এডিস মশা বাড়ছে ঢাকায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এডিস মশা বাড়ছে ঢাকায়

এডিস মশা বাড়ছে ঢাকায়

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে এডিস মশা। বর্তমানে আজিমপুর, শহীদনগর, কামরাঙ্গীর চর, হাজারীবাগ, উত্তরার কয়েকটি সেক্টর, গোড়ান, জুরাইন, রায়েরবাগ, শ্যামপুর, মোহাম্মদপুরের বছিলা, মিরপুরের পল্লবীসহ আরো কিছু এলাকায় মশার উৎপাত বেশি। এসব এলাকাসহ রাজধানীজুড়েই চলতি মাসে এডিস মশার উৎপাত বেড়েছে। ফলে এবার ডেঙ্গু ভয়ানক হয়ে আসতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির ধরনেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে মশকবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। যার কারণে মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াজাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্ত সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।

২৫ মার্চ থেকে গত শনিবার পর্যন্ত দুই সিটি করপোরেশনে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর প্রায় ৪.২৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে। কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি দল রাজধানীর দুই হাজার ৫২০টি বাড়ি পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১১৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় দুই সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি আরো উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে শুধু এডিস নয়, মশার উৎপাত বৃদ্ধি থামাতে নিয়মিত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হবে স্পেশাল অ্যাকশন। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, দক্ষিণে মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এডিস মশা বৃদ্ধির কারণে ১০টি জোনে করা হচ্ছে সচেতনতামূলক সভা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, এডিস মশা বাড়ার যে মাত্রা লক্ষ করা যাচ্ছে এটি সমস্যা সৃষ্টি করার আগে সচেতনতার সঙ্গে মোকাবেলা করা উচিত। গত বছরের তুলনায় এবার একই সময় এডিস মশা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত বেড়ে যায় তবে এডিসের বংশবিস্তার আরো দ্রুত বাড়বে। তাই এখনই এডিসের প্রজনন স্পটগুলো ধ্বংস করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশার জন্ম হয় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে। এই মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাড়ি এবং বাড়ির চারদিক দেখতে হবে। কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমে আছে কি না; যদি থাকে, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে বা পরিষ্কার করতে হবে। যদি পাত্রটি এমন হয় যে পানি ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না, তাহলে সেখানে ব্লিচিং পাউডার বা লবণ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাড়ির আঙ্গিনা বলতে শুধু বারান্দা বা নিকট জায়গা নয়। নিজের কক্ষের ভেতরের জিনিসগুলোর প্রতিও নজর রাখতে হবে। যেমন এসির পানি জমে আছে কি না, রুমের ভেতরে ফুলের টবে পানি জমল কি না—এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

এ ছাড়া এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে পুরনো টায়ার, ঢাকনাবিহীন চৌবাচ্চা, ড্রাম বা ব্যারেল, পোষা প্রাণীর পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কারণ জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে শামসুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, কিউলেক্স মশার সময়টা যেভাবে আমরা পার করতে পেরেছি, এডিস মশার বংশবিস্তার রোধেও আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। দক্ষিণে মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবু এডিসের সচেতনতায় এরই মধ্যে ১০টি অঞ্চলে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি এডিস বাড়তে পারবে না। ’ তিনি বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিউলেক্স ঘরের বাইরে জন্মালেও এডিস কিন্তু ঘরের ভেতরেও জন্মায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের নিয়মিত কাজ চলছে। এডিস মশা বাড়তে পারবে না। আমাদের নিয়মিত কাজের মাধ্যমেই মশার উপদ্রব থামিয়ে দেওয়া সম্ভব।

   

স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পড়লেন ধরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পড়লেন ধরা

স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পড়লেন ধরা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ রুমা নামের এক নারী ফোন করে জানান, কাওসার নামের এক ব্যক্তির রুমে ইয়াবা আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযানে স্বামী কাওসারকে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলেন রুমা। তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন জাকির (৩৩) নামে এক মাদক বিক্রেতা।

এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর তেজগাঁও থানার নাখালপাড়ায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

তিনি বলেন, ১৪ পিস ইয়াবাসহ রুমা আক্তার (৩০) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বামীর ঘরে ইয়াবা রেখে ফাঁসিয়ে দিতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেন। কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি নিজে এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন। পরবর্তীতে রুমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকির (৩৩) নামে আরও এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি মহসীন বলেন, গ্রেফতার রুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটিহাতা গ্রামের মৃত সাবির উদ্দিনের মেয়ে। ১২ বছর আগে বিয়ে হয় প্রবাসী কাওসার ও রুমার। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এই ঝগড়া বিবাদের কারণে কাওসার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করেন।

