লক্ষ্মীপুরে ভারীবর্ষণে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ চরমে
গত তিন দিনের ভারীবর্ষণে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ এবং পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাঘাট এবং মাঠ পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দিরা। ভেসে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার (১ অক্টোবর) বিকেল থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। এরপর দিন ও সারারাত টানা বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবার সন্ধ্যার আগমুহূর্ত থেকে জেলার বিভিন্নস্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তারা জানায়, টানা বৃষ্টিপাতে নীচু এলাকাগুলোতে পানি জমে গেছে।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আটিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, গতরাতের বৃষ্টিতে আমার ঘরের আশপাশ তলিয়ে গেছে। চলাচলের পথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছি।
একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের বাসিন্দা জান্নাতুল নাইম বলেন, বৃষ্টির পানিতে বাড়ির পথঘাট ডুবে গেছে। এতে চলাচলে কষ্ঠ হচ্ছে।
নুর হোসেন নামে একজন বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করার কারণে বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। এখন বিভিন্নস্থানে নীচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অনেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে পৌর এলাকার সিটি হাসাপাতালের সামনে,সমসেরাবাদ কালীবাড়ির সামনে,দক্ষিন তেমুহনী ডিসি কলোনীর সামনে সড়কে পানি জমে চলাচলে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া ১৩ নং ওয়ার্ড,১৪ নং ওয়ার্ড ও ১৫ নং ওয়ার্ডে অধিকাংশ সংযোগ সড়ক পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাছুম ভূঁইয়া বলেন,বিভিন্ন জায়গায় ড্রেনের মুখ আটকা পড়ে আছে এবং সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনার কারনেও পানি নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। গতকাল থেকে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব বদ্ধ ড্রেন উম্মুক্ত করা সহ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেয়ার কাজ করছি। আশা করি সমস্যার অবেকটা সমাধান হয়ে যাবে।