চাঁদপুরে সবজি-আলু-ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চাঁদপুরে সবজি-আলু-ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে সবজি-আলু-ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুরের ১১টি চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে শাক-সবজির চাষ হয়েছে। নারীরাই এসব শাক-সবজি উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। চাঁদপুরে মূলত শাক-সবজি, ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মরিচ চাষ হয়ে থাকে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, পরিবহনে সুবিধা, কৃষি বিভাগ থেকে উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি প্রদান, কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে বরাবরই চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ থাকে কৃষকদের।

চরাঞ্চলগুলো হল- মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ঠ খণ্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেব বাজার ও চরভৈরবির বাবুরচর ইত্যাদি।

এবার চাঁদপুরে শাক-সবজি, আলু ও ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে শাক-সবজি চাষাবাদের জন্য ৫ হাজার ২১০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৯ মে.টন। আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দু’লাখ ২৪ হাজার ৫শ মে.টন ও ইরি-বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আড়াই লাখ মে.টন নির্ধারণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শাক-সবজির জন্য এবার চাঁদপুর সদরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৫১৮ মে.টন। মতলব উত্তরে চাষাবাদ ৯৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৮০৮ মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ২৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৬২৯ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৬১৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮২৩ মে.টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ৩৯৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ২৩৬ মে.টন। কচুয়ায় চাষাবাদ ৪১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৪৯ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৭৮০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৬৩ মে.টন। হাইমচরে চাষাবাদ ৭১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮০৩ মে.টন।

শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লালশাক, লাউ, কুমড়া, শিম, মুলা, গাজর, টমেটো, করলা, পালং শাক, ধনিয়া, বরবটি প্রভৃতি। চাঁদপুরের কুমারডুগি, মহামায়া , দেবপুর, মাস্টার বাজার, সুন্দরদিয়া, হাজীগঞ্জের অলিপুর এলাকায় ব্যাপক হারে ও বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা এসব শাক-সবজির চাষাবাদ করে থাকে ।

এবার চাঁদপুরে (২০১৮-২০১৯) আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দু’লাখ ২৪ হাজার ৫শ মে.টন নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার আট উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। চলতি শীত মৌসুমে চাঁদপুরে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১০ হাজার ৬৯০ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫শ মে.টন।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চাঁদপুর সদরে এবার ১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৮শ মে.টন। মতলব উত্তরে ৮শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭শ মে.টন। মতলব দক্ষিণে ৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩ হাজার ৫শ মে.টন। হাজীগঞ্জে ৯৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫০ মে.টন।

শাহারাস্তিতে ২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২৫ মে. টন। কচুয়ায় ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৫শ মে.টন। ফরিদগঞ্জে ১৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৯৪০ মে.টন। হাইমচরে ১২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬২৫ মে.টন।

কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আলু উৎপাদনে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী জেলা হচ্ছে চাঁদপুর। মুন্সীগঞ্জের পরেই চাঁদপুরের স্থান। ফলে চাঁদপুরে বেসরকারিভাবে ১২টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। এগুলোর ধারণক্ষমতা মাত্র ৫৩ হাজার মে.টন। বাকি প্রায় ২ লাখ মে.টন আলু নিজ দায়িত্বে মাচায় বা কৃত্রিম উপায়ে সংরক্ষণ করার ফলে প্রতি বছরই কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে মার খাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চাঁদপুরে ব্যাপক আলু উৎপাদন হচ্ছে।

এছাড়া ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এবার ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আড়াই লাখ মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এই ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাতে ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়। জেলার তফসিলি ব্যাংকগুলোতে কৃষি উৎপাদনের জন্যে চলতি অর্থবছর ২২৪ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরে ৫ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২১ হাজার ৭০৮ মে.টন। মতলব উত্তরে ৮ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৬ মে.টন। মতলব দক্ষিণে ৪ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৯ হাজার ৯৮ মে.টন।

হাজীগঞ্জে ৯ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৮০২ মে.টন। শাহরাস্তিতে ৯ হাজার ৩৫১ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৯৪ মে.টন। কচুয়ায় ১২ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৯ হাজার ৫৫০ মে.টন। ফরিদগঞ্জে ৯ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ৪০১ মে.টন এবং হাইমচরে ৬২৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৩৯৬ মে.টন চাল।

চাঁদপুর কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ আবদুল মান্নান জানান, কৃষকরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আলুসহ রবি ফসলের জন্য মাঠ তৈরি করেছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে চাঁদপুরের কৃষকদের সার ও উন্নতমানের বীজ দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে।

   

নওগাঁয় ৩ উপজেলার চেয়ারম্যান পুনরায় নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর তিনটি উপজেলা পরিষদ ২য় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গণনা শেষে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে এগারো টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. শাহাজান হোসেন মন্ডল। তিনি আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪হাজার ৫২৭ ভোট।

বেসরকারিভাবে পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শাহ্ মনজুর মোরশেদ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৬হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২২হাজার ৪৭৯ ভোট। এবং নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ আহমেদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৩৯ ভোট। তারা তিন জনই বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন।

তারা তিন জনই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তারাই আবার নির্বাচিত হলেন। ফলে তাদের দখলেই থাকল উপজেলা পরিষদের চেয়ার।

বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ফলাফল ঘোষণা করেন স্ব স্ব উপজেলা সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

এর আগে এদিন সকাল ৮ থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত জেলার সাপাহার, পোরশা এবং নিয়ামতপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে সাপাহার উপজেলায় ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পোরশা উপজেলায় ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিষয়টি রাতে জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেলে এক বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা।

;

