তফসিল ঘোষণার পর পুলিশ কেন আলোচনায়?  



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম  
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে চলছে টানটান উত্তেজনা। প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়ন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যস্ত সময় পার করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশও তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে পুলিশের এই তৎপরতার সমালোচনা করছে অনেক রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে। 

অন্যদিকে সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টো বিএনপির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের কর্মকাণ্ডে কি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে?

তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ করেছে বিএনপি। সেগুলো হলো- পুলিশ গায়েবি মামলায় দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক করছে, পল্টনে সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশের উস্কানিতে ঘটেছে এবং পুলিশ ফোন করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এছাড়াও পুলিশ সদর দফতর নির্বাচনে কারচুপির পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি। এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) একাধিকবার চিঠিও দিয়েছে বিএনপি।

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারের সাজানো পুলিশ প্রশাসনের অতি দলবাজ ও চিহ্নিত বিতর্কিত কর্মকর্তারা নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আটক করছে। এছাড়া বিনা উস্কানিতে পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চওড়া হয়েছে পুলিশ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গায়েবি মামলার তালিকা ছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি বিএনপি। আর পল্টনের ঘটনায় তদন্ত করে দেখা গেছে, এ ঘটনার জন্য পুলিশ কোনোভাবেই দায়ী ছিল না। বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশের ওপর হামলা করা হয়।

পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা রাজনৈতিক পরিচয়ের কাউকেই হয়রানি করছে না। ফৌজদারি অপরাধীর গ্রেফতার করা হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ বিভিন্ন কাজে নির্বাচন কমিশনের আদেশ-নিষেধ পালন করছে। কিন্তু কেউ যদি নাশকতা করার চেষ্টা করে, সে যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। দলীয় পরিচয় আমরা দেখছি না। ফৌজদারি অপরাধ করলেই আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তবে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠা এসব অভিযোগের কারণে কিছুটা হলে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া কাউকে হয়রানি বা গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি)।

এ বিষয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে জানান, তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ আমরা দেয়নি। এটা আপনারা করবেন না। কারণ এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আমরা এটা চাইনা।

তবে পুলিশের কর্মকাণ্ডে কিছুটা নারাজ সুশীল সমাজের লোকজনও। এ বিষয়ে  সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘পুলিশের আচরণ সন্তোষজনক নয়। পুলিশকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। নির্বাচনী পরিবেশ যেন নষ্ট না হয় প্রশাসনকে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া পুলিশ কার নির্দেশে এসব কাজ করছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

   

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এসব পরিস্থিতি থেকে সৃষ্টি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার মধ্যেও মূল্যস্ফীতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সেজন্য নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার তৈরিও গুরুত্বপূর্ণ।

 

;

জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্য উৎপাদন, বিপনন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৭ বর্ষসেরা শিল্পোদ্যোক্তাকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা

বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;

কুকুরের কামড়ে যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুকুরের পাল ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবককে কামড়ে হত্যা করেছে।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া নদীর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজাজুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইজাজুল ইসলামের মা বাবা কেউ নেই। সে বিয়ে করেনি। তিনি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে এসিআই কোম্পানীর মালামাল এক দোকান থেকে কিনে অন্য দোকানে বিক্রি করতেন। তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।

ঘটনার দিন ভোররাতে ভাড়া বাসা থেকে নামাজ পড়ার মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুকুরের পাল তাকে একা পেয়ে কামড়ে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এসময় একজন নারী টের পেয়ে লাঠি নিয়ে তাড়া করলে কুকুরের পাল চলে যায়। পরে ওই নারী আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে আসার আগেই ইজাজুল মারা যায়।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

জনপ্রিয়তা বাড়ছে গোয়ালন্দ ইউএনও’র গণশুনানি



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে হাজেরা বেগমের। অনেক দিন ধরে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা চালালেও কোনো ফল আসেনি। গ্রামের মাতব্বর থেকে শুরু করে স্থানীয় সুধীজনরা সমাধান করতে পারেনি হাজেরা বেগমের সমস্যার। তিনি লোক মারফত জানতে পারেন প্রতি সপ্তাহের একদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি সবার সমস্যার কথা শোনেন ও সমাধান করে দেন।

বিষয়টি জানার পরই তিনি দ্বারস্থ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানিতে। গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে হাজেরা বেগমের সমস্যার কথা নিজে শোনেন ইউএনও। এরপরই তিনি সমাধানের পথ খুলে দেন। হাজেরা বেগমের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

শুধু হাজেরা বেগমই নয়। হাজেরা বেগমের মতো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার শত শত মানুষের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি গণশুনানিতে শুনে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। তার এই গণশুনানি দিনদিন স্থানীয় নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের যে কোনো একদিন সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় নাগরিকদের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি শুনতে গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে ইউএনওদের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার তিনি তার নিজ অফিস কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই গণশুনানি পরিচালনা করে থাকেন।

গণশুনানি পরিচালনার সময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় দ্রুত সেবাপ্রত্যাশী মানুষদের বেশির ভাগের সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক করে থাকেন। কিছু সমস্যার সমাধান ডকুমেন্ট নির্ভর হওয়ায় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি নিয়ে সাপ্তাহিক গণশুনানি শুরু করেছি। প্রতি বুধবার এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষণিক বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান করা হয়। অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন। গণশুনানির এই কার্যক্রম চলতেই থাকবে।

;