‘বৈধ না অবৈধ সেটা আমরা বুঝব, এটা পলিটিক্যাল সিট’



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের ২৩৪ নাম্বার কক্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১০টায় অপু সেই কক্ষে গিয়ে ভুক্তভোগীকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে ভুক্তভোগীর সিটে তুলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম তুষার চন্দ্র রায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের ২৩৪ নাম্বার কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অপরদিকে হল শাখা সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তুলে দেওয়া শিক্ষার্থীর নাম নাসির হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এবং ওই হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী তুষার চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি হলে ২০১৯ সালে আবাসিকতা পাই। কিন্তু হলে উঠতে না পারায় করোনা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলি। প্রাধ্যক্ষ আমাকে হলের ২৩৪ নাম্বার কক্ষে সিট বরাদ্দ দেয় এবং উঠতে বলে। ঈদের আগে ওই সিটে অবস্থান করা বড়ভাই বাড়ি চলে যায়, তখন থেকে আমি সেখানে থাকা শুরু করি। এর মাঝে একদিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুর দুই ছেলে এসে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নাসির নামের এক অনাবাসিক ছেলেকে আমার সিটে তুলে দেয়। তারপর থেকে নাসির আমার সিটে ডাবলিং করে থাকে।’

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘এরপর শুক্রবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১০টায় অপুসহ কয়েকজন আমার কক্ষে আসে এবং আমায় সিট থেকে নেমে যেতে বলে নতুবা নিচে ফ্লোরিং করে থাকতে বলে। আমি ফ্লোরিং করে থাকতে না চাওয়াতে সেদিন রাত সাড়ে ১২টায় হল শাখা সাধারণ সম্পাদকের পাঠানো তিনজন ছেলে এসে আমাকে শাসায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শাসানোর একটি অডিও রেকর্ড আছে আমার কাছে। এমতাবস্থায় আমি আমার বৈধ সিট পেতে হল প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

শাসানোর সেই অডিও রেকর্ডটি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। রেকর্ডটিতে সেই তিনজন ছেলে নিজেদের ছাত্রলীগ বলতে শোনা গেছে। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, এদের তিনজনের মধ্যে দুজনের নাম অনিম এবং অমিত। ভুক্তভোগী এর বেশি তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি। আর খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতেও এসব নামে কেউ নেই। তবে অনেকের ভাষ্যমতে, তারা শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।

রেকর্ডটিতে ভুক্তভোগী তুষারকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা আমার বৈধ সিট, এখানে আমি থাকব। এটা কি ওর (নাসির) বৈধ সিট? এর জবাবে অপুর পাঠানো ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, ‘বৈধ না অবৈধ সেটা আমরা বুঝব, এটা পলিটিক্যাল সিট, এটা অবশ্যই পলিটিক্যাল সিট।’ এসময় ভুক্তভোগী তাদের গলা নামিয়ে কথা বলতে বললে ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, ‘আববার গলাবে নামাবে কে! একদম...।’

শনিবার দুপুরে সেই হলে গিয়ে কথা হয় সেই সিটের অনাবাসিক শিক্ষার্থী নাসির হোসেন এবং পূর্বে সেই সিটে থাকা শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে।

আবাসিকতা না থাকা সত্ত্বেও সেই সিটে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির হোসেন বলেন, ‘এই সিটে আমাকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু ভাই থাকতে বলেছেন। এটা আগে থেকেই পলিটিক্যাল সিট।’

তবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না বলে জানায় সেই সিটে পূর্বে থাকা শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো পলিটিক্যাল সিট না।’

সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি এবং নিজের কর্মীদের দ্বারা শাসানোর কারণ জানতে হল শাখা সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার মুঠোফোনে এসএমএস করা হলেও তিনি কোনো রিপ্লাই দেয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরীয়া বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এখন খোঁজ নিব। যদি এমনকিছু করে থাকে, তাহলে অপুকে সাংগঠনিকভাবে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শহীদ হবিবুর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আমরা বিকেলে বসব। সিট বরাদ্দ দিবে হল প্রশাসন। যাকে দিবে সেই ছেলেই উঠবে। এটিই স্বাভাবিক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ‘হল প্রাধ্যক্ষ আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা বিকেলে বসব এবং বৈধ ছেলেটিকে ওই সিটে রাখার ব্যবস্থা করব।’

   

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;

চট্টগ্রামে ১২ মেট্রিক টন বিটুমিনসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ মেট্রিক টন চোরাই বিটুমিনসহ চক্রের ২ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) র‌্যব-৭ পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় একটি গোডাউনে অবৈধ উপায়ে ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে চোরাই বিটুমিন মজুদ করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার র‌্যাব সাতের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাব আসামি সুমন চন্দ্র দে (৩৮) ও মোঃ আব্দুল্লাহ আজিজকে (৪০) আটক করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে বিটুমিন সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে আসছে তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিটুমিন পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত চোরাই বিটুমিনের আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা বলে জানায় র‌্যাব।

;