শাস্তি নয়, সতর্ক করতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার (Earl R. Miller) বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য করা হয়েছে। 

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে একথা বলেন। এসময়ে তারা দুদেশের কৃষি, অর্থনীতি,  বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু  এবং সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেন। 

বিজ্ঞাপন

এসময় মার্কিন দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান ফ্রান্সিস উপস্থিত ছিলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএসএর মধ্যে কৃষিখাতে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইউএসএ বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) উন্নয়নে বেশ সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে কৃষি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। 

বিজ্ঞাপন

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএসএর মধ্যে কৃষিখাতে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুদেশের মধ্যে কৃষি বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন ইউএসএর কৃষি পণ্যের ২৬তম বাজার। সামনের দিনগুলোতে কৃষিখাতে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। 

মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি, আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিত ভাল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে নি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করেছে।  কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়তো ভুল করেছে, সেজন্য  ১৯০ জন র্যাাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে  রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে  সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলবেন। যাতে দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। 

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। আশা করি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সারাদেশই তাকিয়ে আছে। আমাদের সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আমরা মনে করি নির্বাচনটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই এই নির্বাচনে যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে, সমালোচনার সুযোগ না থাকে, সেটিই আমরা আশা করছি। 

তিনি বলেন, নির্বাচনে যে ফল আসবে সেটা যদি আমাদের বিরুদ্ধেও যায়, তা আমরা গ্রহণ করবো। একটা সিটি নির্বাচনে হেরে গেলে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু জনগণের বিজয় হবে।