'রাজনৈতিক অর্থনীতির জনবান্ধব চর্চা জরুরি'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পরিচালনা পরিষদের অভিজ্ঞতায় মনে করেন, "সব সময় রাজনৈতিক কথাবার্তা বলার চেয়ে রাজনৈতিক অর্থনীতির জনবান্ধব চর্চা করা জরুরি।" চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিনিয়র প্রফেসর ও শিক্ষাবিদ মনে করেন, "আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে অনেক স্বল্পোন্নত দেশেরই স্বাধীনতা ও অর্থনীতি বিপন্ন। ফলে বাস্তবতার নিরিখে নীতিনির্ধারকদের সঠিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"

বার্তা২৪.কম'র সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রফেসর পারভেজ বলেন, "সারা পৃথিবীই এখন একটি 'অর্থনৈতিক মন্দার ব্ল্যাক হোল'-এর দিকে যাচ্ছে বা ঢুকে গেছে। এ বিষয়ে কারো কোনও সন্দেহ নেই। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন। ধারণা করা হচ্ছে যে, ২০২৩ সালের এপ্রিলের দিকে খাদ্যাভাব এবং নানাবিধ আর্থিক সঙ্কট দেখা দেবে। মূলত চলমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সারা পৃথিবীতে খাদ্য সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্থ হবে। অনেক দেশ তার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে খাদ্য জমা করবে। আবার অনেক দেশ খাদ্য রফতানি করবে না। এমতাবস্থায় অনেকে 'প্যানিক বায়িং' করবে। আবার অনেকে খাদ্য মজুদ করবে। এসবের কারণেও খাদ্যের অভাব বিশ্বের দেশে দেশে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।"

প্রফেসর সৈয়দো আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, "এই সময় সকলে বলছে মিতব্যয়ী হতে। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, আঠার মাস এ অবস্থা থাকতে পারে। তাই এ সময় কেনাকাটা কিছু কম করতে হবে। আর যা নগদ আছে তা খরচ না করার বা কেনা কমিয়ে দেওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। তবে সঙ্কুল পরিস্থিতিতে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতেও ধস নামতে পারে। ফলে অনেক লোক বেকার হয়ে যাবে। অনেক লোক পেশা বদলাতে বাধ্য হবে।"

আর্থিক সমস্যার কবল থেকে বাঁচার জন্য তখন অনেকেই তাদের আদি পেশায় ফেরার কথা ভাববেন বলে তাঁর অভিমত। তিনি বলেন, "পরিস্থিতি হবে কবিতার 'এবার ফেরাও মোরে' উক্তির মতো। মানুষ আবার কৃষির দিকে চলে আসবে। পৃথিবীও নতুন করে কৃষি পণ্য উৎপাদন, কৃষি পণ্যের বিকাশের দিকে ফিরে যাবে। এর ফলে কৃষি পণ্য নির্ভর শিল্পের বিকাশ হবে। এতে করে যারা অনেক হাইটেক জিনিস, অনেক বিলাশবহুল, দামি ডিভাইস, দামি ঘড়ি, দামি গাড়ি কেনে, তারা সেই দিকের ব্যয় সঙ্কোচন করতে বাধ্য হবে। তবে, বিশ্বের একটি অংশের মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পতিত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে। বাড়বে বেকারত্ব, দারিদ্র ও ক্ষুধা।"

তিনি বলেন, "আমি মোটা দাগে মনে করি, আসন্ন মন্দায় বিশ্বে খারাপের পাশাপাশি ভালোও হবে। আমি বলছি না খারাপের চেয়ে ভালো বেশি হবে। তবে খারাপ প্রভাবের মতো ভালো প্রভাবও থাকবে।"

প্রফেসর পারভেজ বলেন, "আমেরিকার অধিকাংশ সম্পদ ১% লোকের হাতে, বাংলাদেশর অধিকাংশ সম্পদ ৩-৪% লোকের হাতে। এটাই হচ্ছে পৃথিবীর চিত্র। এই একশ বা একহাজার বিলিয়নিয়ার বা ১০০ ট্রিলিয়নিয়ারের হাতেই পৃথিবীর প্রায় সব সম্পদ পুঞ্জিভূত। পরিস্থিতির অভিঘাতে এই বিন্যাসেও পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ নতুন করে পালাবদল হবে আর্থিক স্তর বিন্যাসে। বড় বড় বিলিয়নিয়াররা গবীর হয়ে যাবে। কেউ কেউ সুইসাইড করবে। আবার এর মধ্যে কেউ কেউ বুদ্ধি খাটিয়ে টাকা আয় করবে। এখানে শুধু ব্যক্তির কথা বলছি না। আমি বিভিন্ন দেশ ও জাতির কথা বলছি। যেমন: আমেরিকানরা লন্ডভন্ড অর্থনীতির দুর্দশা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকেও এসব মাড়িয়ে চলে যাবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে তারা, যারা যতটা সম্পদশালী ছিল, তার থেকে বেশি বেশি দেখিয়েছে। তারা এই ক্রান্তিকাল ঠেকাতে পারবে না। কারণ, এই বাড়তি ব্যয়ের জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না। ফলে আমাদের নীতিনির্ধারকদের আগাম অপচয় রোধ, ব্যয় সঙ্কোচন ও কৃচ্ছ্বতার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয়ে সম্ভাব্য আর্থিক বিপদ উত্তরণে এখন থেকেই নীতি ও কর্মসূচিগত সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।"

   

