ডিজিটাল যুগের অপার সম্ভাবনাকে সুদৃঢ় করতে অনুষ্ঠিত হলো ডিজিটাল সামিট ২০২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডিজিটাল যুগের অপার সম্ভাবনাকে সুদৃঢ় করতে অনুষ্ঠিত হলো ডিজিটাল সামিট ২০২২

ডিজিটাল যুগের অপার সম্ভাবনাকে সুদৃঢ় করতে অনুষ্ঠিত হলো ডিজিটাল সামিট ২০২২

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে  শনিবার, ১৭ই ডিসেম্ব্‌র, ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ৯ম ডিজিটাল সামিট অনুষ্ঠিত হয়। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিবেশনায়, এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায়, অ্যাডজাস্ট এবং দ্য ডেইলি স্টারের সম্পৃক্ততায়, ডিজিটাল সামিটের এই বছরের থিম ছিলো ‘’উইনিং দ্যা ডিজিটাল এইজ’’ ।

৪টি কিনোট সেশন, ৪টি প্যানেল ডিসকাশন, ২টি ইনসাইট সেশন এবং ১টি কেস স্টাডির সমন্বয়ে এই বছরের ডিজিটাল সামিট পরিচালিত হয়।

দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ বক্তাদের অংশগ্রহণ এবং আলোচনা ও মতামত বিনিময়ের একটি অন্যতম উপলক্ষ হয়ে উঠে নবম ডিজিটাল সামিট।

সামিটটির স্বাগত বক্তব্যেই বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, “কোভিড পরবর্তী বাস্তবতা ডিজিটাল বিশ্বের প্রকৃত সম্ভাবনাকে আমাদের কাছে উন্মোচন করেছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় ডিজিটাল বিশ্বের সুবিধা গুলোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। তবে কোনো সুবিধাই কিছু চ্যালেঞ্জ ছাড়া আসে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একটি প্রধান দায়িত্ব থাকবে এই চ্যালেঞ্জ গুলোকে সঠিকভাবে মোকাবেলা করা।”

দিনব্যাপী ইভেন্টের বিভিন্ন আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে ডিজিটালি বিভক্ত এই সময়ে ক্রিয়েটিভিটি এবং স্ট্রাটেজির গুরুত্ব, মার্কেটারের কাজে অ্যাসেট হিসেবে ডেটার গুরুত্ব, দীর্ঘকালীন ইনফ্লুয়েন্সার পার্টনারশিপের অপরিহার্যতা এবং মেটাভার্সে ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের সমূহ সম্ভাবনা। 

প্রাইভেসি নিয়ে আলোচনায় প্রথম কিনোট সেশনে ম্যাথিউ ব্রুনিয়ার বলেন, “প্রাইভেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ব্যবহারকারীরা এই ব্যাপারে সচেতন। ৬৪% ব্যবহারকারীই ডেটার বিষয়ে কম্পানী প্রদেয় তথ্যে নির্ভর করে না। প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য ডেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

মাহফুজ সিদ্দিকী এফআরএসএ, প্রথম প্যানেল আলোচনায় বলেন, “কমিউনিকেশনে ধরণে এই প্রথমবার, ভোক্তারা নিয়ন্ত্রণে আছে। এযাবতকালে কর্মরত এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সকল প্ল্যাটফর্মের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখা সম্ভব নয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্ম নিরপেক্ষ স্ট্র্যাটেজি নিশ্চিত করা এবং সেই অনুযায়ী প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা।

ডিজিটাল সামিট ২০২২ এ কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ কাজী মনিরুল কবির, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেড; ম্যাথিউ ব্রুনিয়ার, পার্টনার ডিরেক্টর, মিডিয়াম গ্রুপ বাই আলেফ, আলেফ গ্রুপ, ইনক.; অলিভার উইলকে, রিজিওনাল ডিরেক্টর, সাউথ ইস্ট এশিয়া, এস্কিমি; এবং সোলায়মান আলম, চিফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফিসার, গ্রামীণফোন লিমিটেড।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ২০১৪ সালে ডিজিটাল সামিটের সূচনা করে। ধারাবাহিক সফলতার মাধ্যমে, ডিজিটাল সামিট দেশের ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য শীর্ষ  একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এই বছরের সামিটে ৩৫০ জনেরও বেশি পেশাদার ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেছেন। এ বছরের সামিটের প্রধান লক্ষ্য  ছিলো ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ড্রাস্টির চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষজ্ঞ আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ধারা বজায় রাখা।

