্ছে কারণ আমরা একে অন্যকে সম্মান দিতে জানি না, তাকে আপন ভাই-বোন হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না।
ড. মোমেন বলেন, পৃথিবীতে যখন এ মানুষের কথা চিন্তা করা হয়নি, ১৪৯২ সালে যখন আমেরিকা আবিস্কৃত হয়নি, সতেরশো খ্রিষ্টাব্দে যখন রেনেসা আসেনি তার বহু পূর্বে ১৪০৮ খ্রিষ্টাব্দে এ বঙ্গ ভূমে শ্রী চণ্ডিদাস বলে ওঠেন ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নেই’।