দেশের ৪৯ উপজেলায় বিলুপ্ত প্রজাতির ছোট মাছ চাষ



তরিকুল ইসলাম সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগ্রহীত

ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলাকা ভিত্তিক দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় মাছ চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরন, শামুক ও ঝিনুক সংরক্ষণ এবং মুক্তাচাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য অধিদফতর বাস্তাবয়ন করছে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের তিনটি বিভাগের ১০ জেলার ৪৯ টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের মাহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশীয় ছোট মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এসব মাছ খাবার প্লেটে এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। নানা প্রাকৃতিক কারণে আজ এসব মাছ বিলুপ্তির পথে। এসব মাছের প্রয়োজনীয়তা এবং পুষ্টিমানের বিষয়টি বিবেচনায় এনে আমরা এলাকা ভিত্তিক ছোট মাছ চাষাবাদ ও সম্প্রারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও এ প্রকল্পে আওতায় খাঁচায় মাছ চাষ, ধানক্ষেতে মাছ চাষ, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মৎস্যচাষ প্রশিক্ষণ, নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্প এলাকায় ৩৯২ টি দেশীয় মাছ চাষ প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন, ৩১৪ টি পেনে মাছ চাষ প্রদর্শনী স্থাপন, ১০০ ইউনিটে খাঁচায় মাছ চাষ প্রদর্শনী স্থাপন, ৪৯ টি ধানক্ষেতে মাছ চাষ প্রদর্শনী কেন্দ্রস্থাপন, ২০ টি শামুকের চাষ প্রদর্শনী স্থাপন, ১০০ টি ঝিনুকের চাষ প্রদর্শনী স্থাপন, ২০০ টি মুক্তা চাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে।

তিনি আশা করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে দেশের মানুষ কিছুটা হলেও দেশী মাছের স্বাদ নিতে পারবেন। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিও সৃদৃঢ় হবে।

সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এসএম আশিকুর রহমান বার্তা২৪ কমকে জানান, ঢাকা, বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলার ৪৯ টি উপজেলা এটি বাস্তবায়ন হবে। এগুলো হলো- গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সালথা উপজেলা, মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর সদর, রাজৈর, শিবচর ও কালকিনি উপজেলা, শরীয়তপুরজেলার শরীয়তপুর সদর, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট, জাজিরা, নড়িয়া ও ডামুড্যা উপজেলা, বরিশাল জেলার বরিশাল সদর, আগৈলঝাড়া, বাবুগঞ্জ, হিজলা, বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, মুলাদী, গৌরনদী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা, ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঠালিয়া উপজেলা, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর, ইন্দুরকানি, নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও কাউখালি উপজেলা, বরগুনা জেলার বরগুনা সদর, আমতলী, পাথরঘাটা, তালতলী, বামনা ও বেতাগী উপজেলা, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা এবং নড়াইল জেলার নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, প্রকল্পে মাধ্যমে ৪৯ টি উপজেলায় ৩০হাজার সুফলভোগী মৎস্যজীবী তৈরি করা। এদোর মধ্যমে সুবিধাভোগী ও জেলেদের নিয়ে ৬ হাজার গ্রুপ গঠন করা হবে। যাদের সরকারিভাবে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে এই ছোটপ্রজাতির মাছকে টিকিয়ে রাখা হবে।

   

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;