পনেরো বছর ধরে বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করেন লাভলু
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এই মাসে শুরু হয় জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম। বিজয়ের মাসে বাড়ির ছাদ, ঘরের বারান্দায়, এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতেও লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়।
অন্যান্য জেলার ন্যায় কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়ও দেখা যায় মৌসুমী পতাকা বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। তাদেরই একজন লাভলু। শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ে কথা হয় তার সাথে।
বিজয় দিবসকে সামনে রেখে প্রায় একমাস আগে পতাকা বিক্রি করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন লাভলু। বিজয় দিবসটিতে একটি বিশেষ মর্যাদা পায় জাতীয় পতাকা। সেই জাতীয় পতাকার যোগান দিতে নানা বয়সী মানুষের কাছে বিক্রি করেন বিভিন্ন সাইজের পতাকা।
লাভলু মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার নিলোখি ইউনিয়নের চরকামারকান্দী এলাকার বাসিন্দা। বাঁশের সঙ্গে বিভিন্ন সাইজের পাতাকা লাগিয়ে তিনি ঘুরে বেড়ান পুরো শহরে। সাইজ ও মানভেদে এসব পতাকার দামেও রয়েছে ভিন্নতা। একটি জাতীয় পতাকা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও জাতীয় পতাকা সম্বলিত মাথার ব্যান্ড, ও টেবিলে রাখা ছোট পতাকাও বিক্রি করেন তিনি।
লাভলু বলেন, প্রায় পনেরো বছর ধরে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের আগে একমাস দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে গিয়ে পতাকা বিক্রি করি। এবার কুষ্টিয়া শহরের একটি আবাসিক হোটেলে আমিসহ আরও ১৫ জন উঠেছি। চারজন করে একটি রুমে থাকি। দৈনিক ২শ’ টাকা করে দিতে হয়। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে হেঁটে এই পতাকা বিক্রি করি। এতে করে দিনশেষে ৪ থেকে ৫শ টাকা লাভ হয় বলেও জানান তিনি।
লাল সবুজের জাতীয় পতাকা বিক্রি করে আত্মতৃপ্তিতে পান বলে জানান তিনি।