৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চল ক জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুর রহমােনর মৃত্যুবার্ষিকী



লেখক: মুজতবা আহমেদ মুরশেদ
বাম থেকে পেছনে তাজউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান। সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মানিক মিয়া। এ ছবিটি দৈনিক ইত্তেফাক অফিসে ১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ মাসে

বাম থেকে পেছনে তাজউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান। সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মানিক মিয়া। এ ছবিটি দৈনিক ইত্তেফাক অফিসে ১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ মাসে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চল ক জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুর রহমােনর মৃত্যুবার্ষিকী

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অগ্রসৈনিক বৃহত্তর দিনাজপুরের বিপ্লবী জননেতা এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান ছিলেন ১৯৭০ সালে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) এবং মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চল ক জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আজ ৪ ডিসেম্বর তাঁর ৩১তম মৃত্যুবাষির্কী। তিনি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠি । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজে তাঁরা একইসাথে পড়াশোনা করতেন এবং বেকার হোস্টেলে থাকতেন। দুজনেই ছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারি ।

১৯৭১ সালে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু হলে এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান, এম,এন,এ দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুর মহল্লাায় তাঁর বাসায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন । ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নির্দেশনায় বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নির্বাচিত আহ্বায়ক হিসাবে জেলায় নেতাকর্মী ও তরুণদের সংগঠিত করেন। ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানী সৈন্যরা দিনাজপুর দখল করলে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আঙ্গিক বদলে তাঁকে সভাপতি করে বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় পরিষদ গঠিত হয়। একাত্তরে জুলাই মাসে যুদ্ধ সেক্টরগুলো পূর্ণতা পাবার আগ পযন্ত এ পদাধিকারবলেই তিনি দিনাজপুর কেন্দ্রীয় মুক্তি-সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হিসাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর লেটারহেড প্যাডে অসংখ্য নির্দেশনা জারি করেছেন।

 এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান

মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো সম্পন্ন করলে, এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান, এমএনএ, মুক্তিযুদ্ধের ৭ নং এবং ৬ নং সেক্টর (অর্ধেক) অঞ্চলের ল্যাফটানেন্ট জেনারেল পদমর্যাদায় সিভিল এ্যফেয়ার্স এ্যডভাইজার, ফ্রিডমফাইটার্স রিক্রুটিং ও লিয়াঁজো অফিসার পদে দায়িত্ব প্রদান করে। জেনারেল ওসমানী স্বাক্ষরিত মুজিবনগর সরকার কর্তৃক ৩০ আগষ্ট জারি করা গোপন পরিপত্র নং: ০০০৯জি/২ অনুযায়ী মোঃ আজিজুর রহমানের সদর দফ্তর ছিল ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার অন্তর্ভূক্ত তরঙ্গপুরে। মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত সেই গোপন পরিপত্র অনুয়ায়ী কার্যত তিনি ৭ নং এবং ৬ নং সেক্টর (অর্ধেক) সেক্টরের সকল মুক্তিযোদ্ধার রিক্রুটিং ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনায় সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ছিলেন। উক্ত সেক্টরের সামরিক কমান্ডার এবং অধিনস্ত সকলের জন্যে বেসামরিক বিষয়ে তাঁর নির্দেশ মানাটা ছিল বাধ্যতামুলক। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য বিষয়েও পরামর্শ দেবার এখতিয়ার তাঁর ছিল। সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র্রে তাঁর সামরিক বিষয়ে প্রদত্ত পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে সেক্টর কমান্ডারকে জানানোর নির্দেশ ছিল।

উল্লেখ্য, পশ্চিমাঞ্চল প্রশাসনিক ক জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তার হিসাবেও দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি । মুক্তিযোদ্ধাদের অবিকৃত তালিকার লাল বই খ্যাত দলিলে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাঠামোয় ’স্বাধীনতার বীর সেনানী, স্বরণীয় যারা বরণীয় যারা’ শিরোনাম অধিভূক্ত ক্রম অনুযায়ি এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান এর কোড ০৭০০০০০০২১ এবং পরে দিনাজপুর -২ আসনের এম,এন,এ হিসাবে ০৭০০০০০০৩৯। সে দলিল অনুযায়ি প্রথমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রাষ্ট্রপতি হিসেবে।

