আবাসিক মাদরাসায় শিশু শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে আহত
লক্ষ্মীপুরে একটি আবাসিক মাদরাসায় আরাফাত হোসেন ওরফে মুরাদ (১২) নামের এক ছাত্র ঘুমের ভেতরে রহস্যজনকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে তার মাথা ও পায়ে ক্ষত হয়। তবে কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে কিছুই বলছে না এ শিশু শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আর্তনাদ করছে মুরাদ। প্রচন্ড ব্যাথায় কাতরাচ্ছে শুধু।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে গিয়ে তার এমন করুন দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। হাসপাতালের বেডে তার মা পাশে নিরূপায় হয়ে আছে।
এসময় তিনি দাবি করে জানান, শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি কোন ধরণের ক্যামিক্যাল তার মাথা ও পায়ে ছিটানো হয়েছে। এতে সে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ক্যামিকালে আহত হওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খবর পেয়ে বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম হাসপাতাল ও মাদরাসা পরিদর্শন করে।
মুরাদ জকসিন উত্তর বাজারে ‘দারুল মা-আলিফ হেফজ মাদরাসার’ হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীর মা মারজাহান বেগম জানান, তার ছেলে আরাফাত মাদরাসার আবাসিকে থেকে হাফেজ বিভাগে পড়ত। বুধবার সন্ধ্যার আগে শারীরিক ব্যাথা নিয়ে সে বাড়িতে চলে যায়। মুরাদকে মাদরাসায় নিয়ে এসে শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে কেউ কিছু বলতে পারেনি। নির্যাতনের কারণে ছেলেটিও কিছুই বলছেনা। অজানা কারণে সে খুব আতঙ্কিত হয়ে আছে। বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়েছে।
মাদরাসার শিক্ষককারী মাকছুদুর রহমান জানান, আরাফাত তাদের সাথে আসরের নামাজ পড়েছে৷ মাগরিবের আগে সে সকলের অগোচরে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। তবে কিভাবে তার শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, তা মাদরাসার শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কেউ অবগত নয়। এ বিষয়ে সকল শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল এবং মাদারাসায় পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।