গফরগাঁওয়ে বিলুপ্ত লাফা বেগুনের এলাকায় তাল বেগুন চাষ!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে বিলুপ্ত লাফা বেগুনের এলাকায় তাল বেগুন চাষ!

গফরগাঁওয়ে বিলুপ্ত লাফা বেগুনের এলাকায় তাল বেগুন চাষ!

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নামের সাথে লাফা বেগুনের নামটি জড়িয়ে আছে। গফরগাঁও সারা দেশ এবং বিদেশে ও খ্যাতি লাভ করে লাফা বেগুন দিয়ে। এক হালি লাফা বেগুন আর ১ মণ ধানের দাম সমান ছিলো। লাফা বেগুন দিয়ে অনেকের চাকরি হয়েছে বলেও লোকমুখে শোনা যায়।

রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থামার পরই চোখে শোনা যেতো হকারের হাক “বেগুন......বেগুন”। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে লাফা বেগুন।

বিশেষ প্রজাতির এই বেগুন দেখতে গোলাকার, কিন্তু দেহ মসৃণ নয়; অনেকটা ঢেউ খেলানো খাজকাটা। সাইজে বেশ বড়।

সম্প্রতি গফরগাঁওয়ে এক ধরনের বেগুন চাষ হচ্ছে। যা দেখে বয়োবৃদ্ধরা অবাক হয়েছেন। তাঁরা বেগুন চাষের  হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিতে হাতড়াচ্ছেন। তবে সেটা লাফা বেগুন নয়, নতুন প্রজাতির তাল বেগুন।  মাটির গুনাগুন ও আবহাওয়ার কারণে স্বাদে লাফা বেগুনের মতো বলে কৃষকের দাবি।

জানা যায়, উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মাওলানা বশির আহম্মেদ (৪২) প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে এই বেগুন চাষ করেন। ময়মনসিংহ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে তাল বেগুন জাতের চারা সংগ্রহ করেন। খেতে পরিচর্যা করে তিনি সফল হন। গত বছর বেগুন বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করেন। প্রথমে তিনি কোন বীজ সংগ্রহ করেননি। কিন্তু তারই জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করেন প্রতিবেশী সোহেল মিয়া। পরে মাওলানা বশির তাঁর কাছ থেকে ৫০ গ্রাম বীজ নেন। চলতি মৌসুমে শ্রাবণের শুরুতে বীজ তলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করেন। ভাদ্র মাসে ১০০ শতক জমি প্রস্তুত করে দেড় ফুট অন্তর অন্তর চারা রোপণ করেন।


সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি ৩-৪ ফুট গাছে ৭-৮ টি বেগুন ঝুলছে। এগুলো একেকটা প্রায় ৫০০-৮০০ গ্রাম ওজন হবে। এ বেগুনের প্রচার আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। প্রবাসীদের স্বজনরা বিদেশেও বেগুন পাঠিয়েছে । এখন প্রতিদিনই প্রায় ১ মণ করে বেগুন তোলেন। পাইকারী বাজারে এ বেগুন প্রায় ৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন। খুচরা বাজারে বেগুনের মূল্য ১০০ টাকা। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জমিটি দেখতে আসেন ও বেগুন কিনে নিয়ে যান।

প্রবীণ কৃষক জমির মিয়ার কাছে লাফা বেগুনের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাফা বেগুন আর নেই। চরমছলন্দ গ্রামের কয়েকজন কৃষক এ বেগুন চাষ করতেন। বেগুন চাষের কিছু জমি নদী গর্ভে চলে গেছে । আর এ বেগুনের জাতটি হারিয়ে যাওয়ার একটি কারণ হলো এ বীজ কেউ কাউকে দিতো না। গাছ দিতো ঠিকই কিন্তু বীজ দিতো না। শুনেছি বেগুনের শেষ বীজ যে চাষির কাছে ছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই বছর ফলন আর হয়নি। সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়ে যায় বেগুনের এ জাতটি।

কৃষক মাওলানা বশির জানান, আমাদের লাফা বেগুনের ঐতিহ্য আছে। লাফা জাতের বেগুনটি হারিয়ে গেছে। তাল জাতের বেগুনটির স্বাদ প্রায় লাফা বেগুনের মতো। আমাদের চরআলগীর মাটি ও আবহাওয়া বেগুন চাষে উপযোগী। তাই এ মাটিতে জন্মানো বেগুনের স্বাদও ভিন্ন। আমি তাল বেগুন জাতের চারা গত বছর প্রথম রোপণ করে সফল হয়েছি। এ বছরও ১ একর জমিতে চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। নিজেই চারা উৎপাদন করে নেওয়াতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমার খরচ কম হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এখনও মাঠে অনেক ফলন আছে।  কাঙ্ক্ষিত ফল পাবো আশা করি।

গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, মাওলানা বশির সফল কৃষক। আমি তাঁর বেগুন চাষ দেখে বেগুন ও চারা দুটোই সংগ্রহ করেছি। এ বেগুনের স্বাদ একটু ভিন্ন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ বলেন, কৃষক বশিরকে পরামর্শ ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সে আগাম আউশ ধানের চাষ করে তাক লগিয়ে দিয়েছে। বেগুন চাষেও তিনি সফল হবেন। তিনি একজন আদর্শ কৃষক। তাঁকে অনুসরণ করে এ বছর আরও ২ জন কৃষক বেগুনের চাষ করেছে।