কোটি টাকা ব্যায়েও আলোর মুখ দেখেনি বরিশালের ক্যান্সার হাসপাতাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল বিভাগীয় সদরে ১২৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও কিডনী হাসপাতাল ভবন নির্মানকাজ নির্ধারিত সময়ের এক বছরে মাত্র ৩৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

ব্যায় বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্প সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন নির্দেশনা দিলেও বর্ধিত সে সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ক্যান্সার, হ্রদরোগ ও কিডনীর উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে দেশের সবগুলো বিভাগীয় সদরে ৮টি অনুরুপ হাসপাতাল নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। সে আলোকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে একটি ১৭ তলা ভবন নির্মাণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাথে ‘ মেসার্স বঙ্গ বিল্ডার্স ও মেসার্স খান বিল্ডার্স-জেভি নামের একটি যৌথ অংশিদারী প্রতিষ্ঠান চুক্তিপত্র সম্পাদন করে ২০২১ সালের ১৯ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই কাজ শেষ করার কথা।

কিন্তু চলতি বছরের ২২ মে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৫ ভাগ। ৪৬০ শয্যার এ হাসপাতাল ভবনটির জন্য ইতোমধ্যে নির্মান প্রতিষ্ঠানকে ২৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে নির্মান প্রতিষ্ঠানের বকেয়া এখন ১২ কোটি টাকাও বেশী। একটি সূত্রের মতে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজের গতি শ্লথ হয়ে গেছে। তবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মতে নির্মান প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করতে পারেনি। ফলে তহবিলও আসেনি। তহবিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে লেখা হয়েছে। খুব শিগগিরই তহবিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্মান প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করা হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মানাধীন ১৭তলা বরিশাল ক্যান্সার,হ্রদরোগ ও কিডনী হাসপাতাল ভবনটির মাত্র ৬তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যে ৭তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হবে। আগামী দু বছরে অবশিষ্ট ১০তলা ঢালাই সহ পুরো ভবনটির নির্মানকাজ সম্পন্ন হবে কিনা সে ব্যপারে সংশয় রয়েছে খোদ গণপূর্তের কর্মকর্তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রকৌশলী এ লক্ষ্যে সময়মত তহবিলের যোগানসহ নির্মান প্রতিষ্ঠানকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন। তবে দুটি বেজমেন্ট সহ ৭তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের পরে ইতোমধ্যে নির্মান প্রতিষ্ঠানের ১২ কোটি টাকার বেশী বকেয়া পড়ে থাকাই অচলাবস্থার মূল কারণ বলে দাবি নির্মান প্রতিষ্ঠানের।

গত ২৯ এপ্রিল প্রকল্প ব্যায় বৃদ্ধি সহ বর্ধিত সময়সীমা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা একনেক এর অনুমোদন লাভ করলেও এ সংক্রান্ত প্রশাসনিক অনুমোদন এখনো না মেলায় চলতি অর্থ বছরের অবশিষ্ট সময়ে তহবিলের সংস্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে সংশোধিত ও বর্ধিত প্রকল্প ব্যায় ও সময়ে বরিশাল ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ হাসপাতাল ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন নিয়ে সন্দেহ ক্রমশ দানা বাঁধছে। ১শ কোটি টাকার এ প্রকল্পটির মেয়াদ দু’বছর বৃদ্ধির সাথে প্রকল্প ব্যায়ও ১২৮ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।

এ ব্যাপারে বরিশাল গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, তহবিলের সংস্থান হলে বর্ধিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ শেষ করা সম্ভব। এ লক্ষে আমরা নির্মান প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের চাপ সৃষ্টি করব। তবে গত ২৯ এপ্রিল একনেক এর সভায় সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলেও এখনো প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি বলে স্বীকার করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বরিশাল ক্যান্সার, কিডনি ও হ্রদরোগ হাসপাতাল ভবনটিতে দুটি বেজমেন্ট ছাড়াও ২য় তলা থেকে ৭ম তলা পর্যন্ত ক্যান্সার ইউনিট, ৮ম তলা থেকে ১২ তলা পর্যন্ত কিডনি ইউনিট এবং ১৩ থেকে ১৭তলা পর্যন্ত হ্রদরোগ ইউনিট স্থাপনের কথা রয়েছে।

;

শার্শা উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া যশোরের শার্শায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

৩৭ হাজার ৫৭০ ভোটে শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দোয়াত কলম মার্কার সোহারব হোসেন। তিনি শার্শা উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারি ও সাবেক শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

সোহারবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনারস মার্কার ওহিদুজ্জামান ওহিদুজ্জামান ওহিদ পেয়েছেন আনারস মার্কার ১২ হাজার ২৯১ ভোট।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটগ্রহন শেষে রাত পৌনে ১১টায় শার্শা উপজেলা নির্বাচন কমিশনার (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে ১৩ হাজার ৮৬৬ ভোটে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টিউবওয়েল মার্কার শাহরীন আলম। তিনি জেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক।।অপরদিকে ২২ হাজার ৯৮৭ পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন তালা মার্কার আব্দুর রহিম সরদার। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ হয়। ১০২ কেন্দ্রে ৮১৪ কক্ষে এদিন ভোট দেবেন ভোটাররা। উপজেলা টিতে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১১ জন।

;

মুক্তগাছায় টানা ২য় বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত আবদুল হাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় টানা দ্বিতীয় বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই আকন্দ।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে উপজেলার ১১৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কর হয়েছে। ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করেন মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মাহমুদা হাসান ।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৭ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেনবীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আরব আলী দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩৮ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো.জাহিদুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৮২৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো.মাহমুদুল হাসান মুকুল মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮২ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৯৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসরাত জাহান ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৫ ভোট।

;