পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে: সন্তু লারমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ বড় কারাগারে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু আজ ২৪ বছর পর চুক্তি বাস্তবায়নের অবস্থা অনেক হতাশাব্যঞ্জক। গত ২৪ বছরে যে সরকারের আমলে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সে সরকারই অধিকাংশ সময় ক্ষমতায় আছে আজ অবধি। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একেবারেই থেমে আছে। পার্বত্য সমস্যা একটি রাজনৈতিক ও জাতীয় সমস্যা। যেহেতু এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা সেহেতু এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তার জন্যই চুক্তি করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার আগাওগাওঁস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেন, পার্বত্য সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকলেও চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তা সমাধান হতে পারেনি। আজ প্রশ্ন করতে হচ্ছে, সরকার কেন চুক্তি করেছিল? পার্বত্য সমস্যাকে সমাধানের জন্য নাকি, জুম্ম জনগণের অস্তিত্বকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য। পার্বত্য জনগণ তাদের ভূমির অধিকার, অস্থিত্বকে সুরক্ষার জন্যই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছিল। পাহাড়ের মানুষের যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে পাহাড়ের জুম্ম জনগণ সরকারের সাথে আলোচনায় আসতো না বলেও দাবি করেন তিনি।

আজকে পার্বত্য অঞ্চলে জুম্ম জনগণকে যেভাবে শোষন, বঞ্চনা ও নিপীড়ন করা হচ্ছে তা বলার ভাষা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ বড় ধরনের কারাগারে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ দু’টি পক্ষ। একটি পক্ষ যারা পাহাড়ের নিরীহ মানুষ যারা চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। আর আরেকটি পক্ষ সরকার এবং তার সাথে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষ। সেখানে সরকারের সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব ও দমন-পীড়ন তো আছেই। তা বর্ণনাতীত বলেও মনে করেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি চুক্তির বাস্তবায়ন চায় দাবি করে তিনি বলেন, জনসংহতি সমিতি চুক্তির আলোকে যে আইনগুলো প্রণীত হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন চায়। কিন্তু সরকার আজ জনসংহতি সমিতিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের নানাভাবে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। অনেক নেতাকর্মীকে আজ মামলা দিয়ে, হামলা করে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। বহিরাগত যে গরিব বাঙালিদেরকে জিয়াউর রহমান নিয়ে গিয়েছিল তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এখনো চলমান। তারা আজ পাহাড়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

পাহাড়ের জুম্ম জনগণকে তথাকথিত শৃঙ্খলা, নিয়ম কানুন মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা যেন এক ধরনের বড় কারাগার। তিনি আরও বলেন, সেখানে বলার অধিকার নেই, জীবিকার অধিকার নেই। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত পাহাড়ে আদিবাসী জনগণের জুম চাষ, আদা-হলুদ চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি সম্বলিত চিঠিরও সমালোচনা করেন তিনি। পাহাড়ে যে ধরনের সেনাশাসন চলছে বাংলাদেশের অন্য কোথাও নেই। পাহাড়ের মানুষ শান্তিপ্রিয় বলে এখনো অপেক্ষা করছে সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। চুক্তি যদি বাস্তবায়ন না হয় তবে পাহাড়ের ছাত্র যুব সমাজ নিশ্চয় রুখে দাঁড়াবে বলে মনে করেন তিনি। যে চুক্তি বিশ্বাস ও ভালোবাসা দিয়ে করা হয়েছিল তাতে সরকারের সততা ছিল কী না প্রশ্নও করেন তিনি।

বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৪ বছর পর চুক্তি নিয়ে যে আনন্দ উচ্ছাস থাকার কথা ছিল তা আজ নেই বলে আমার মনে হয়। জিয়াউর রহমান যখন চরভাঙা গরিব বাঙালিদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখন তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে আমরা বিরোধীতা করেছিলাম। পার্বত্য চুক্তিতে উপনীত হওয়ার সময় দু’টো দিক তুলে ধরেছিলাম। একটা হল- পাহাড়ে সামরিকায়ন বন্ধ করা এবং পুনর্বাসিত বাঙালিদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া। চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ও সবার হাস্যজ্জ্বল চেহারা ছিল। এটার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কো শান্তি পুরষ্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু আজ হয়ত সামরিক বন্দুকের জায়গায় অন্য কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই করোনার সময়েও অন্তত ২০টি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের কো-চেয়ার ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আমরা শান্তি চেয়েছিলাম বলেই চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি যা বাস্তবতা বলে দেয়। অন্তত শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে তার ন্যুনতমও বলতে পারি না। উল্টো একতরফাভাবে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে বলে আমরা দেখেছি। আদিবাসী মানুষের আদি জীবিকার উপরও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাদের সমাজ, সংস্কৃতি, পেশা, অর্থনীতি সবকিছুর উপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। একটা উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী যেটা করে সেটাই করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। পার্বত্য চুক্তি সরকারি চুক্তি নয়। এটি তারা রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক নৈতিকতা থেকেই করা হয়েছে। কাজেই এই চুক্তি বাস্তবায়ন না করাটা রাষ্ট্রবিরোধী বলেও মনে করেন বিশিষ্ট এই মানবাধিকার কর্মী।

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চুক্তি’র অন্যতম স্বাক্ষরকারী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্রবোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। এছাড়া অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের কো-চেয়ার এডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও বাংলাদেশ হিন্দু, বোৗদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ প্রমুখ।

   

শীতলক্ষ্যা নদীতে চাঁদাবাজি, আটক ৪ নৌ চাঁদাবাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে চাঁদাবাজি করার সময় ৪ চাঁদাবাজকে আটক করেছে সদর নৌ থানা পুলিশ। আটকরা হলেন- মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (১৯), মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), মোবারক হোসেন (৫৪) ও মো. শফিকুল ইসলাম (৪২)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত লাঠি ও চাঁদাবাজির নগদ ৮ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়।

সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, শান্তিনগর এলাকার মধ্যবর্তি স্থান থেকে চারজন চাঁদাবাজকে হাতে-নাতে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত দুইটি লাঠি ও চাঁদাবাজির নগদ ৮ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

;

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী- সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার সুযোগ পান। সাড়ে ৯টা থেকেই উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হয় এবং ১০টায় প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।

এদিকে পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, পরীক্ষা মানে পরীক্ষা, কারও কাছে দেখে শুনে বা অন্য কোনো উপায়ে পরীক্ষা দেওয়া নয়। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তার পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন, যা চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৪৬তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও কিছু বেশি।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বিষয়ে ৫২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

;

গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেছেন বলে স্বজনরা জানায়। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, 'মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।' 

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

;

ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার অ্যান্ডটি মোড়ে ভুট্টা বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সার বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন ভুট্টার ট্রাকের চালক জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমিহনী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বী (৩৮) ও তার সহকারী (হেলপার) একই এলাকার রেজওয়ান হোসেন (৩২)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, টিঅ্যান্ডটি মোড়ে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক ট্রাকের চালক-হেলপার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;