ডিসেম্বরে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরেই তিনি অবসরে যাবেন। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী শুক্রবার করা এক মন্তব্যের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি। একইসঙ্গে তার মতো বদরুদ্দোজা চৌধুরীকেও (বি. চৌধুরী) অবসরে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ঠাণ্ডা ধরনের মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলেন। তার জবাবে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওই রিপোর্টটি পড়েছি। হ্যাঁ আমি জানাচ্ছি এ বছরের ডিসেম্বরেই আমি অবসরে যাব। সে হিসেবে আর মাত্র ১১ মাসের মতো আছি।’ এর আগেও অবসরে যাবেন নাকি আবারও আরেক দফা নির্বাচন করবেন তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই বিভিন্ন রকম মন্তব্য দিয়েছেন। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর জবাব দেবেন। তার আগে বলেছিলেন, তার আর প্রার্থী হওয়ার বা রাজনীতিতে থাকার আগ্রহ নেই। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস উল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের শুরুতেই আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সকালে পত্রিকায় দেখলাম এ দেশের একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়েছেন দু’জন ব্যক্তিকে যেখানে দায়িত্বটা গুরুত্বপূর্ণ না, সেখানে পাঠিয়ে দিতে। সে দু’জন ব্যক্তির একজন আমার বন্ধু, আমাদের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী। আর দুই নম্বর ব্যক্তি আমি, আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী।’ ‘তিনি (বদরুদ্দোজা চৌধুরী) বলেছেন, হ্যাঁ দেশে কিছু কাজ-টাজ করেছেন, কিন্তু অবসর না নেন তাহলে নিরাপদ মন্ত্রণালয়ের কোথাও পাঠিয়ে দিতে। আমার প্রথমে মনে হয়েছিল আজকে এখানে বক্তব্য করবো রিটায়ারমেন্টের ওপরে। রিটায়ার কখন করা উচিত এবং রিটায়ারমেন্ট কিভাবে নেওয়া উচিত, সেই সম্বন্ধে আজকে বক্তব্যটি রাখবো। তার আর একটি বিশেষ কারণ হলো আমি এখন সত্যিকারভাবে জানি, আমি রিটায়ার করতে যাচ্ছি। এই বছরেই রিটায়ার করবো সেটা ডিসেম্বরেই।’ সাবেক রাষ্ট্রপতিকে ইঙ্গিত করে মুহিত বলেন, ‘বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মনে হয় সে রকম রিটায়ারমেন্টের ধারণা নেই। না হলে তাকেই উপদেশ দিতে চেয়েছিলাম যে কোনও একটা সময় আসে বোধ হয় তখন রিটায়ার করাটাই আমাদের জন্য ভালো এবং রিটায়ারের পর যেভাবে থাকা যায়, সেভাবেই আমাদের থাকা উচিত।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘ক্যারিয়ারে বহুদিন থাকলে নিশ্চয় পচন আসে। সেই পচনের পরিণতিটা মানুষের মধ্যে বেশি পরিমাণে। সুতরাং আমরাও সে রকম ধরনের চিন্তা-ভাবনা করি। এইবারে আমি সত্যিকারভাবে অবসরে যাচ্ছি, আগামী ডিসেম্বরে। এখন থেকে ১১ মাস পরে।’
   

নিখোঁজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আনারের বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনছি, আনারের মোবাইলটাও বন্ধ আছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের ও ভারতের ইমিগ্রেশন পার হয়ে যথাযথভাবেই তিনি ভারতে যান। তার পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, তার কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি সব সংস্থা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এনএসআই, এসবি ও পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, ভারতীয় সরকারের মাধ্যমে শিগগিরই তার বিষয়ে জানতে পারব।

এর আগে, গত ১৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এমপি মো. আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গেছেন, এসে পড়বেন।

সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি পুরোনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝেশুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

;

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান সংকটজনক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন ২০২৪' অনুসারে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। ৫ বছরের সময়কাল (২০১৮-২৩) বিবেচনায় নিলেও স্কোরের দিক থেকে একই জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর লেকশোর হাইটসে 'আর্টিকেল নাইনটিনের' বৈশ্বিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিবেদন প্রকাশ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

তিনি বলেন, 'বিগত দশ বছর বা ২০১৩-২০২৩ সাল এই সময়কাল বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিআরএক্স স্কোর ছিল ২০ যা মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে অতি বাধাগ্রস্ত দেশ। ২০১৪ সালে স্কোর ৪ পয়েন্ট কমে ১৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে বাংলাদেশ এখনও উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।'