সামিটে উপস্থিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বক্তারা ছিলেন: অর্চনা রোচ, গ্লোবাল মেজারমেন্ট লিড, এইচটিটিপুল; ভিনিত ভি. জর্জ, সেলস ম্যানেজার, অ্যাডজাস্ট; জোশুয়া অধিকারী, রিজিওনাল গ্রোথ ম্যানেজার, সাউথ এশিয়া, এস্কিমি; মুনাফ মজিব চৌধুরী, পার্টনার ডিরেক্টর, এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেড; তুসনুভা আহমেদ টিনা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশ; মাহফুজ সাদিক এফআরএসএ, চিফ কমিউনিকেশনস অফিসার, বিকাশ লিমিটেড; নাজিম ফারহান চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাডকম লিমিটেড; শারমিন রহমান, হেড অব কর্পোরেট ব্র্যান্ড অ্যান্ড এনগেজমেন্ট, একটিং হেড অব মার্কেটিং, গ্রামীণফোন লিমিটেড; উরফি আহমেদ, ব্র্যান্ডস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর, বাংলালিংক; ইশরাক ঢালী, ডিরেক্টর, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড সার্ভিসিং, ম্যাগনিটো ডিজিটাল; শামীম জামান, হেড অব ব্র্যান্ডস অ্যান্ড মার্কেটিং কমিউনিকেশন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড; শরফুদ্দিন ভূঁইয়া শ্যামল, হেড অব মার্কেটিং, ট্রান্সকম বেভারেজেস লিমিটেড; নুসরাত জাহান, মার্কেটিং ডিরেক্টর, রেকিট বাংলাদেশ; তাজদিন হাসান, চিফ বিজনেস অফিসার, দ্য ডেইলি স্টার; আরিফুল বাশার, অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডিজিটাল বিজনেস লিড, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড; লুৎফি চৌধুরী, কো-ফাউন্ডার এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, অ্যাডফিনিক্স; বৈভব কাটচ, সিনিয়র পার্টনারশিপ ম্যানেজার, অ্যাডজাস্ট; সানজিদ হোসেন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড গ্রোথ মার্কেটিং কনসালটেন্ট; জিশান কিংশুক হক, চেঞ্জমেকার, সিএক্সও এবং এন্টারপ্রেনার; রিসালাত সিদ্দিকি, দ্য ম্যান অব স্টিল (চেয়ারম্যান), অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেড; মুকিত আহমেদ, হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড; এবং কাজী মহিউদ্দিন, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার, ব্র্যান্ড, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল সামিট ২০২২ এর পরিবেশনায় ছিলো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, পৃষ্ঠপোষকতায় এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেড। অ্যাডজাস্ট এবং দ্য ডেইলি স্টারের সম্পৃক্ততায় আয়োজিত এই বছরের সামিটের সহযোগিতায় ছিলো অ্যাডফিনিক্স এবং এস্কিমি। স্ট্রাটেজিক পার্টনার- বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম; মিডিয়াম গ্রুপ বাই আলেফ; নলেজ পার্টনার- মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; টেকনোলজি পার্টনার – আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড, ইভেন্ট পার্টনার – লা মেরিডিয়ান ঢাকা, পি আর পার্টনার – ব্যাকপেজ পিআর।

   

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;

কর আাদয়ের সক্ষমতার হিসাব না করেই টার্গেট নির্ধারণ হয়: রহমাতুল মুনিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বাজেটে কর আহরণ সংক্রান্ত লক্ষ্য নির্ধারণের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের কর সংক্রান্ত সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেছেন, আাদয়ের সক্ষমতার হিসাব না করেই অর্থমন্ত্রনালয় থেকে বড় একটা টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ইনোভেটিভ কোন কর্মপরিকল্পনা বা রিফর্মের কোন চিন্তা করারও সুযোগ থাকে না।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে "বাংলাদেশে কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি বক্তব্যে রোববার (১৯ মে) তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সিপিডির এই যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্থাটির ডিশটিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ছাড়াও সরকারের পলিসি মেকার, রাজনীতিবিদ, ব্যক্তিখাতের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

স্বচ্ছতার সাথে গুনমান নিশ্চিত করে সরকারি অর্থ ব্যয় হলে কর আদায় বাড়তে পারে মন্তব্য করে সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গণপরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তাসহ সরকারি সেবার উন্নতির সম্ভাবনা থাকলে নাগরিকদের কর প্রদানে উৎসাহ বাড়ে।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কর আহরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন না করে ব্যযের ক্ষেত্রেও আধুনিকায়নের তাগিদ দেন তিনি।