মূলতঃ এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান, এমএনএ এর নেতৃত্বের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক শাসক মুুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সামরিক শাসক দেশদ্রোহীতা ও তিন হাজার লোককে গণহত্যার অভিযোগ এনে অক্টোবর মাসে সামরিক আদালতে তাঁকে হাজির হতে সমন জারি করে এবং পরে মৃত্যুদন্ড দেয়। এসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান (এপিপি) রিপোর্টে বলা হয়, ১৭ আগস্ট ১৯৭১ দুই দফায় ৩০ এমএনএ, কে সামরিক আদালতে তলব। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ঠাকুরগাঁয়ের মোঃ আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহযোগিতা ও ৩০০০ লোকের হত্যাকা-ে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে এক গর্ভস্থ মহিলাকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করা। এর পর গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দলিলপত্র: পঞ্চদশ খন্ড। পৃষ্ঠা ২২৭। এখানে এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান, এমএনএ এর প্রদত্ত বিবৃতির কিছু অংশ উল্লেখ করা অতি প্রাসঙ্গিক। তিনি লিখেছেন, “২৭ মার্চ দু ঘন্টার জন্যে কার্ফু তুলে নেয়া হয়। এ সুযোগে আমি বেড়িয়ে পড়ি এবং ইপিআর বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থির হয় দিনাজপুর ইপিআর ৮ম বাহিনীর বাঙালীদের দায়িত্বে থাকবেন ক্যাপেটর নজরুল হক এবং ৯ম বাহিনীর দায়িত্বে থাকবেন সুবেদার মেজর আবদুর রউফ। আর আমি বেসামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবো।”

তিনি আরোও উল্লেখ করেন, “২৪ শে মার্চে আমি ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুরের ইপিআর বাহিনীর কয়েকজন সুবেদার ও হাবিলদারের সঙ্গে গোপনে আলাপ করি এবং তাদের উপদেশ দেই পাক অফিসাররা তাদের অস্ত্র জমা দিতে বললে তারা যেন তা না করেন। তাদের আরও উপদেশ দেই, এরকম পরিস্থিতি দেখা দিলে তারা যেন অস্ত্রাগার দখল করে নেন। তারা এতে রাজি হন। দিনাজপুর ইপিআর বাহিনীর একজন সুবেদার যুদ্ধ ঘোষণার পূর্বেই অস্ত্রাাগার লুন্ঠন এবং পাক সৈন্যদের হত্যার জন্য আমার এবং জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি অধ্যাপক ইউসুফ আলীর কাছে অনুমতি চান। কিন্তু আমরা তাঁর এ প্রস্তাবে রাজি হইনি।

২৭ মার্চ পাক বাহিনী আমাকে অনেক খোঁজাখুজি করে। ২৮ শে মার্চ আমি এখান থেকে ঠাকুরগাঁয়ের ইপিআর বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য রওয়ানা হই। ২৯ শে মার্চ ঠাকুরগাঁ পৌঁছি। এখানে সুবেদার মেজর কাজিমউদ্দিন এবং ঠাকুরগাও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে একত্রে কাজ চালিয়ে যাই। সুগার মিলের জীপ নিয়ে দিনাজপুর ৯ নং ইপিআর বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ২৯ তারিখে রওয়ানা হই। ৩০ শে মার্চ দিনাজপুরের কাঞ্চনঘাটে আমাদের মু্িক্তবাহিনীর ঘাঁটিতে পৌঁছি। ঐ দিনই দিনাজপুরের ইপিআর ঘাঁটির সব অস্ত্র আমরা লাভ করি। এখানে রফিক সাহেব, ফয়েজ সাহেব, নাজিম ভুঁইয়া, জজ, আব্দুল হান্নান চৌধুরী এবং ক্যাপ্টেন নজরুল হকের সঙ্গে দেখা হয়। ভারতীয় বন্ধুগণ এখনে আমাদের রসদ সরবরাহ করতো।

