নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেছেন, কোনো সিন্ডিকেট বা চাঁদাবাজ যাতে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজশাহী মহানগরীতে পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২ মার্চ) আরএমপি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, রমজানে নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে মসজিদ, ইফতার বাজার, কাঁচাবাজার, শপিং মল, বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, ইফতারের সময় মানুষ যাতে দ্রুত ঘরে ফিরতে পারে, সে জন্য ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী, মার্কেট ও বাজার কমিটির নেতাদের যানজট এড়াতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং দোকানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বাজারের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কারা জড়িত, সে বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করতে বাজার কমিটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ও ক্যাবের সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, সবাইকে নৈতিকতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ভেজাল ইফতার তৈরি না করা, পলিথিন ব্যবহার না করা এবং রাস্তা দখল করে বাজার না বসানোর অনুরোধ জানান তিনি।
পুলিশ কমিশনার সবার সহযোগিতায় রাজশাহী মহানগরীতে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং যানজটমুক্ত নগরী গড়ে তোলা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. নূর আলম সিদ্দিকী, ডিজিএফআই, র্যাব-৫, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি, আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।