হাসিখুশি ‘রুমা আপা’র মলিন চেহারা



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আদালতে নেওয়ার পথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রুমা, ছবি: সংগৃহীত

আদালতে নেওয়ার পথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রুমা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরিফা সুলতানা রুমা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক। ত্যাগী এই তরুণী জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে ২০০০ সাল থেকে অবদান রেখে চলেছেন বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে। সম্প্রতি পল্টন থানায় নাশকতা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের অধিনে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী আলোচিত নেত্রী।

রাজপথের আন্দোলনে তার সরব উপস্থিতি সম্পর্কে দলের নেতাকর্মীরা সবাই অবগত। এক নামে সবাই চেনে তাকে। তিনি সবার পরিচিত ‘রুমা আপা’। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে অমায়িক ব্যবহারই যেন তার অলঙ্কার।

সদালাপী, প্রাণবন্ত, হাসিমুখে কথা বলা সেই রুমা আপার মুখটি খুব মলিন দেখা গেল। খাওয়া-দাওয়া নেই, নেই ঘুম, ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। ১৬ নভেম্বর ডিবি কার্যালয় থেকে মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়ার পথে এভাবেই দেখা মিলল তার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/18/1542549077595.jpg

ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এজলাসের পথে। সেখানে মলিন মুখে পুলিশ পরিবেষ্টিত অবস্থায় উপস্থিত নেতকার্মীদের দেখে এক হাতে দেখালেন- ‘ভি-চিহ্ন’। কিছুটা উজ্জ্বীবিত হওয়ার চেষ্টা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পাবনা-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন ছাত্রদলের এই নেত্রী। পাবনা-৩ (ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও চাটমোহর) নির্বাচনী আসন থেকে তিনিই প্রথম নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয় রুমাকে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যাালয়ের সামনে নাশকতা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সিএমএম আদালত এলাকা হয়ে বাসায় ফেরার পথে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/18/1542549096297.jpg

উদীয়মান এই তরুণ নেত্রীর গ্রামের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলায় আফ্রাতপাড়া মহল্লায়। ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করা এই নেত্রীর বাবা আক্কাস আলী একজন শিক্ষক। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।

পাবনায় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়ালেখার হাতেখড়ি। এরপর চাটমোহল বালিকা বিদ্যালয়, চাটমোহল ডিগ্রী কলেজ, পরবর্তীতে ঢাকা ইডেন কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেন তিনি। সবশেষ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি নিয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়নরত।

ইডেনে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দীক্ষা নেন জাতীয়তাবাদের। ২০০২ ও ২০০৪ সালে তিনি পরপর দু’বার ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হন।

কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পাওয়ার পর থেকে তার দলীয় কর্মকাণ্ড নজরে আসে কেন্দ্রীয় নেতাদের। তার মেধা ও যোগ্যতায় ২০০৯ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নেন আরিফা সুলতানা। এরপর ২০১২ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদ লাভ করেন। ২০১৫ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলার পর বার্তা২৪.কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে তার হৃদযের স্বপ্নগুলো।

রুমা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। বিশেষ করে আমার পাবনার অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে চাই। সবার ভালোবাসা নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/18/1542549118648.jpg

দল আপনাকে মনোনীত করবে এমন প্রত্যাশা কেন করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে রুমা বলেছিলেন, ‘রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে আমার যে অবদান তা দল মূল্যায়ন করবে বলে আশাবাদী। তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে, এমনকি নারী নেতৃত্ব হিসেবে দল মূল্যায়ন করবে বলেও আমার বিশ্বাস। কারণ তরুণরাই পারে ভালো কিছু করতে, ভালো কিছু তৈরি করতে। দেশের উন্নয়নের জন্য তরুণদের ভুমিকা, বিশেষ করে ছাত্রদল থেকে যারা আসে, তাদের যে অভিজ্ঞতা, দেশের জন্য যে মায়া ও দেশপ্রেম রয়েছে তা অন্য নেতৃত্ব দিতে পারে না। এজন্য হলেও দল তরুণদের মূল্যায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।’
তবে দল মনোনয়ন যাকেই দিক না কেন দলের হয়ে সমানভাবে কাজ করে যেতে চান বলেও জানিয়েছিলেন অরিফা সুলতানা রুমা।

আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;