৩১ মার্চ ঠাকুরগাঁ ঘাঁটি আমাদের দখলে আসে। রাত দশটায় আমরা অস্ত্রাগারের অস্ত্র নিজেদেরে অধিকারে আনি। এ সময়ে স্থানীয় গ্রামবাসী আমাদের সর্বাত্বক সহায়তা করে। এ সময়ে ভারতীয় সীমান্ত থেকে কিছু অস্ত্র ও অয়ারলেস সংগ্রহ করি। আমি ঠাকুরগাঁ ও পঞ্চগড়ের রেল লাইন অচল করে দেই এবং প্রাক্তন উইং কমান্ডার জনাব মির্জার সঙ্গে পরামর্শ করে শিবগঞ্জ বিমানঘাঁটি নষ্ট করে দেই। ক্যাপ্টেন নজরুলের দেয়া অস্ত্রসহ আমরা এলাকাব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ ও সংগঠনে তৎপর হই।

২রা এপ্রিল সীমান্ত পার হয়ে অস্ত্রের জন্য ভারতে যাই। সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সুবেদার কাজিম উদ্দিনকে পাঠিয়ে আমি ঐ তারিখে গভীর রাতে দেশে ফিরে আসি। ৩রা মার্চ আমাদের দিনাজপুরে যুদ্ধঘাঁটি পরিদর্শন করি। ঐ দিনই দিনাজপুরের ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন আরাফকে ঠাকুরগাঁয়ে ডেকে পাঠাই এবং মিটিং করে সৈয়দপুর ক্যান্টেনমেন্ট আক্রমনের পরিকল্পনা নেই। ৫ এপ্রিল আমি সেতাবগঞ্জ ও পীরগঞ্জ ঘাঁটি অভিমুখে রওয়ানা হই । ৬ এপ্রিল রাতে ভারতে যাই এবং কংগ্রেস নেতা বাবু আর দত্ত, এমএলএ, এর সাথে আলাপ করি। অধ্যাপক ইউসুফ আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামারুজ্জামান, মিজানুর রহমান, মনসুর আলী প্রমূখ নেতৃবর্গের সঙ্গেও সেখানে সাক্ষাৎ হয়।

১৩ এপ্রিল পশ্চিম দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ফিরি এবং সেখান থেকে এসে দিনাজপুর শহরের উপকন্ঠে প্রবেশের চেষ্টা করি। কিন্তু সে সময়ে পাক বাহিনী দিনাজপুরে প্রবেশ করে প্রবল গুলিবর্ষণ করে। রাতে ক্যাপ্টেন নজরুল হক, সুবেদার মেজর রউফ, সুবেদার ওসমান গনী সাহেবের সঙ্গে ভারত সীমান্তে সাক্ষাৎ হয়। এ সময়ে রাধিকাপুর ষ্টেশনে ভারতগামী হাজার হাজার শরনার্থী দেখতে পাই। এখান থেকে বিএসএফ ক্যাম্পে চলে যাই এবং সেখানে অবস্থান করি। ১৯ এপ্রিল মুক্তিবাহিনীসহ পাকবাহিনীর ঘাঁটি আক্রমন করি। যুদ্ধে আমরা জয়ী হই এবং প্রচুর খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করি। শরনার্থী ক্যাম্পের যুবকদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করি। আমার সঙ্গে এ সময় দিনাজপুরের জজ, ডাঃ নইম উদ্দিন, ছাত্রনেতা আজিজুল ইসলামও ছিলেন। মুজিবনগর সরকার এবং ভারতীয় বাহিনী আমাদের এ ব্যাপারে সহায়তা করে।”

দিনাজপুরে বাঙালী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতার ইতিহাসে দেখা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিনাজপুর শহরে ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম দিনাজপুর জেলা কমিটি গঠিত করে দলের প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য এবং তাঁর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমানকে প্রথম সহ-সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। এরপর তিনি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের দু দফায় নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের ফলে বঙ্গবন্ধুর কারামুক্ত হয়ে অক্টোবরের ১০ তারিখে দিনাজপুর সফরে আসেন। সফরের সম্বর্ধনা কমিটির সভাপতি ছিলেন এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান এবং সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী।

