নারায়ণগঞ্জে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে মৃত্যু বেড়ে ৩
নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেইটে লাইনের উপর থাকা বাস ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই পুরুষ। তবে নিহত তিনজনের কারোরই পরিচয় জানা যায়নি।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেইট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের দুইজন পুরুষের বয়স ৪৫-৫৫ বছরের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আরেক শিশুর বয়স আনুমানিক দশ বছর। দুর্ঘটনায় তার বা পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পা বিচ্ছিন্ন অবস্থাতেই প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই দুর্ঘটনায় দশজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাদের মধ্যে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন: নুরু (৪০), কাদের মোল্লা (৩৫), মেজান মিয়া (৬৫), মনা, মনির (২৬), শাকিল (১২), আমেনা বেগম (৩৫)। অজ্ঞাত আরও তিনজন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হামিদুর রহমান জানান, তারা দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। অন্তত ৪ জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি শাহ্ জামান বলেন, আনুমানিক পৌনে ছয়টাক দিকে আনন্দ পরিবহনের বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব: ১১-৪৩৭৪) সাথে ট্রেনটির সংঘর্ষ হয়। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে এসেছিল। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনের অদূরেই এই সংঘর্ষ হয়। ট্রেন চালককে এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক নম্বর রেলগেইটের ক্রসবারটি নামানো ছিল না। বাসটি ছিল রেললাইনের উপরে। স্টেশনের অদূরে দ্রুতগামী ট্রেনটির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেন লাইনের দুই পাশের অবৈধ কিছু স্থাপনাও ধমুড়ে মুচড়ে যায়।
ট্রেনের চালককে পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনার পরপরই ট্রেন চালক পালিয়ে যান। সাধারণত ক্রসিংয়ের সামনে এতো দ্রুত ট্রেন চলে না। তবে আজ ট্রেনটির গতি বেশি ছিল। এদিকে রেলের কোনো কর্মকর্তার তাৎক্ষনিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।