ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় অফার হোটেল ফ্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,
ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় অফার হোটেল ফ্রি

ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় অফার হোটেল ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশকে জানা আর বিদেশকে চেনার উপলব্ধি থেকেই মানুষ দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। আর সেই ঘুরে বেড়ানোকে সহজ সাধ্য করার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজার এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মালদ্বীপ, ব্যাংকক ও কলকাতায় আকর্ষণীয় অফার ঘোষণা করেছে।

শীতের আগমনে দেশীয় পর্যটকরা দেশ বিদেশ ভ্রমণে নানা পরিকল্পনা সাজিয়ে নেয়। সেই পরিকল্পনাকে সহজলভ্য করার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মালদ্বীপ ভ্রমণকে আকর্ষণীয় করার জন্য ২টি টিকেট কিনলেই ২ রাত হোটেলে ফ্রি থাকার সুবর্ণ সুযোগ করে দিচ্ছে। নয়নাভিরাম নীলাভ মালদ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ন্যূনতম ৪৮,৫০০ টাকার প্যাকেজে থাকছে ঢাকা থেকে মালদ্বীপের রিটার্ন এয়ার টিকেট, এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাওয়া আসা আর বুফে ব্রেকফাস্ট। মালদ্বীপ প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত হোটেলগুলো হচ্ছে আইকম ম্যারিনা সি ভিউ, ট্রিটন বিচ হোটেল অ্যান্ড স্পা, হোটেল এরিনা বিচ ও হোটেল কানি গ্র্যান্ড।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় তীর্থস্থান। আর বাংলাদেশি পর্যটকরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ব্যাংকক ভ্রমণের জন্য। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ব্যাংকক ভ্রমণে সেই সুযোগটাই করে দিচ্ছে। ইউএস-বাংলার ২টি ঢাকা-ব্যাংককের রিটার্ণ টিকেট কিনলেই ২ রাত ফ্রি হোটেলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ন্যূনতম ৩৪,৮০০ টাকা থেকে ব্যাংকক প্যাকেজের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা-ব্যাংকক রিটার্ন এয়ার টিকেট, ২ রাত হোটেল থাকার ব্যবস্থা ও বুফে ব্রেকফাস্ট। প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত হোটেলগুলো হচ্ছে- হোটেল ম্যানহাটন, হোটেল অ্যাম্বাসেডর, হোটেল গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট।

শুধু বিদেশ নয় দেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজারে ২টি রিটার্ন টিকেট কিনলেই ২রাত হোটেলে থাকার সুযোগ থাকছে। ন্যূনতম ১৩,০০০ টাকায় পাকেজে ঢাকা-কক্সবাজার রিটার্ন এয়ার টিকেট, এয়ারপোর্ট-হোটেল ট্রান্সফার, বুফে ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভূক্ত। ইউএস-বাংলার কক্সবাজার প্যাকেজের অধীনে রয়েছে হোটেল সি প্যালেস, গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল, হোটেল সি গাল, হোটেল দ্যা কক্স টুডে, হোটেল লং বিচ, হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ণ হেরিটেজ, হোটেল সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, হোটেল সায়মন বিচ।

মালদ্বীপ, ব্যাংকক ও কক্সবাজারের “২টি রিটার্ণ টিকেট কিনলে ২ রাত হোটেল ফ্রি” অফারটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে কিন্তু চলতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাবে।

এছাড়া ন্যূনতম ১৮,৬৪০ টাকায় কলকাতা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ২ রাত ৩ দিনের প্যাকজটিতে ঢাকা-কলকাতা রিটার্ন এয়ার টিকেট, ২ রাত হোটেল, বুফে ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভূক্ত। কলকাতা প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত হোটেলগুলো হচ্ছে হোটেল দ্যা কর্পোরেট, হোটেল কেম্পটন, হোটেল পিয়ারলেস ইন। প্যাকেজটি আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

অফারগুলো কমপক্ষে ২ জনের জন্য প্রযোজ্য। প্রয়োজন সাপেক্ষে শিশু ও বাচ্চাদের জন্য আলাদা প্যাকেজ মূল্য প্রযোজ্য। সকল ধরনের চার্জ অন্তর্ভূক্ত।

এ অফারটি ইউএস-বাংলার নিজস্ব যেকোনো সেলস্ কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

অফারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউএস-বাংলার সকল সেলস কাউন্টারে অথবা ০১৭৭৭৭৭৭৮৮১-৮৮৩ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

   

কক্সবাজারে তীব্র গরমে স্বস্তির সমুদ্রস্নান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে জনজীবন অস্থির। তীব্র গরমের কারণে যখন মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকদের সমাগম হয়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ আর পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে স্বস্তি খুঁজছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে ৫০ হাজরের অধিক পর্যটক সৈকতের এই তিনটি পয়েন্টে গোসলে নেমেছে।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রচণ্ড গরমে ছুটি পেয়েই সমুদ্রস্নান করতে চলে এলাম কক্সবাজারে। খুবই আনন্দ লাগছে। পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আরও কয়েকদিন ছুটি পেলে ভালো হতো এখানে থেকে যেতাম। সমুদ্রের পানি খুবই ঠান্ডা। অনেক ভালো লেগেছে।

ঢাকার লালবাগ থেকে আসা পর্যটক মুখলেসুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে স্বস্তির জন্য আসলাম কিন্তু সবখানে খুবই গরম। এই গরমে সমুদ্রে গোসলে নামলাম খুবই দারুণ অনুভূতি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক ভালো। লাইফগার্ড কর্মীরা দূরে গেলেই বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করছে। সবকিছু অনেক ভালো।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কক্সবাজারে ঘুরতে এসে যেন নিরাপত্তাজনিত কোন সমস্যা না হয় সেজন্য কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেখানে কাজ করছে সি সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা।


সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র লাইফগার্ড রুহুল আমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক পর্যটক গোসলে নেমেছে। এই তিনটি পয়েন্টই মূলত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা কাজ করি। এই তীব্র গরমের মধ্যে কেউ উপরে থেকে সমুদ্র উপভোগ করছে না। সবাই সমুদ্রে নেমে যাচ্ছে এজন্য আমাদের জন্য একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ এখনো পর্যন্ত অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ঘুরতে আসছে। আমরা পর্যটন ব্যবসায়ীরা খুবই আনন্দিত। আমাদের ভালো ব্যবসা হচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ, ইনানী-পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত, মহেশখালী-সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং রামুর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরতে যাচ্ছেন পর্যটকরা।

;

বরিশালে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি গ্রামের এক কৃষকের বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আমিরুন নেছা নামের শতবর্ষী এক নারীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। তবে কিভাবে ঘরে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন নিহত বৃদ্ধার স্বজন ও স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উদয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাহাদ আহমেদ ননী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে কৃষক মোশাররফ হোসেনের বসত ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় ঘরের মধ্যে থাকা সবাই দৌঁড়ে বের হতে পারলেও কৃষক মোশাররফ হোসেনের ১২০ বছর বয়সের মা আমিরুন নেছা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই বসতঘরসহ বৃদ্ধা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওসি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

;

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র সই হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেছেন।

দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেছেন।

থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছে।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরন করছে।

 

;

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশেষ অর্থনৈতিক খাত, হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়।

বাংলাদেশ একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বর্তমান পরিধি বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শক্তিশালি দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেছেন।

থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছে।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরন করছে।

তিনি বলেন, আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিমসটেক মোট ১৮০ কোটি জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেছেন।

সূত্র- বাসস

;