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়ন পর্যালোচনায় কত টাকা বরাদ্দের বিপরীতে কত ব্যয় হেয়েছে সেই হিসাব হয়ে থাকে। সরকারি ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন কাজের ভৌত অগ্রগতি, গুনগত অগ্রগতি ও প্রভাবমূল্যায়ন নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।

কর ফাঁকিতে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবশালী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, যারা কর দেয় না, দেশ থেকে টাকা পাচার করে, তারা রাজনৈতিকভাবে এবং আর্থিকভাবে আনেক শক্তিশালী। তাদের কাছ রেথকে কর আদায় করতে গিয়ে এনবিআর কর্মকর্তারা ঝুকির মধ্যে পরেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এনবিআর কর্মীদের অসহায় আখ্যায়িত করে তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুরক্ষা দিয়ে কর আদায়ে সমর্থন দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাজেটে রাজস্ব আদাযের টার্গেট নির্ধারণের সময় এনবিআর এর অসহায়ত্ব উঠে আসে মন্তব্য করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ”তার্গেট একটা দিয়ে দেয়া হল। সক্ষমতা কতটা আছে? এবং তার্গেটটা অলৌকিক।”

তিনি বলেন, সক্ষমতা হিসাব না করেই টার্গেট দেয়া হয়। আবার টার্গেটের সঙ্গে মিল রেখে সরকারের ব্যযের খাত চূড়ান্ত করায় আদাযে তাদিও দেয়া হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আগের অর্থবছরের মোট আদায়ের সঙ্গে একটা প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থবছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলে এই লক্ষ্য পূরণের কিছুটা সম্ভাবনা থাকে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আগের বছরের লক্ষ্যের সঙ্গে তুলনা করে পরের বছরের রাজস্বের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

”এই টার্গেটের বোঝা থাকার কারণে অনেক সময় ইনোভেটিভ আইডিয়া ও রিফর্মের বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ থাকে না,” বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, চলতি বাজেটে শতভাগ লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার শর্তে করপোরেট করে বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করা হলেও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিতে পারেননি।

তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীরাই লেনদেনে নগদ টাকাকে প্রাধান্য দিলে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলা কঠিন হবে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাত বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। এর ফলে জিডিপির তুলনায় সরকারি ব্যয়ের হারেও বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শতভাগ ই ফাইলিং নিশ্চিত করে করের হার জিডিপির পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বা্ড়ানো সম্ভব বলে অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শতভাগ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অন্যান্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে কর আহরণ ১৬৭ বিলিয়ন ডলারে উঠবে।

আর প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে না পারলে ওই সময়ে কর আহরণ হবে সর্বোচ্চ ৯০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার কর আহরণ প্রায় ৮৬% বাড়াতে সহায়তা করবে।

কর বাড়াতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখানে ২৫ পয়সা বিনিয়োগ করলে সরকারের আয় বাড়ে ১০০ টাকা। অন্যান্য দেশে একই পরিমাণে রাজস্ব আদায় বাড়াতে বাংলাদেশের তুলনায় তিন গুন বিনিয়োগ করতে হয়,” মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য কর আহরণ খাতের তুলনায় লাভজনক কোন খাতই থাকতে পারে না।

;

হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপাঞ্চল উপজেলা হাতিয়া থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণের ১টি চামড়া, ১টি মাথা ও চারটি পা উদ্ধার করা হয়।  

রোববার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড এ মাংস জব্দ করে। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।  

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ এম এম হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত মাংস হাতিয়া বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

;

এবছর ২৪ লাখ বৃক্ষে শোভিত হবে চট্টগ্রাম: ডিসি ফখরুজ্জামান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, গতবারের রোপণ করা ২৩ লাখ হতে যেগুলো টিকেনি সেগুলোর অডিটিং করে পুনঃস্থাপন করা হবে ও গতবারের ২৩ লাখের সাথে আরও ১ লাখ যোগ করে ২৪ সালে ২৪ লাখ বৃক্ষ শোভিত হবে চট্টগ্রাম।

রোববার (১৯ মে) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার ব্যাপারে সম্মানিত জেলা প্রশাসক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রয়োজনে বন আইন কিংবা পরিবেশ আইনে সংশোধনের কথাও বলেন। তিনি ২০২৩ সালের রোপণ করা ২৩ লাখ বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত অডিট করতে নির্দেশ দেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশনে চট্টগ্রাম জেলা সর্বাধিক ৪০ হাজারের অধিক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এক নাম্বারে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ দেন। এই অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য্য রাখার আহ্বান জানান। তবে একই সাথে তিনি জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের ব্যাপারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন। এছাড়াও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তিনি কোরবানির হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল মহোদয়, চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তারা।

;