সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে ৫ টাকা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তেলের পর এবার অস্থির চিনির বাজার। হঠাৎ করে বাজারে চিনির সরবরাহ কমে গেছে। যার ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বাজারগুলোতে এখন ১০০ থেকে দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে খোলা চিনির সরবরাহ কম। আর প্যাকেটজাত চিনি সবখানে মেলেও না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সরেজমিনে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

খিলক্ষেত বাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. রাসেল মিয়া বলেন, প্রতি কেজি চিনি ১০০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে তা কখনও চিন্তায়ও আসেনি। বাজারে অন্যান্য পণ্যের মতো চিনির দাম নিয়েও বিক্রেতারা কারসাজি করছে। রমজানে চিনির কদর বেশি থাকলেও সে সময়ও দাম কখনও ১০০ টাকায় ওঠেনি। এখন এই দামে বিক্রি হচ্ছে।

নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, খুচরা বাজারে চিনির সরবাহ কমে গেছে। পাইকারি বিক্রেতারা চিনির সংকট বলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে খুচরা বাজারে চিনির দাম বাড়তি। তবে মনে হচ্ছে, চিনি নিয়ে পাইকারি বিক্রেতারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়েছে।

কাওরান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মো. আলী হোসেন বলেন, হঠাৎ করে বাজারে চিনির সরবরাহ কমে গেছে। আমাদের চাহিদা ২৫ গাড়ি চিনি, কিন্তু আমরা পাচ্ছি ১০ গাড়ি। এতে পাইকারি বাজারে পণ্যটির সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মিল পর্যায়ে দাম বাড়ায় পাইকারিতেও দাম বেড়েছে।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা যৌক্তিক ভাবে বাড়িয়েছেন কিনা তা দেখতে হবে। কারণ বিক্রেতাদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা আছে। তারা সুযোগ পেলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটে। চিনির দাম বাড়ার পেছনে এমন কিছু আছে কি না তা দেখতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে বাজার মনিটরিং করতে হবে।