ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। তিনি দরাজ গলায় তাঁর ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..., এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চারদফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাঁকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাঁদের নেতা, আমি তাঁদের পরিচালিত করবো, তারা আমাকে নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে। তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।
রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়। এটি সব জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।

দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও, এদিন সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন।

আওয়ামী লীগের সকল শাখা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ করবে।

   

পঞ্চগড়ে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিল মাদক ব্যবসায়ী আটক

পঞ্চগড়ে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিল মাদক ব্যবসায়ী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ আফতাব হোসেন ওরফে পাপ্পু (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজারে তাকে আটক করা হয়।

আটক আফতাব হোসেন ওরফে পাপ্পু রংপুর কতোয়ালি থানার আলমনগর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফতাব হোসেন ৬ বস্তা মরিচ ঢাকা পাঠানোর উদ্দেশে শাপলা এন্টারপ্রাইজ নামে ঢাকাগামী একটি বাসে বুকিং দেয়ার জন্য কাউন্টারে যায়। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটক রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরিচের বস্তা ও ফেনসিডিলসহ তাকে আটকে করে থানায় নেয়।

পুলিশ আরো জানায়, জব্দকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। একই সময় ৬ বস্তা মরিচ জব্দ করা হয়।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, সম্ভবত ফেনসিডিলগুলো ভারত থেকে পাচার করে এনে ঢাকায় নিচ্ছিলো তিনি। আটকের পর তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা’ তাদের জানাতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বগাঁথা লিখে রাখতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলহাজ মো. শাহজাহান কবির, বীর প্রতীকের মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’ ও ‘আমার একাত্তর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাকে অর্থপূর্ণ করতে হলে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যত জানবে তারা ততো বেশি দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিবে।

মন্ত্রী বলেন, শাহজাহান কবির বীর প্রতীক দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা করে ইতিমধ্যে অনেকগুলো বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন; যা অতুলনীয়। বিশেষ করে আজ ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’ ও ‘আমার একাত্তর’ বই দুইটিতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শাহজাহান কবিরের মতো মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

গোলাম আজাদ বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জামুকার মহাপরিচালক জহিরুল ইসলাম রোহেল, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বইয়ের লেখক আলহাজ মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক বক্তৃতা করেন।

এছাড়া এতে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল উপস্থিত ছিলেন।

;

বর্জ্যের স্তুপ থেকে কঙ্কাল উদ্ধার, ব্রেসলেট দেখে স্বামীকে সনাক্তন করলেন স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিখোঁজের ১৯ মাস পর মুরগির খামারের ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী জেসমিন বেগম। স্বামীর হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে সনাক্ত করেছেন জেসমিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ দাশের বাড়ির পাশের বাগান সংলগ্ন মুরগির খামারের ময়লার স্তুপ থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।

কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে সনাক্ত করেন।

তবে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিস আলী।

এদিকে, এই কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে ও ইসমাইল হোসেনের বন্ধু নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুল (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগেও ইসমাইল হোসেনের মিসিং ডায়েরির সূত্র ধরে র্যাব-৬ এর সদস্যরা নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক সিরাজ, বাবলু, পীযূষ, নূরসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা বৃহস্পতিবার সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ বাবুর বাড়ির পাশের বাগানের ময়লার মধ্যে একটি মাথার খুলি দেখতে পান। বিষয়টি পাশে ধানকাটা শ্রমিকদের জানালে তারা এসে ময়লা সরিয়ে একটি মানুষের কঙ্কাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জানান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে।

এদিকে, কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতের ব্রেসলেট দেখে লাশটি তার স্বামীর বলে দাবি করেন। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ভীড় করে।

পরে দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনোহরপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে ইসমাইল এবং চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে নাজমুল হোসেন শিমুল এক সঙ্গে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করাসহ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। হঠাৎ করে ইসমাইল হোসেন নিখোঁজ হওয়ায় তার স্ত্রী জেসমিন বেগম ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিস আলী জানান, কঙ্কাল ও কঙ্কালের হাতের ব্রেসলেট দেখে কঙ্কালটি তার স্বামীর বলে দাবি করেছেন জেসমিন। এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন নামে ইসমাইলের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে বিদায়ী এপ্রিল মাসে ছিল তীব্র তাপদাহ। এতে জনজীবনে ছিল অস্বস্তি। অবশেষে সেই অস্বস্তির মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল রাজধানী ঢাকায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

এর আগে সন্ধ্যা থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে এখন পর্যন্ত রাজধানীর সব এলাকায় বৃষ্টির দেখা না মিলললেও আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে।

 

;