জাবি শাখা ছাত্রদলের মশাল মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ডাকা দশম দফায় অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সাভারের সি অ্যান্ড বি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মশাল মিছিল করে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সাভারের সি এন্ড বি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে মশাল মিছিল করেন।

এসময় তারা বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। মিছিলটি সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের রফিক জব্বার হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান শুভ, মীর মশাররফ হোসেন হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ জানান, দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সরকার ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় ও নিন্দিত। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গিয়ে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেশকে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ধাবিত করছে,অর্থনীতির মূল ভিত্তি রপ্তানিমুখী শিল্পকে হুমকির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, স্বৈরচারী বর্তমান সরকারের ভয়াবহ এ ভয়াল করাঘাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত চলমান আন্দোলন কর্মসূচি জাতির মুক্তির ব্যবস্থাপত্র।

;

৫ বছরে বার্ষিক আয় বাড়লেও সম্পদ কমেছে হানিফের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৫ বছরে বার্ষিক আয় বাড়লেও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এর সম্পদের পরিমাণ কমেছে।

ঋণ রয়েছে ১০২ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ৭০০ টাকা। বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪ হাজার ১০ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ কোটি ৯৯ লাখ ১৬ হাজার ১১১ টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ২ কোটি ১৬ হাজার ৪৫২ টাকা। তবে হানিফের হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের কোনো তথ্য নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হানিফের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় থেকে জানা যায়, চারটি ব্যাংকে ১০২ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ৭০০ টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে তার। ‘দায়’-এর ঘরে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রিমিয়াম ব্যাংকে লোন ৪৭ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৪ টাকা। ক্রেডিট কার্ডসহ ন্যাশনাল ব্যাংকে লোন ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা, সিকিউরিটি ডিপোজিট ফার্ম হাউস প্রোপার্টিতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এনসিসি ব্যাংকে লোন ৫০ কোটি ৩ লাখ ৬ হাজার ৩১ টাকা।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ১৬১ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৯৯ লাখ ১৬ হাজার ১১১ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- হানিফের ১২ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮০ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে গাজীপুর দক্ষিণ বড়ই বাড়ি এলাকায় অকৃষি জমি আছে ৩ একর। যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ। কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকায় ০.১২৩১ একর জমি ও তৃতীয় তলা বাড়ি রয়েছে। যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ঢাকার গুলশানে ৫ কাঠা ৯ ছটাক ২৫ স্কয়ার ফিট জমি রয়েছে। যার দাম ৩ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ১৮০ টাকা। নয়াপল্টনে একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। শেয়ার বাজারে ৬ প্রতিষ্ঠানে হানিফের বিনিয়োগ আছে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টাকা।

হানিফের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৩১ টাকার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হানিফের নগদ টাকা রয়েছে ২ কোটি ১৬ হাজার ৪৫২ টাকা। কোম্পানির শেয়ার বা বন্ড ৪ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টাকা। রয়েছে তিনটি গাড়ি। যার মূল্য এক কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে, যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। টিভি, ফ্রিজ, এসি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। ২ লাখ টাকার খাট, সোফা ও অন্যান্য আসবাবপত্র রয়েছে। এ ছাড়া ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯ টাকা মূল্যের এনপিবি পিস্তল, ২২ বোর রাইফেল এবং ১২ বোর রাইফেল রয়েছে তার।

সম্পদ কমলেও হানিফের বার্ষিক আয় বেড়েছে। তার বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪ হাজার ১০ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া বাবদ আয় ৯ লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬ টাকা। চাকরি (এমপি ভাতা) ৬ লাখ ৬০ হাজার, ব্যাংক ইন্টারেস্ট ৯৭৪ টাকা।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ৩২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৮ টাকা।

১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে (মিরপুর-ভেড়ামারা) দলীয় সংসদ প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের সংসদ নির্বাচনে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া-১ আসনে (দৌলতপুর) দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত হলেও দেশের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উক্ত নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হলেও জোটগত নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

;

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন, তদন্ত কমিটি গঠন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসেল নামে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো.সম্রাট তালুকদার।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিমকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জকিগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন ও জেলা গোয়েন্দা শাখা( প্রশাসন) মো.জামশেদ আলম।

তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে যায় আসামি রাসেল।

রাসেল আহমদ রাসু জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলের বন্দ গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।

পলাতক রাসেল আহমদ রাসু (২৪) দুর্ধর্ষ চোর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে চুরির মামলায় বুধবার ভোর ৭টায় বিলেরবন্দ এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখে পুলিশ। ১০টার দিকে পুলিশ টের পায় হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসু পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাসেল আহমদ রাসু চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। রাসেল ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ছোট ছিদ্র দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।

এব্যাপারে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;

মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পের আগুনে দগ্ধ ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মহাখালীতে রয়েল পেট্রোল পাম্পে আগুনের ঘটনায় ৮ কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), সালাউদ্দিন (৪৫), আমির হোসেন (৩২), কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)।

দগ্ধ মো. মামুন শেখ জানান, তারা সবাই পাম্পের কর্মচারী। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তারা যখন কাজ করছিলেন, তখন পাম্পের ভেতর মেইন গ্যাসের পাইপ লাইনে বিকট বিস্ফোরণ হয়। তখন সেখানে আশপাশে থাকা তারা সবাই দগ্ধ হন।

বাচ্চু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহাখালী আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, তিনটি ইউনিট আধা ঘণ্টার বেশি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে ঘটনাস্থলে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা জানান, সিএনজি সিলিন্ডার মেইনটেনেন্স করতে গিয়ে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

 

 

;