চিনি-ডালের দাম বাড়াল টিসিবিও
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) ডাল-চিনির দাম বাড়াল। ডিসেম্বর মাস থেকে দেশের এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে এ দুটি পণ্য কিনতে কেজিতে ৫ টাকা করে বেশি দিতে হবে। বুধবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) টিসিবি ডিসেম্বরের পণ্য সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। তাতে ডাল ও চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেশি ধরে নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় টিসিবি এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে প্রতি মাসে ২ কেজি করে ডাল ও চিনি এবং ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ভর্তুকি মূল্যে দিয়ে আসছে। শুরুতে ৫০ টাকা কেজি দরে ডাল ও চিনি দেওয়া হলেও ধাপে ধাপে এর দাম বাড়ায় টিসিবি। সর্বশেষ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর চিনির দাম ছিল ৫৫ টাকা। এখন থেকে প্রতি কেজি ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। আর চিনির দাম ধরা হয়েছে ৬০ টাকা। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে প্রতি লিটার ১১০ টাকায়।
খোলাবাজারেও ডাল ও চিনির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি মানের মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে ডাল ও চিনির দাম বেড়েছে। সাধারণত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন ধরে ভর্তুকির পরিমাণ ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যেও সরকার দীর্ঘদিন ভর্তুকি দিয়ে এসব পণ্য সরবরাহ করছে। যেজন্য টিসিবি ডাল ও চিনির দাম ৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানিয়েছে, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি মসুর ডাল ৭০ টাকা দরে বিক্রি করবে। এ ছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের দামে ১১০ টাকায় বিক্রি করবে।