কত এমপি আইলো-গেলো আমাগো কপালে ব্রিজ হইলো না!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কত এমপি আইলো-গেলো আমাগো কপালে ব্রিজ হইলো না। সবাই ভোটের আগে কথা দিয়া যায়, কেউ আর কথা রাখে না। এই ব্রিজটার জন্য কত যে কষ্ট করতে হয় আমাগো। দুইবার পইরা যাইয়া দুক্ষু (ব্যথা) পাইছি। মরার আগে যদি ব্রিজটা দেইখা যাইতে পারতাম। তাহলে মনে শান্তি পাইতাম। আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার খাটরা গ্রামের বৃদ্ধা রোজিনা বেগম (৭০)।

টাঙ্গাইলের বাসাইলে লাঙ্গুলিয়া নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকো এলাকাবাসীদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কিন্তু উপজেলার খাটরা গ্রামে কাঠের সাঁকোটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এর ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। স্থানীয়দের দাবি, বহু প্রতীক্ষিত হলেও স্বাধীনতার ৫১ বছরেও এ নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ফুলকি ও খাটরা, বল্লা, কাজিপুরসহ ৩০-৩৫টি গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরে পৌঁছানোর একমাত্র রাস্তা এই কাঠের সাঁকো। এছাড়াও কাউলজানী বোর্ড বাজার এলাকায় সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়, কয়েকটি ব্যাংকের শাখা, লুৎফা-শান্তা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কাউলজানী নওশেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। অপরদিকে কালিহাতী উপজেলার রামপুর, গান্ধিনা, তেজপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। প্রায় ১০-১২ বছর আগে নদীটির ওপর গ্রামবাসীরা কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করে। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত এলাকাবাসীর ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি।

সাঁকো দিয়ে কোন রকমে পায়ে হেঁটে পারাপার সম্ভব হলেও যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জেলা সদরে কোন রোগী নিয়ে গেলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে নিতে হয়। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন কাঁচামাল বাজারজাতকরণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষের। ফলে এ এলাকার মানুষের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করে পণ্যে খরচ পড়ছে বেশি ও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

স্থানীয় আব্দুল হাই সিকদার বলেন, কাঠের সাঁকো হওয়ার আগে আমাদের নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। এই সাঁকোটি প্রয়াত সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহান করে দিয়েছিলেন। তারপর আর কেউ খোঁজ নিতে আসে নাই। এখন এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই সরকারে কাছে আমাদের দাবি আমরা এখানে একটি ব্রিজ চাই।

খাটরা গ্রামের রমেশ চন্দ্র সরকার বলেন, অনেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ আমাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। আমরা অনেক দিন ধরে একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখছি কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল।

কৃষক শাওন মিয়া বলেন, দেশের কত জায়গায় কত উন্নয়ন হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় এই ব্রিজটি আর হলো না। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি আমরা এখানে একটি ব্রিজ চাই।

বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ব্রিজটি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আশা করছি দ্রুতই এই ব্রিজটি হয়ে যাবে। এই ব্রিজটি করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাসাইল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল জলিল জানান, খাটরা গ্রামের লোকজন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করে। ওই স্থানে স্থায়ীভাবে একটি ব্রিজ হওয়া দরকার। বড় একটি ব্রিজের প্রস্তাব করেছি। অতি গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজটি করছি। দ্রুতই দরপত্র আহবান করা হবে। আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে।

   

সরকারের চলতি মেয়াদে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর টার্গেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার চলতি মেয়াদে আগামী ৫ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর কুটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৮৭ জন কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জনশক্তি রপ্তানীতে অসখ্য দালালচক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। এসব দালাল চক্র দমনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সতর্ক রয়েছে। বিদেশগামী কর্মীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে দেশের সব বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ চলছে। ভিসা দালাল ও মানবপাচার সংক্রান্ত কোনো গুরুতর অভিযোগ এ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।

এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স কমিটি (ভিটিএ) অভিযান পরিচালনা করছে। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অপরাধে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্ট, মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যক্তি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড প্রদান করছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, কোন দেশে কত জন বৈধ কর্মী কাজ করছেন তার কোনো ডাটা বেইজ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এটা তৈরিতে কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, বিদেশগমন ও আগমনকালে কর্মীদের সাময়িক অবস্থানের জন্য ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য মাহবুব উর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রবাসে মৃত প্রতিটি কর্মীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা হারে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রবাসে মৃত ৬ হাজার ১৮৮ জন কর্মীর পরিবারকে ১৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৮ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রবাসে কোনো কর্মী মারা গেলে বিমান বন্দরেই তার স্বজনের হাতে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৪ হাজার ১৪৩ জনকে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অসুস্থ কর্মী দেশে আনা, হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার্থে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ২০১২-১৩ অর্থ-বছরে ৪২৩ জন আহত ও অসুস্থ কর্মীকে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া ও ওয়ারিশদের নিকট বিতরণ; ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে এক হাজার ৪৬১ জন প্রবাসী কর্মীর অনুকূলে ৯৪ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ৮১৬ টাকা আদায় করে তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।

;

হকার উচ্ছেদ বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট ও কামরাঙ্গীচর এলাকায় ফুটপাত থেকে বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন ও উচ্ছেদ হওয়া হকাররা।

বুধবার (৮মে) রাজধানীর লালবাগ উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে লালবাগ ডিসি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতারা।

জীবন-জীবিকা রক্ষায় হকারদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো- পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা চলবে না। হকারদের অর্থনৈতিক অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করে হকারদের নিকট থেকে রাজস্ব আদায় করতে হবে। হকারদের উপর মামলা-গ্রেফতার দমন-পীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত হকারদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। দখলকৃত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে হকারদের বরাদ্দ দিতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ৫ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় বাজেটে হকারদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। হকার্স মার্কেটগুলোতে প্রকৃত হকারদের নামে বরাদ্দ দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ফিরোজ মোল্লা, বংশাল থানা হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা সালাউদ্দীন, কোতোয়ালি থানার সভাপতি কায়ুম, সূত্রাপুর থানার সাধারণ সম্পাদক নাদিম, মহিলা সম্পাদিকা শাহিনা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট ও কামরাঙ্গীচর এলাকায় নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ ও মালামাল ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর ফলে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ লাখো মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় ক্ষতি নিয়ে এসেছে।

তারা বলেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, দিন আনে দিন খায় এই অসহায় হকাররা কি করবে? কোথায় যাবে? পরিবারের ভরণ-পোষণ দিতে পারছে না, বৃদ্ধ মা-বাবার ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছে না, বাড়ি ভাড়া বকেয়া, সমিতির কিস্তি বকেয়ার হয়রানি হতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে ফুটপাতের হকারদের বিরুদ্ধে চলছে এক নির্মম ও নিষ্ঠুর অভিযান। উচ্ছেদের নামে প্রতিদিন ব্যাপক ভাঙচুর, মালামাল নষ্ট, লুটপাট চালানো হচ্ছে। হাজার হাজার স্বল্প পুঁজির হকার মালামাল হারিয়ে, রুটি-রুজির জায়গা থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এই মানুষগুলো সর্বশান্ত অবস্থায় পরিবার, পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

;

খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।

বুধবার (৮ মে) খুলনার ডুমুরিয়ার থুকড়া এলাকার আনন্দ আশ্রয় ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-কে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার ও প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৩৫ হাজার টাকা এবং সিটি বাইপাস রোড এলাকার খুলনা রিজিওনাল ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় খুলনা ডুমুরিয়া থানার থুকড়া ও সিটি বাইপাস এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, ডাব, তরমুজ, বিদেশি ফল, ডিম, ডায়াগনস্টিক, হসপিটাল ও ফ্যানের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়। তাছাড়া সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করে।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি, ক্যাব খুলনার সদস্য জেড. এন. সুমন, আনসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

;

‘খাদ্যদ্রব্য পচনরোধে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পচনশীল খাদ্যদ্রব্য মজুতের লক্ষ্যে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হবে বলে সংসদে জানিয়েছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আধুনিক হিমাগার নির্মাণের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘পেঁয়াজসহ পচনশীল কৃষিজাত পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আধুনিক হিমাগার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চারশত ২৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা সম্পূর্ণ জিওবি অনুদানে ব্যয়ে মার্চ ২০২৪ হতে জুন ২০২৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে । টিসিবি থেকে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ১০০% জিওবি অনুদানে বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগের অনুমতি গ্রহণের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ বিভাগের অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফরিদপুরে ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এবং পাবনা জেলায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হিমাগার নির্মিত হবে। এতে সর্বমোট ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ অথবা পচনশীল কৃষিজাত পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত পণ্যদ্রব্য দেশের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। মৌসুমের সময় পেঁয়াজসহ পচনশীল কৃষিজাত পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করে কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

;