রাজশাহীতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহীতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। হিমেল হাওয়ার মাত্রা বাড়ছে দিনে দিনে। এতে শীতের অনুভূতিও বাড়ছে। 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী রোববার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন ছিল মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল শনিবার থেকে হঠাৎ করেই শীত নামে। রোববার সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেশি। পথের ধারে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের কামড় থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করেছিল ১০ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পহেলা ডিসেম্বর রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকেই রাজশাহীর তাপমাত্রা কমতে থাকে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র উচ্চ পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার সকালে বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কনকনে শীত আরও বেড়েছে। পুরো রাজশাহী জুড়ে বিরাজ করছে এমন অবস্থা। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শীতের প্রকোপটা একটু বেশি।

বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেশি। খেটে খাওয়া মানুষরা ঘরে বসে না থাকতে পারায় তাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। হঠাৎ শীতের প্রকোপে মানুষের চলাফেরা ও কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এই তীব্র শীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে অধিকাংশ বৃদ্ধ ও শিশু।

এ শীতকাল মোকাবেলায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। শীতার্ত মানুষদের মাঝে ৪৮ হাজার কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের প্রধান সহকারী আবদুল খালেক জানান, তাদের হাতে এখন ১০ হাজার কম্বল রয়েছে। আরও ৩৭ হাজার ৮০০ কম্বল তারা বরাদ্দ পেয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যে সেগুলো রাজশাহী চলে আসবে।

   

রংপুরে চাঁদাবাজ চক্রের ৭ সদস্য আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে চাঁদাবাজ চক্রের ৭ সদস্য আটক

রংপুরে চাঁদাবাজ চক্রের ৭ সদস্য আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া থানাধীন রংপুর-নীলফামারী মহাসড়কের খলেয়া এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের নেতা মো. চাঁন মিয়াসহ ৭ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‌্যাব-১৩। এ সময় একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাতে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানা এলাকায় রংপুর-নীলফামারী মহাসড়কের দক্ষিণ খলেয়া এলাকায় মো. চাঁন মিয়ার (৫৬) নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, অটো, সিএনজি থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।

বুধবার রাতে রংপুরগামী একটি পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে এ চক্রের সদস্যরা চাঁদা আদায় করছিল। এ সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- দক্ষিণ খলেয়া বাজার এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতা মো. চাঁন মিয়া (৫৬), রংপুর সদর থানার লালচাঁদপুর হিন্দু পাড়ার অনিল চন্দ্রের ছেলে অমল চন্দ্র রায় (৪০), গঙ্গাসাগর থানার ওসি পাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (১৮), একই থানা নয়াটারি এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে মো. ফারুখ মিয়া (১৯), রংপুর সদর থানার গোকুল নাওয়াপাড়া তশির উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৬) ও একই থানার গোকুল কাজিপাড়া সুলতান আলীর ছেলে মো. মহসিন আলী (৪০) এবং উত্তরখলে গংগাছড়া থানার মমতাজ আলীর ছেলে মো. মজিদুল ইসলাম (৪২)।

এই ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৫/৩৮৬/১১৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের রংপুরের গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।

;

বছর না পেরুতেই ফেনী হাসপাতালে বন্ধের পথে 'বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা'



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী সরকারি হাসপাতালগুলোতে চালু করা হয়েছিল ‘‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’’। তারই অংশ হিসেবে গেল বছরে এপ্রিলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চালু হয় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম। তবে যথাযথ প্রচার-প্রচারণার অভাবে শুরু থেকেই আলোর মুখ দেখেনি ফেনী জেনারেল হাসপাতালের এ সেবা কার্যক্রমটি।

তবে এবার চিকিৎসকদের পরামর্শ ফি নিয়ে কর্তৃপক্ষের গড়িমসি, চিকিৎসক সংকট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’। গত ৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সেবা কার্যক্রম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। গেল বছরের এপ্রিল মাসে চালু হওয়া এ সেবা কার্যক্রমটি এক বছর না পেরুতেই বন্ধের পথে রয়েছে।

নিয়মানুযায়ী সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এতে একজন সিনিয়র কনসালটেন্টের পরামর্শ ফি ৪০০ টাকা, জুনিয়র কনসালটেন্টের ৩০০ টাকা, এমবিবিএস-বিডিএসের ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এ সেবা কার্যক্রমে সরকার নির্ধারিত পরামর্শ ফি থেকে একটি অংশ সম্মানী হিসেবে চিকিৎসকরা পাওয়ার কথা থাকলেও গত ৬ মাস ধরে চিকিৎসকরা ওই টাকা পাচ্ছেন না। এতে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ নিয়ে চিকিৎসকদের মাঝে দেখা দিয়েছে অনীহা। গত পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’।


হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পাশাপাশি বৈকালিক সেবায় উপকৃত হতো সাধারণ মানুষ। স্বল্প টাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এ কার্যক্রম বন্ধ থাকাতে ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা।

মকবুল আহমেদ নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষজন এতো টাকা খরচ করে বাইরের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে পারি না। জেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় সকালে অনেক রোগীর চাপ থাকে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক রোগীকে ডাক্তার দেখতে পারেন না। ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু থাকাকালীন এসব রোগীরা সেখানে চিকিৎসা নিতে পারতো। এমন কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব থাকলে এ সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয় না। ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু হওয়ার পর বাইরের ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকগুলোর আয় কমে গেছে। গরিবরা উপকার পেলেও সমাজের কিছু সুবিধাভোগী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছিল না। এটি বন্ধের পেছনে ভিন্ন কারণও থাকতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের শিশু বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ও ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী দেখতে হয়। সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় বহির্বিভাগে সবসময় রোগীর অনেক চাপ থাকে। বিকেলে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখলে যে টাকা পাওয়া যায় তার অনেক কম টাকা পাওয়া যায় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’য়। কিন্তু ছয়মাস ধরে সেই টাকাও পাচ্ছি না। এটি যেহেতু চাকরির অংশ নয়, টাকা না পেলে কেন আমরা বাড়তি কাজ করব।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো.সার্জারি) জামাল উদ্দিন বলেন, প্রথম কয়েকমাস পরামর্শ ফি থেকে টাকা পেলেও বেশ কয়েক মাস টাকা দেওয়া হচ্ছে না। টাকা না পাওয়ায় চিকিৎসকরাও মনের বিরুদ্ধে চেম্বার করেন। পারিশ্রমিক ছাড়া কেউই পরিশ্রম করতে চাইবে না।

হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ব্রজ গোপাল পাল বলেন, ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’য় আমাকে মাসে একদিন চেম্বার করতে হয়। সরকার নির্ধারিত ফি থেকে একটি অংশ সম্মানী হিসেবে চিকিৎসকরা পেয়ে থাকেন। গত ৩-৪ মাস ওই টাকা পাইনি। টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না সেটিও আমাদের অজানা। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক বা আরএমও ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এরমধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ৬-৭ জন চিকিৎসক বদলি হয়েছে। যার কারণে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন করে চিকিৎসক পদায়ন না হলে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ থাকবে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজি বলেন, ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের কারণে এটি আপাতত বন্ধ বা ধীরগতিতে চলছে। যে নির্দেশনার ভিত্তিতে এতদিন সেবা কার্যক্রম চলেছে সেটি পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে। এইজন্য সেবা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ ফি’র ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে যে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল আমরা সেই অনুযায়ী চিকিৎসকদের টাকা দিয়েছি। ওই আদেশের বিরুদ্ধে এখন আবার আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কে কত টাকা পাবে সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের মাধ্যমে নতুন আরেকটি প্রজ্ঞাপন হবে। সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে। এখন সব টাকাই সংরক্ষিত আছে। আদেশ পেলে সবাইকে টাকা দেওয়া হবে।

;

‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন-আধুনিকতায় বদলে গেছে দেশ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন, অর্জন ও আধুনিকতায় বদলে গেছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শুক্রবার (১৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত আছেন। এই ১৫ বছর আগে আর পরে বাংলাদেশের আজকে কি পার্থক্য দেখতে পান? ওই বাংলাদেশের সঙ্গে এই বাংলাদেশের কোনো মিল নেই। ১৫ বছর আগের আর আজকের ঢাকা শহর দিন রাত পার্থক্য। বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নে, অর্জনে ও আধুনিকতায় বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার এক কথায় শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার পর গণতন্ত্র, স্বাধীনতার আদর্শ, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রণধ্বনি সবই নির্বাসনে চলে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের, মুক্তিযুদ্ধের রণ ধ্বনির স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। তিনি এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে, ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক ঐতিহাসিক দিনটি পালন করি।

প্রধানমন্ত্রী স্বদেশে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিবেশ আমরা করতে পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে তুষভান্ডার বাজারে আগুন, পুড়ল ২৫ দোকান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৫ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সাভির্সের ৪টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, তুষভান্ডার বাজারে একটি ওষুধের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তেই সেই আগুন গোটা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনে পুড়ে যায় অন্তত ২৫টি দোকান। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

মার্কেটটির মালিক সাবেক এম পি ও বিএনপি নেতা সালেউদ্দিন আহমেদ হেলাল ও তার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে স্থানীয় এমপি নুরুজ্জামান আহমেদ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

কালীগঞ্জের ইউএনও জহির ইমাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সাভির্সের সহযোগিতায় ৪টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

;