মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

ছবি: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে বীর শহীদরা জীবন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। 

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেমন বাংলাদেশ গড়তে বীর শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছেন।  

তিনি বলেন, বৈষম্য ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তখন বাঙালীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করেছিলো পাকিস্তানীরা। আমাদের বঞ্চিত করতো সকল অধিকার থেকে। পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তান সাজাতো। এটা বাঙালী জাতি মেনে নিতে পারেনি। শোষণ আর বৈষম্যের প্রতিবাদেই প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। 

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা বৈষম্যের উর্ধ্বে উঠতে পারিনি, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি আমরা। এখন বাঙালী-বাঙালী বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বিদেশী গণমাধ্যমে আমরা জানতে পারি দেশ থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ও মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময় এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সর্বোচ্চ ত্যাগে যে উদ্দেশ্যে, তা এখনো সফল হয়নি। 

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ড. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ সামসুল হক, মোঃ বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।

 

   

‘মা হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক হলো মা। প্রতিটি সন্তানের জন্য মা হলো শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

রোববার (১২ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও স্বপ্নজয়ী মা’দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। পৃথিবীর সব ধর্মে মায়ের সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। সৃষ্টিকর্তা সন্তানদের মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন আমরা যারা আধুনিকভাবে চিন্তা করছি; বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালে তারা নাকি সমবয়সী সঙ্গ পাবে- এটা ভুল। তারা আমাদেরকে ছোট থেকে বড় করেছেন কখনও কষ্ট দেয়নি অথচ আমরা বৃদ্ধ বয়সে তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসছি। এ বয়সে তারা সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের কাছেই ভালো থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বাসায় যেতে আপনার ছেলে-মেয়েদের জন্য যে খাবার কিনে নিয়ে যাবেন বাবা-মার জন্যও তা নিয়ে যাবেন। তারা অনেক খুশি হবে। আপনার ছেলে-মেয়েও এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে।

মায়েদের উদ্দেশে শামীম আহমেদ বলেন, স্কুলের পরেও আপনার সন্তান বাইরে থাকছে, অপ্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করছে এবং খেলার মাঠে খেলাধুলা না করে মাদক সেবনে লিপ্ত হচ্ছে তাই সন্তানদের মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সজাগ থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে পাঁচ জন স্বপ্নজয়ী মা’দের ও পাঁচ জন শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের মা’দের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্ব মা দিবস পালন করা হয়।

;

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের ৩৪৪ মোবাইল উদ্ধার, কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানকৃত ৩৪৪ মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতার ১

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানকৃত ৩৪৪ মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতার ১

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৪৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। একই সঙ্গে চোরাচালানে ব্যবহৃতে একটি প্রাইভেট কার জব্দ ও চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। 

রোববার (১২ মে) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো, মোক্তার (৩৬)।

এম. জে. সোহেল বলেন, গতকাল শনিবার র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দেশের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনয়নকৃত ৩৪৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে একজন মোবাইল চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে চোরাচালানকৃত মালামাল বহনে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেট কার জব্দ এবং চোরাচালানকৃত ৩৪৪টি মোবাইল ফোন ও সমপরিমান চার্জার উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একজন মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ ভারত হতে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোবাইলের মার্কেট ও দোকানে সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

এআইকে স্বাগত জানালেও অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) স্বাগত জানায়, তবে এর অপব্যবহার রোধে কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা এআইকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোববার (১২ মে) গণভবনে বাংলাদেশে অ্যাপোস্টোলিক নুনসিও অব দ্য হোলি সি’র আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। আমরা সবাই মিলে আমাদের উৎসব উদযাপন করি।

শেখ হাসিনা আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের মাধ্যমে পোপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

আর্চবিশপ র‌্যান্ডাল জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বেঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিলো ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।

রোববার (১২ মে) সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭১ জন আর গত বছর পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন। ফলে গত বছর থেকে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে ১৯টি। এবারও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের টপকিয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ বছর ছেলে ২ হাজার ৫২৮ জন এবং মেয়ে ২ হাজার ৬০৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আগের বছর ছেলে ২ হাজার ৪৭০ ও মেয়ে ২ হাজার ৯৮২ জন।

এবছর ১ লাখ ৯ হাজার ৫৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ৯৭৩ জন। এদের মধ্যে ৮০ হাজার ৬ জন উর্ত্তীণ হয়েছে। ২৯ হাজার ৬৭ জন অকৃতকার্য হয়েছেন। গত বছর ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৩ হাজার ৩০৬ জন উর্ত্তীণ হয়েছিলো।

জেলাভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে সুনমাগঞ্জ ও সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে হবিগঞ্জ। সিলেটে পাসের হার ৭২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সুনামগঞ্জ ৭৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, মৌলভীবাজার ৭১ দশমিক ৭৭ শতাংশ , হবিগঞ্জের পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এ বছর শতভাগ পাসের হারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। গত বছর ২৩টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করলেও এবার ৩১টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের তালিকায় রয়েছে।

সিলেট পাসের হার তলানিতে থাকার কারণে হিসেবে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল হাওরাঞ্চল সুনামগঞ্জকে দায়ী করেন। কিন্তু পাসের হারে সিলেট বিভাগের মধ্যে দেখা যায় সুনামগঞ্জ জেলা সব থেকে এগিয়ে রয়েছে। ফলাফল বিপর্যয়ে করোনা পরিস্থিতিকে এখনো দায়ী করছেন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।

;