   

অবৈধ বালুমহাল থেকে ১০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
অবৈধ বালুমহাল থেকে জব্দ করা বালু। ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ বালুমহাল থেকে জব্দ করা বালু। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিভিন্ন বালুমহালে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদিসহ ১০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলার কাঞ্চননগর, শোভনছড়ি ও লেলাং খালে বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি।

তিনি বলেন, আজকে বালুমহালটির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কিছু পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। লেলাং খাল বালুমহালে ১০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে উন্মুক্ত ও তাৎক্ষনিক নিলাম আহ্বান করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযান চালানো এলাকাগুলোতে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে পাহাড়, টিলা ও জমির ভূপ্রাকৃতিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয় বলে এমন উপায়ে বালু উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইজারাপ্রাপ্ত বা ইজারা বহির্ভূত সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও।

ওই অভিযানে জনসাধারণের উপস্থিতিতে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহায়তা করেন।

;

নন্দীগ্রামে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা, মাদকাসক্ত নাতি আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম বগুড়া
মাদকাসক্ত নাতি মহির। ছবি : সংগৃহীত

মাদকাসক্ত নাতি মহির। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌর এলাকায় জরিয়ন বেওয়া জরিনা (৭০) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে, জরিনাকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার সন্দেহে তার মাদকাসক্ত নাতিকে আটক করেছে পুলিশ।

পৌর সদরের ওমরপুর সড়কপাড়া জেলেপল্লী থেকে বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ষাটোর্ধ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় থানা পুলিশ।

মরদেহে কাঁদামাটি মাখা এবং গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে বলে জানা গেছে। আটক মহির উদ্দিন (২৫) ওমরপুর জেলেপল্লীর মোহাম্মদ আলীর ছেলে। নিহত বৃদ্ধা মৃত উকিল উদ্দিনের স্ত্রী ও মোহাম্মদ আলীর মা।

স্থানীয়রা জানান, বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে টিনসেড ঘর তুলে ছেলে এবং নাতিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন বৃদ্ধা জরিনা।

নাতি মহির মাদকাসক্ত হওয়ায় শাসন করতো দাদি। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মাঝেমধ্যেই নাতির মানসিক সমস্যা হয়। সে মাদক সেবনের পরপরই রেগে যেতো।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় এক শিশুকে উপরে তুলে মাটিতে আছাড় মারে মাদকাসক্ত মহির। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে দাদির সঙ্গে নাতি মহিরের ঝগড়া হয়। সে দাদিকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এক পর্যায়ে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে ওই বৃদ্ধাকে সে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিল না বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধার ছেলে মোহাম্মদ আলী। বাড়ির উঠানে কাঁদা মাটিতে পরেছিল মরদেহ।

এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে বৃদ্ধার নাতিকে আটক করা হয়েছে। বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা, ইশতিয়াক মাহমুদ গ্রেপ্তার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
মার্শা বার্নিকাট। ছবি : সংগৃহীত

মার্শা বার্নিকাট। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছর আগে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি মামলার বাদী সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক বলে জানা গেছে। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ওই হামলায় জড়িত অন্যান্য দুর্বৃত্তের সঙ্গে ইশতিয়াক মাহমুদও জড়িত ছিলেন।

ইশতিয়াক মাহমুদের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইশতিয়াক মাহমুদ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে আদালতে হাজির করা হবে।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার দুপুরে এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। একই সঙ্গে ৯ আসামির মধ্যে ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।

মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে বহনকারী গাড়ির ওপর হামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছে একাধিকবার জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার এবং এ ব্যাপারে কার্যকর ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে তারা।

;

আ.লীগের দুই নেতাকে হাতুড়ীপেটা করেছে দুর্বৃত্তরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাজবাড়ী
আহত মো. হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল (৩৫)। ছবি : সংগৃহীত

আহত মো. হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল (৩৫)। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজবাড়ীতে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই দুই নেতা স্থানীয় বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।

আহত দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, মিজানপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান শেখ (৪৫) ও একই ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মন্ডল (৩৫)।

স্থানীয়রা জানান, হান্নান শেখ মিজানপুর ইউনিয়নের জৌকুড়া ঘাটে বালু ব্যবসা করেন। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে হান্নান ও সাগর মন্ডল সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত হান্নান শেখ ও সাগরকে চাপাতি, রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

হান্নান শেখের স্ত্রী শিল্পী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীর সঙ্গে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য আজম আলী মন্ডলের দ্বন্দ্ব ছিল। আমার স্বামীকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিলেন ওই আজম। বিকালে আমার স্বামী চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় আজম মন্ডলের নির্দেশে মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের মো. বড় আলিম, পিয়াস, রাব্বি, শাকিল, কদম আলী, তসলিম তুষারসহ ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী আমার স্বামী ও সাগরকে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমার স্বামীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে আমার স্বামী ও সাগরের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আহত দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের সদস্য আজম আলী মন্ডল বলেন, ‘আমার লোকজন ওই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি সারাদিন রাজবাড়ীতে ছিলাম। হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল মাদক সেবন করে। স্থানীয়রা হয়তো তাদের গণপিটুনি দিয়ে থাকতে পারেন।’

রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।’

;