সিলেটের জাফলংয়ে অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে গর্তে মাটিচাপা পড়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহতের নাম হযরত আলী (৩০)। তিনি উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের তিতকুল্লী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় পাথর তুলতে ডাউকি নদীতে আসেন হযরত আলী। পাথর তুলতে পানির নিচে ডুব দিলে গর্তের উপর থেকে মাটি ধসে পানির নিচেই তিনি চাপা পড়েন। পরে কয়েকজন শ্রমিক মাটির নিচ থেকে হযরত আলীর লাশ উদ্ধার করেন।
বিজ্ঞাপন
গোয়াইনঘাট থানার ওসি পরিমল চন্দ্র দেব বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নদীতে ডুব দিয়ে পাথর তুলতে গিয়ে হযরত আলী নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর পল্টন থানার বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ভিপি নুরের দল গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দূর্ণীতি অনিয়ম, গুম হত্যা, ব্যাংক লুট, ভোট ডাকাতিসহ ফ্যাসিবাদী আচারণের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সুমনকে গ্রেফতার করেছে পল্টন থানা পুলিশ।
এরআগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন গণ অধিকার পার্টির কর্মী ও হামলায় চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া রুবেল। গুলিতে মামলার বাদীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার শাসনামলের বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতাদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের গুম, হত্যা, ব্যাংক লুট, ভোট ডাকাতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা চর্চার প্রতিবাদে গণ অধিকার পরিষদ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুরে শান্তিপূর্ণ মহা সমাবেসের আয়োজন করে। মামলার বাদী মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে আসামিদের নির্দেশ ও প্রত্যদক্ষ মদদে অজ্ঞাত ৩০০/৩৫০ জন ব্যক্তি ও পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যক্তিরা অতর্কিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বাদী রুবেল গুলি বৃদ্ধ হয়ে মঞ্চে লুটিয়ে পড়ি এবং তার ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রানে বেঁচে গেলেও তার ডান চোখর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায় এবং চোখের গঠনগত দিক থেকে ছোট হয়ে যায়। সেদিন মঞ্চে থাকা বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান সহ অনেকেই বুকে গুলি বিদ্ধ হয়।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, পল্টন এলাকায় ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আন্দোলনকারীদেও ওপর নৃশংসভাবে হামলা ও গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের মধ্যে শান্তিনগর এলাকার বাহিন্দা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান সুমন অন্যতম।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত পহেলা অক্টোবর শান্তিনগরে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। সুমন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
খাগড়াছড়িতে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময়ের স্থবিরতা কাটিয়ে আজ থেকে পর্যটকদের জন্য খোলা হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে সাজেক যেতে খাগড়াছড়ি শহরের কাউন্টার এলাকা পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখরিত।
গত ৮ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের খাগড়াছড়িতে ভ্রমণে বিরত থাকার পর আজ আবার চালু হওয়ায় খুশি ঘুরতে আসা পর্যটকরা। প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগে অনেকে এসেছেন বন্ধু বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে শুক্রবার ও শনিবারের জন্য আগাম বুকিং হচ্ছে সাজেক ও খাগড়াছড়ির হোটেল, কটেজ গুলো।
সাজেকের পাশাপাশি খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণাসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের পদাচরণায় মুখর হবে বলে আশাবাদী এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্তরা।
বগুড়া থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রানা বলেন, বাইকে করে সাজেকে আসার শখ ছিল অনেক দিন ধরে। আজ সুযোগ হয়েছে, আমরা বন্ধুরা খুব খুশি। আশা করি ভালো ভাবে ঘুরে আসতে পারব।
সাজেক পরিবহন কাউন্টারের লাইনম্যান আরিফ খান বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস পর আজ থেকে স্বাভাবিকভাবে সাজেক সড়কে পরিবহন চলাচল করছে। প্রথম দিনে ২৫ টির মতো পিকআপ ও জিপ সাজেকের উদ্দেশে গেছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পর্যটকরা যেন নিরাপদে সাজেকসহ জেলায় ভ্রমণ করতে পারেন সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। আশা করি আসন্ন পর্যটন মৌসুমে খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংস ঘটনার জেরে পর্যটকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
ইসলামি মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশের প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে শুধুই আলেম-ওলামাদের সম্মিলন ঘটেছে। যেখানে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আসতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভোর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়। এ সম্মেলন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ, নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল, সচিবালয় ও হাইকোর্টের সামনের দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দীর সামনে দিয়ে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিক যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিপুল পরিমাণ জনতার ঢলে রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে যানজট। গুলিস্তান, কাকরাইল, শাহবাগ, নীলক্ষেত সহ সোহরাওয়ার্দীর দিকে আসা প্রতিটি রাস্তায় ছিলো বিপুল ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতি।
মিরপুর থেকে আসা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি ইউনুস আদনান বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা তাকে দেশে এনে মুসলমানদের মধ্যে একটি বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের ইসলামী দাওয়াতের কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদসহ টঙ্গী ইজতেমায় বিভক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে অথচ দেশের অধিকাংশ আলেম-ওলামা সহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান তার বিপক্ষে। এমতাবস্থায় যদি তাকে দেশে আনার পায়তারা করা হয় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবার আশঙ্কা থেকেই আমাদের আজকের এই সম্মেলন।
এসময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাকে করে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাবার সামগ্রী ও পানি বিতরণ করতে দেখা যায়।
তেমনই একজন মিজান মিয়া। তিনি কামরাঙ্গিরচর থেকে এসেছেন সমাবেশে যোগ দিতে। আসার সময় নিজেরাই কয়েকজন মিলে টাকা উঠিয়ে দুই হাজার পিস পানির বোতল নিয়ে এসেছেন। এগুলো সম্মেলনে আসা মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করছেন।
মিজান মিয়া বলেন, অনেকেই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন এখানে। অনেকের হাতে হয়তো টাকা নেই, হেটে চলে আসছেন। এই গরমের মধ্যে তাদের সামান্য সাহায্য করার জন্যই এই চেষ্টা।
এর আগে, কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও সাধারণ জনগণকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন, এবং দ্বিতীয় পর্বে অন্য পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এই দাবি নিয়ে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা বিরোধিতা জানান এবং তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন যোগ দিতে ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড়। সম্মেলন কে কেন্দ্র করে পায়ে হেটে, নিজস্ব পরিবহন, বাস ও মেট্রোরেলে এদিন সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই জমায়েত হতে থাকা এ সম্মেলনটি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। যেখানে দাওয়াত ও তাবলিগ, কওমি মাদরাসা এবং দীনের হেফাজতের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
ইসলামি মহাসম্মেলন কে কেন্দ্র করে এদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভোর থেকেই সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়। বিপুল মানুষের ঢাকায় প্রবেশে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
এমতাবস্থায় সাইনবোর্ড, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, গাবতলি থেকে গণপরিবহন না পেয়ে পায়ে হেটেও সম্মেলনে যোগ দিতে আসতে দেখা যায়।
উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় বাস ও মেট্রোরেলেও। এদিন মিরপুর শেওড়াপাড়ায় অনেককেই বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে মেট্রোরেলে সম্মেলনে যেতে দেখা যায়। ফলে মেট্রোরেলেও ছিলো উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাই ছিলো না মেট্রোরেলে।
এর, আগে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও সাধারণ জনগণকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন, এবং দ্বিতীয় পর্বে অন্য পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এই দাবি নিয়ে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা বিরোধিতা জানান এবং তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।