জননেতা এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান অসাধারণ মেধাবী ছিলেন । ১৯৪৫ সালে ডিস্টিংশন (৮৫% প্রতি বিষয়ে) সহ তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে তৃতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অনেক ভাষায় প-িত এ্যাডভোকেট মোহম্মদ আজিজুর রহমান, এমএনএ, ছিলেন সর্বস্বত্যাগী। এ মহান জননেতা সম্পর্কে দিনাজপুর তথা বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মেহরাব আলী সম্পাদিত দিনাজপুরের ইতিহাস সমগ্র- ৫ম খন্ডে (পৃষ্ঠা নং ৫৮২) লিখেছেন, ”দিনাজপুর বারের লব্ধ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি, সুলেখক, সম্পাদক, সংসদ সদস্য ও রাজনীতি ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের উত্তেজিত যুগে। যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন যুদ্ধের সংগঠক ও সংস্থানের ব্যবস্থপনায় প্রাণান্তকর পরিশ্রম করেন তিনি। ঐ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে অনেকগুলি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেন, যা দেশবাসীর মনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অপূর্ব সারা জাগায়। দিনাজপুর বড়মাঠে আয়োজিত ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর বিজয় উৎসবে তাঁর প্রদত্ত ভাষণটিও ছিলো উন্মাদনাময়ী, আবেগময়ী ও জ্বালাময়ী। তিনি রাজনীতির চর্চা করে গেছেন রাজনীতির জন্যে, অন্য কোনো মতলবে নয়। তিনি ভোগীর চেয়ে ত্যাগী ছিলেন বেশী। তবৎ কাজে নিজস্ব সহায় সম্পত্তি উজাড় করে দিতে অকুণ্ঠচিত্ত ।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই স্বর্ণসন্তান ৪ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে দিনাজপুর শহরে ঘাসিপাড়া মহল্লায় ভাড়াবাড়িতে ইন্তেকাল করেন।

মোঃ আজিজুর রহমান। সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মানিক মিয়া। এ ছবিটি দৈনিক ইত্তেফাক অফিসে ১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ মাসে স্টাফ ফটোগ্রাফার আফতাবুর রহমান তুলেছেন।

লেখক: মুজতবা আহমেদ মুরশেদ

   

‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ চলমান’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া, নদীসমূহে লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠাপানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রায়ণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা পরিচালনা করে আসছে।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে মৎস্য সম্পদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য সম্প্রতি ‘Effect of Climate Change on the Ecology and Biodiversity of Inland Open Water Fishes’ শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, গলাচিপা, পায়রা, পশুর, ময়ুর, ডাকাতিয়া, শিবসা, রায়মঙ্গল ও বলেশ্বর নদীর নিম্নাঞ্চলেও লবণাক্ততা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মিঠাপানির নদ-নদীর নিম্নাঞ্চলে মাঝে-মধ্যে লোনাপানির মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে, উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ উপকূলীয় ঘেরে চাষ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দেশে মিঠাপানির জলাশয়ে ২৬১ প্রজাতির মাছ আছে। আইইউসিএন ২০১৫ সালে ৬৪ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করে। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছসমূহ সুরক্ষায় দেশে প্রথম বারের মতো ২০২০ সালে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে লাইভ জীন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এ লাইভ জীন ব্যাংকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারিয়ে গেলে এই লাইভ জীন ব্যাংকে সংরক্ষিত মাছকে হ্যাচারিতে কৃত্রিম উপায়ে পোনা উৎপাদন করে জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে এবং চাষাবাদ করা যাবে।

এতে করে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারানোর ঝুঁকি আর থাকবে না। এছাড়াও ইনস্টিটিউট থেকে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে জাতীয় চাহিদার নিরিখে গবেষণা পরিচালনা করে এ যাবত পর্যন্ত ৩৯টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন এবং চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

;

দেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৬৪ জেলায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি বলে সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসব মামলার মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ কে আবদুল মোমেনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী জানান, মামলার জট কমাতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন তৈরির কার্যক্রমও শেষ করে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলার জট বেড়েছে সঠিক এবং তার সাথে সাথেও কিন্তু আমরা আদালত তৈরি করে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েছি। যেটা আগে কখনো হয়নি, সেটা হচ্ছে- আগে কখনো বিচারকের পদ শুন্য হওয়ার আগে বাংলাদেশ জুটিশিয়াল সার্ভিস ক্যাডারে পরীক্ষা নিয়ে এটা রিজার্ভ বিচারকের ব্যবস্থা ছিলো না। এখন কিন্তু আমরা সেটা করি যাতে কোনো বিচারক অবসরে গেলে সেই পদটা যেনো খালি না থাকে, তড়িৎ যেন আমরা সেখানে বিচারক দিতে পারি। দ্বিতীয় যেটা করা হচ্ছে, বিচারকের পদ সৃজন এবং আদালত সৃজন দুইটার জন্যই আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখেছি এবং সেইখানে ১৭৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটা আসলে আমর মনে হয় মালার জট কমানোর চেষ্টা করবে। মামলার জট কমানোর জন্য অন্যান্য চেষ্টাও হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগে অন্ততপক্ষে বিচারপতি ছিলেন ১০০ জন, এখন সেটা কমে এসছে, অবসরে গেছেন অনেকে, আপিল বিভাগে গেছেন অনেকে। সেই ক্ষেত্রে এখন নেমে এসেছে ৮৪ জনে। রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। বিচাপতি নিয়োগের জন্য আইন যেটা করার সেটাও কিন্তু আমরা শেষ করে এনেছি। হাইকোর্টেও বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনটা সেটার জন্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ করার জন্য খুব শিগগিরি একটা সময় ও তারিখ দেওয়া হবে।

;

রাজধানীতে ঝড়

বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে নারীর মৃত্যু, আহত ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে পাশের টিনশেড বাড়িতে থাকা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭জন।

রোববার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে ঝড় ও বৃষ্টির সময় ঢাকা উদ্যান হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন ১৬ তলা ভবনের ১০ তলা থেকে কাঁচা দেয়ালের বেশ কিছু ইট ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- রুহান (৪), রাহাত (৭), রাফি (৯), রুমা (৩০), লুৎফা (৩৫), লিমা (৩০) ও ফারুক (৪৫)।

তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের পাশে টিনশেড ঘরে নিম্ন আয়ের কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন। দুর্ঘটনার পর কয়েকজনকে উদ্ধার করে সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রেশমা নামে ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় টিনশেড ঘরের কয়েকটি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মাহফুজুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে দুইজনকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

;

১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করছে ইউএস-বাংলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম উম্মাহর পবিত্র নগরী মক্কার প্রবেশদ্বার জেদ্দায় আগামী ১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালিত হবে। আজ মে ০৬, ২০২৪, সোমবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সকল বিক্রয় মাধ্যমে ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট বিক্রয় শুরু হয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং জেদ্দায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। পুনরায় জেদ্দা থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫৫ অবতরণ করবে।

এছাড়া মঙ্গলবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে ও রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে উড্ডয়ন করে যথাক্রমে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ও ১০টা ৫মি মিনিটে জেদ্দায় অবতরণ করবে। পুনরায় মঙ্গলবার ও রবিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দা থেকে উড্ডয়ন করে বুধবার ও সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে জেদ্দার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং জেদ্দা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় সকাল ৬টা ২৫মিনিটে পৌঁছাবে।

ঢাকা থেকে জেদ্দার নূন্যতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৮,৬০৫ টাকা এবং রিটার্ণ ভাড়া ৯৬, ০৩৭ টাকা। এছাড়া জেদ্দা থেকে ঢাকার ওয়ানওয়ের নূন্যতম ভাড়া ৮৯৩ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ণ ভাড়া ১,৬১১ সৌদি রিয়েল।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওমরাহ হজ্ব পালন করার সুপ্ত ইচ্ছেকে পূর্ণতা দিতেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে পবিত্রতম শহর জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়া রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে গমণ করতে পারে সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে অথবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.usbair.com ।

;