হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে আইন প্রণয়নের আহবান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে আইন প্রণয়নের আহবান

হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে আইন প্রণয়নের আহবান

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মজগতে সকল ধরনের সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনে “যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন” প্রণয়ণের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের জোট জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২২ উপলক্ষে আজ ৬ ডিসেম্বর ২০২২ (মঙ্গলবার) জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘কর্মজগতে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনঃ প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ আহ্বান জানান।

জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এর সদস্য সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী’র সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এর সদস্য শামসুন নাহার ভূইয়া, এমপি। কর্মজগতে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন বিষয়ে জেন্ডার প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম তুলে ধরেন বিল্স পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুন নাহার ভূইয়া, এমপি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরণের যৌন হয়রানি প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে যা মানবাধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তিনি বলেন, নারীরা ঘরে বাহিরে অনেক পরিশ্রম করে কিন্তু নারীদের গৃহকর্মে কাজের কোন স্বীকৃতি নেই। তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়। কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন করতে “যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন করা খুবই জরুরি।

দেশের অর্থনীতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নারী ও পুরুষ প্রায় সমান অবদান রাখছে উল্লেখ করে আইন মন্ত্রণালয়ের ল এন্ড জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের উপ-সচিব নুসরাত জাহান বলেন, দেশে অনেক ভাল আইন রয়েছে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হলে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি আরো কমে আসবে। এক্ষেত্রে আইন মানার বিষয়ে সকলের মানসিক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উপপরিচালক সুসমিতা পাইক বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার সংজ্ঞাতেই বলা আছে কোন আচরনগুলো যৌন হয়রানি, তারপরেও কর্মক্ষেত্রে এই আচরনগুলো দ্বারা নারীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই বিষয়ে সকলের মানসিক পরিবর্তন অনেক জরুরী। তিনি বলেন পরিবার থেকে একজন শিশুকে গড়ে তুলতে হবে ভাল মানুষ হিসেবে। সে যেন বুঝতে পারে কোন কাজটা ভাল আর কোনটা খারাপ।

আইএলও কনভেনশন ১৯০ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনরে (বিইএফ) অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুল ইসলাম বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা সমূহ আইন হিসেবে মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে সকলের অঙ্গীকার একান্তভাবে আবশ্যক।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি সকলের দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে।

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বয়কারী আহসান হাবীব বুলবুল বলেন প্রতিটি মানুষের মানবিক বিকাশের জন্য মানুষের অধিকার রয়েছে। নারীরা কর্মক্ষেত্রে, যাতায়াত ও বিভিন্ন স্থানে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন যা তার মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন শ্রমিকদের জন্য কর্মপরিবেশ নিরাপদ করতে না পারলে তাদের উৎপাদনশীলতা কম হবে যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতেও ।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আমাদের নিষ্ক্রিয়তাই সহিংসতার ক্ষেত্রটা বাড়িয়েছে। সকলের ইতিবাচক মনোভাবই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। তিনি বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি যেমন দরকার সেই সাথে ভিক্টিমকে সহযোগিতা করাও একান্তভাবে প্রয়োজন। সামাজিকভাবে এমন একটা পরিবেশ তৈরী করতে হবে যেখানে নারীরা সুরক্ষিত থাকবে এবং সকল অধিকারগুলো ভোগ করবে। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য, সহিংসতা ও হয়রানি।

বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন, নারীরা দেশে এবং দেশের বাইরে পুরুষের সাথে সমানভাবে শ্রম দিচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসাজনক। কিন্তু নারীরা এখনো সকল ক্ষেত্রে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্যাতন ও হয়রানি প্রতিরোধে সংবাদিক’সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের সংজ্ঞাগত পরিধিকে বিস্তৃত করে সরকার আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন-এনসিসিডব্লিউই চেয়ারম্যান শামীম আরা, সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ এর কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ কে এম নাসিম, বিকেএমইএ এর সহকারী সচিব মোঃ জাকারিয়া খালেদ, আওয়াজ ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ খাদিজা আক্তার, মনডিয়াল এফএনভি’র বাংলাদেশ পরামর্শক মোঃ শাহীনুর রহমান, কর্মজীবী নারী’র কাজী গুলশান আরা, ফেয়ারওয়্যার ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ম্যানেজার বাবলুর রহমান প্রমুখ।

   

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম শরিফ (৪২) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

শরিফ মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মৃত নাদের আলী মণ্ডলের ছেলে।

শরিফ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের তাঁতিবন্ধ এলাকায় জেটিআইয়ের সামনে পাখি ভ্যানের (তিন চাকার গাড়ি) সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে শরিফ গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

;

পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ উপরে উঠতে উঠতে এখন প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই অবস্থা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১১ শতাংশ। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ২৬-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, সূর্যের প্রখরতায় ঘরের বাইরে বের হওয়া এক প্রকার দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। আকাশ থেকে মনে হচ্ছে গনগনে আগুনের ফুলকি ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশকিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বাইরে শরীর ঝলসানো রোদ ও তীব্র গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের ফুড ডেলিভারি বয় ফয়সাল ইকবাল বলেন, 'কী আর বলব, এই রোদ-গরমে বাইসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে মানুষের খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে বসে থাকলেও হবে না। দিনশেষে নিজের পরিবারের জন্য খাবার কিনে বাসায় ফিরতে হবে।'

চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা চলাচলকারী একটি বাসের চালক বিল্লাল হোসেন জানান, এই তীব্র রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। তাই তাদের যাত্রীও খুব একটা নেই। অন্যদিনের তুলনায় কম যাত্রী নিয়ে ট্রিপে যেতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

;

নওগাঁয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষা, নদী-খাল-বিল দখল ও দুষণের প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীণ ভয়েজ ও একুশের পরিষদ নওগাঁর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাপার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন- আন্দাসুরা বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুলকে বিভিন্ন ভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বিলের লিজ বাতিল করা প্রয়োজন। আলতাদীঘি শালবনে ৮বার আগুন লেগেছে। উন্নয়নের নামে প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিভাবে আগুন লেগেছে বা লাগানো হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য আমরা জানিনা। এগুলো তদন্ত করা প্রয়োজন।

নওগাঁ জেলা বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন- আজ প্রকৃতির বিরুপ প্রভাপ পড়েছে। যা আমাদেরই সৃষ্টি। যেসব প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উটেছে তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী দুষণ ও দখলমুক্ত রক্ষা করা হোক। প্রকৃতিগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। শুধু মানববন্ধন করলেই হবে না তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যতদুর যাওয়ার দরকার হবে আমরা যেতে চাই।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি বলেন, একসময় ছোট যমুনা নদীতে পালতোলা নৌকা ও লঞ্চ চলতো। বিভিন্ন জেলা থেকে বণিকরা ব্যবসা করার জন্য আসতো। নদী দখল-দুষণ ও পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় সেই নৌকা আর আসেনা। নদী দুষণের ফলে জীববৈচিত্র আজ হুমকির মুখে। নদী আমাদের মা। নদী বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচলে জীববৈচিত্র রক্ষা সহ নদীর ওপর নির্ভরশীলদের জীবন জীবিকা ও কর্মসংস্থান বাড়বে। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা বন ও পদ্মফুল রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য ও একুশে পরিষদ নওগাঁ’র সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদের সহসভাপতি প্রতাপ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল, সহসাধারণ সম্পাদক নাইচ পারভীন, শাকিরুল ইসলাম রাসেল, সুবল চন্দ্র মন্ডল, নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা একুশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামিম, বাপা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

;

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয় আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;