প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মিরপুরের ভূমিহীনদের



এসএম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মিরপুরের ভূমিহীনদের

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মিরপুরের ভূমিহীনদের

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভূমিহীন রাবেয়া, বেমেলা, মর্জিনা ও রোকেয়াদের জীবনমান। ক্যানেলধারে, খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় তদের জীবনটা বদলে গেছে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে।

সরেজমিনে এসব ঘরে বসবাস করা মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাবন করছেন। বর্তমানে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে পাকাবাড়ী পাওয়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো অনেক খুশী।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মিরপুর উপজেলায় ৩১৭ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার। এরমধ্যে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়ন স্বরুপদহের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণাধীন। শীঘ্রই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শেষে হলে ভূমিহীনদের হাতে এই ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।

মিরপুর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি। পেয়েছেন মাছ চাষ করার জন্য পাশের ক্যানেল, সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।


মিরপুর উপজেলার গৌড়দহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মর্জিনা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী যে জায়গাটুকু দিয়েছে, সেখানে থাকার ঘরের পাশের জায়াগাটির সঠিক ব্যবহারের জন্য লাউ, শিম, বেগুন, পালং শাক, লালশাকের আবাদ করা হচ্ছে। এখানে সবজি চাষ করে পরিবারের খাওয়া এবং বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছি। এতে আমাদের বেশ স্বচ্ছলতাও এসেছে।  

কথা হয় রাবেয়ার সাথে। তিনি জানান, ক্যানেলের ধারে খুপড়ি ঘরেই ছিলো আমাদের বসবাস। আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। আমার তিনটা মেয়ে। এ মধ্যে একটা মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল)। আর দুইটা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের ইউএনও স্যার আমার বাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমার মাথা গোঁজার কোন ঠাই ছিল না। আজ আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে খুব ভালো রাখেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন উনাকেও সুস্থ রাখেন।

রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন মজনু বিশ্বাস। তিনি বলেন, পরিবারে এক ছেলে, এক মেয়ে ও আমার স্ত্রীসহ মোট চার জনের বসবাস। আমার ছোট ছেলেটি ক্লাস এইটে পড়াশোনা করে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে আয় উপার্জন করার ব্যাক্তি আমি নিজেই। অনেক বয়স হয়েছে আমার। নিজের কোন জমি বা বাড়ী ছিলো না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আমি ধন্য।

বেমেলো খাতুন (৬০)। ৮ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। ক্যানেলের ধারে পলিথিন মোড়ানো ছোট একটা ঘরে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর পেয়ে তিনি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমার খুবই আনন্দ লাগছে। পলিথিন টানানো ঘরে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতাম। সরকার আমাকে নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমি নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই। আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।


প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পাওয়া হুরজেল আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্ত্রীকে সাথে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতাম। আমার কয়েকবছর আগে পক্ষাঘাতে (প্যারালাইজড) এ আক্রান্ত হয়ে পড়ি। বেশ কয়েক বছর ধরে এই দূরারোগ্য ব্যাধির কবলে পড়ে সংসারটা এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে সংসার চালানোর জন্য আমার স্ত্রী এই সরকারী বাড়ীতে হাঁস/মুরগি পালন করছে। এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় আমি সরকারের প্রতি অনেক খুশী। তবে আমার চিকিৎসার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মত একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য  ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ।

উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে সুবিধাভোগীরা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এজন্য সবসময়ই তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয়। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে আমরা তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবারগুলো খুব খুশি কেননা তাদের না ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই, না ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানা। এখন তারা নির্দিষ্ট ঠিকানা পেয়েছে, ফলে শান্তিতে সুখের নীড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো ঘুরে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের বীজ সহায়তা প্রদান করেছি। এতে করে তারা লাউ ও শীমের গাছ ঘরের চিনের চালের উপরে তুলে দিতে পারছে অন্যদিকে বাড়ীর আঙ্গিনায় শাকসবজিসহ বেগুন ফুলকপির আবাদ করে সংসাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে আয় কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে।  

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহারা মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে। তিনি আরও বলেন, যাদের কিছুই ছিল না, যারা ক্যানেলের ধারে থাকতো, আবার কেউ কেউ অন্যের ওঠানে থাকতো। তাদের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে কেবল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখা হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই জমি ও ঘর তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাইতো তারা চিরকৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করতে বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সমালোচকদের গ্রেফতার, হয়রানি ও ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন, আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কার আনার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার অফিস এরইমধ্যে এই সংশোধনে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া এই আইনের অধীনে ২ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বুধবার গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মরত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয় এবং ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তার জামিন আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। মামলা করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক মতিউর রহমান ও এক আলোকচিত্রীর বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়। ফেসুবক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এই আইনের অধীনেই গত ফেব্রুয়ারিতে পরিতোষ সরকার নামে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার অফিস জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিধানগুলো সম্পর্কে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই আইনের স্বেচ্ছাচারিতা বা অত্যাধিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা থাকবে কিন্তু এভাবে গ্রেফতার অব্যাহত থাকলে সেটি সম্ভব নয়। এই আইনের সঠিক সংশোধন প্রয়োজন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষে সব মুলতবি মামলা পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

;

প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এটি সাংবাদিকতার নামে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ। বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতা। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের ব্যাপারে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা দায়েরের আগে আমরা প্রেস কাউন্সিলের মতামত নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

;

মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় গ্রেফতার ৭



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্চ মাসে দেশে ৩৬১ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭২টি, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা একটি ও গণপিটুনির ঘটনায় সাতজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমলেও নির্বাচনী সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনাও।

প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নারী ও পুরুষসহ ২৭ টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সভা সমাবেশে বাধা দেওয়ার ৩১ টি ঘটনায় ৩৮৯ জন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় ১৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমএসএফ মনে করে, এ আইনে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও মুখ বন্ধ করার ভয়ংকর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ আইনের বাতিল চেয়েছে সংগঠনটি।

;

টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইইউ'র সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাহায্য-সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হয়েই থাকবে।

ইইউ বাংলাদেশের একটি অপরিহার্য বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার এবং জিএসপি স্কিমের অধীনে এর বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বড় রফতানি অংশ সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছে, যা এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণে অনেক অবদান রেখেছে।

ইইউ’র জিএসপি’র অধীনে অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার এলডিসি-উত্তরণ লাভের প্রয়াস সহজ ও টেকসই করতে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস)-এর অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগ এবং ইইএএস-এর দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মনিকা বাইলাইটের সঙ্গে বৈঠককালে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, ডেপুটি হেড অব মিশন প্রীতি রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এমসিসিআই’র সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল আজম।

তারা পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে এলডিসি থেকে উত্তরণ, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

তিনি বলেন, আরএমজি শিল্পের সাফল্যের পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের অধীনে বাণিজ্য অগ্রাধিকার অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, এই খাতটি এখন টেকসই রাখার উপায় অবলম্বন করে এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার প্রয়াসে প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পোশাক শিল্প প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং ভোক্তা-পরবর্তী বর্জ্য আপসাইকেল করার ওপর দৃষ্টি রেখে কাজ করার পাশাপাশি বৃত্তাকার ধারায় বিনিয়োগ করছে।

ফারুক হাসান আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশের শিল্পকে তার টেকসই উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।

;