একইভাবে ২০০০ সাল থেকে মতপ্রকাশের স্কোর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই সময়কালে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪, যেটি মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে 'বাধাগ্রস্ত' হিসেবে বিবেচিত। 'বাধাগ্রস্ত' থেকে 'অতিবাধাগ্রস্ত' দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন হয় ২০০৬ সালে। স্কোর ২০০৫ সালের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ৩৯ এ। পরবর্তী বছর ২০০৭ সালে আরও ১০ পয়েন্ট কমে স্কোর নেমে আসে ২৯ এ। পরের দুই বছর (২০০৮ ও ২০০৯ সালে) স্কোর ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪এ উন্নীত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পরবর্তী বছরগুলোতে। বরং বছর বছর স্কোর কমেছে এবং মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে নেমে আসে ২০১৪ সালে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ( টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'মানুষ কে প্রটেক্ট করার নামে মানুষের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এখন ক্ষমতার রাজনীতির সাথে স্বাধীন মত প্রকাশের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।'

এ সময় দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটে জনগণ সবচেয়ে বিপদে আছে। নাগরিক পরিসরে সংকুচিত হচ্ছে। রাষ্ট্র যদি জনগণকে ভয় পায় বা সন্দেহ করে তবে তা সবচেয়ে বিপজ্জনক।'

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

;

চট্টগ্রামে প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট কাস্টিং ভালো: ডিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট কাস্টিং ভালো বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, 'আজকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। জনসাধারণ ভোট দিতে আসছে। কিছু কিছু কেন্দ্র এখন পর্যন্ত কাস্টিং কম হয়েছে, আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে বেশি হয়েছে। মহিলাদের কিছু কেন্দ্রে কম, এর জন্য গরম একটি কারণ হতে পারে।'

ডিসি বলেন, 'এখানে আমাদের যে দায়িত্ব একটি নির্বাচন উপলক্ষে সুন্দর এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা। 'ল' এবং অডারটি দেখে আমরা সেই কাজটি করছি। যাতে করে ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন এবং বিশ্বাস করতে পারেন এখানে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।'

দুপুরের পর ভোটার আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমাদের ধারণা যে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মধ্যাহ্ন ভোজের পর ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন। এখন পর্যন্ত যে ভোট কাস্টিং হয়েছে সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যথেষ্ট। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের এই ভোটগ্রহনণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত তুলনামূলক ভাল।'

হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, 'আমাদের দেশে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি এখানে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। এর থেকে অনেক সময় দেখা তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়ে থাকে। আমরা হাটহাজারীর জোবরা কেন্দ্রে এ ধরনের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সেখানে আমাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন এবং পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোট গ্রহণে কোন সমস্যা হয়নি।'

এদিকে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ তিন উপজেলা ২১ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।'

;

অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অবাক হয়েছেন বলে মন্তব্য করে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ বলেছেন, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি এমন কিছু করিনি যাতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সুনাম ক্ষুন্ন হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আগে কিছুই জানানো হয়নি দাবি করে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ বলেন, বিজিবি মহাপরিচালক এবং সেনাবাহিনীর প্রধান থাকাকালীন আমার ভাইয়েরা বা নিকটাত্মীয় কেউ এসব প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারি করেছে তার তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে সব মেনে নেবেন।

তিনি দাবি করেন, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া তো অভিযোগ প্রমাণিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র কীসের ভিত্তিতে কোন অভিযোগের ওপর ভিত্তিতে আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা বিরুদ্ধে আইনি বা অন্য কোনো প্রক্রিয়া না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোন আইনি প্রক্রিয়া বা প্রতিবাদ জানাবেন কী না, জানতে চাইলে আজিজ আহমেদ বলেন, আমি মনে করি এগুলো সত্য নয়। তাই এর প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজন মনে করছি না। তিনিসহ তার পরিবারের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে, কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। তার সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পৃক্ত ওতপ্রোতভাবে। অভিযোগ দুইটা একই, কিন্তু এখানে বিস্তারিত বলা হয়নি।

আজিজ আহমেদ বলেন, আমাকে যে দুই কারণে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার কী কোনো ভিত্তি আছে? তারা বলেছে, আমি আমার পদ-পদবি দিয়ে আমার ভাইকে নাকি সহযোগিতা করেছি। আমি কোনো অপরাধ করিনি যে শাস্তি পেতে হবে। তারা আমার বিরুদ্ধে যে-সব অভিযোগ তুলেছে তার কোনো প্রমাণ থাকলে আমাকে দিক।

;