দেশে ফিরলে তাদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে বোনের জন্য স্বামীর কাছ থেকে টাকা নেন রুমা। সেই টাকা দিয়েই জাকিরের কাছ থেকে ১৪ পিস ইয়াবা কিনেন। পরে সেই ইয়াবা শোয়ার ঘরে একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন। পুলিশ গেলে রুমার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রুমা ইয়াবা কিনে স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়।

;

দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি জিয়াউর রহমান চালু করেছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে চালু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে চালু হওয়া ঋণ খেলাপি পরে এরশাদ, খালেদা জিয়ার মাধ্যমে সম্প্রসারিত হয়েছে। যারা এখন গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্মটা যেন কীভাবে সেটি কি তারা ভুলে গেছেন? ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া, গণতন্ত্রহীনতা এগুলো তো জিয়ার আমলেই শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সরকারি প্রকল্পে দেশের টাকা মারার কোনো সুযোগ রাখেননি বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাওয়ার অফার কখনো নেননি। জনগণের ভোটে না জিতে ক্ষমতায় আসা সরকার কতটা ভয়ংকর হয়, সেই অভিজ্ঞতাও আছে।

দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদই বিএনপি আমলের চিত্র ছিলো। তাদের দুঃশাসনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয় বলেও দাবি করেন সরকার প্রধান।

জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে যায়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের হাত থেকে প্রধান বিচারপতি-সাংবাদিক কেউ নিরাপদ নন। প্রধান বিচারপতির চেম্বারের দরজায় লাথি মারার অভ্যাসও দলটির আছে তো। এহেন কোনো অপকর্ম নাই যা, তারা করেনি। আসলে বিএনপির নেতারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখেন না।

;

নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে বলেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২ ব্যাচ) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঙ্গরপোতা দহগ্রামে দেখেছি স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন একজন নারী অথবা কোন জেলার ডিসি নারী অথবা তার পরের জন নারী। নারীদের সঙ্গে নিয়ে চলতে পারছি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলাদেশকে বদলে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানান।

জাবি উপাচার্য বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর 'এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪' এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র‍্যাংকিং এ দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এর আগে, নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের কাছে নিজ নিজ অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠক্রম সম্পাদনের জন্য উপস্থাপন করেন। এ সময় অনুষদগুলোর ডিন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য গ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠান হয়েছিলো। এরপর, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রবেশিকা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি।

;

তৈলারদ্বীপ সেতুতে টোল প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালীর সীমান্তে সাঙ্গু নদীতে নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুতে চাঁদাবাজি বন্ধ, সেতুর টোল প্রত্যাহার ও ইজারাদার আইনুল কবীর কর্তৃক বাঁশখালীবাসীকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সামাজিক সংগঠন 'আমরা বাঁশখালীবাসী'।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা অবিলম্বে তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রত্যাহার ও এলডিপি নেতা আইনুল কবিরের নিয়ন্ত্রনে থাকা সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তৈলারদ্বীপ সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ২০০৬ সালে। সাঙ্গু নদীল আরও ৫টি সেতু রয়েছে। সেগুলোতে কোনো টোল নেওয়া হয় না। একমাত্র তৈলারদ্বীপ সেতুতে টোল নেওয়া হয়। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনের পর ২০০৭সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে। ৩ বছরের ইজারা দিয়েই যেখানে নির্মাণ ব্যয় উঠে যায়, সেখানে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনগণের অধিকারের পরিপন্থি। তাই আমরা মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে এই সেতুর টোল প্রত্যাহারের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৈলারদ্বীপ সেতুর অনায্য টোল বাঁশখালীবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইজারাদার প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। ফলে টোল আদায় রূপ নিয়েছে চাঁদাবাজিতে। বাঁশখালীর মানুষ দীর্ঘদিনের সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে। সাধারণ মানুষের জাগরণকে থামিয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সেতুর ইজারাদার কুখ্যাত এলডিপি নেতা আইনুল কবির। তিনি বাঁশখালীর সংসদ সদস্য ও বাঁশখালীর জনগণকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রাহুল কান্তি দাশের সাঞ্চালনায় মানবন্ধনের উপস্থিত ছিলেন কালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত ফারুক, বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন খোকন, প্রকৌশলী রোকন উদ্দীন, সাংবাদিক সুবল বড়ুয়া, বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক ওয়াসিম আহমেদ, যুবলীগ নেতা রায়হানুল কবীর শামীম, চাম্বল ইউপি সদস্য নুর হোসেন, পুকুরিয়া ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন, বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ওকান উদ্দিন সাকিব, সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।

;