প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মিরপুরের ভূমিহীনদের



এসএম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মিরপুরের ভূমিহীনদের

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মিরপুরের ভূমিহীনদের

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভূমিহীন রাবেয়া, বেমেলা, মর্জিনা ও রোকেয়াদের জীবনমান। ক্যানেলধারে, খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় তদের জীবনটা বদলে গেছে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে।

সরেজমিনে এসব ঘরে বসবাস করা মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাবন করছেন। বর্তমানে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে পাকাবাড়ী পাওয়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো অনেক খুশী।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মিরপুর উপজেলায় ৩১৭ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার। এরমধ্যে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়ন স্বরুপদহের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণাধীন। শীঘ্রই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শেষে হলে ভূমিহীনদের হাতে এই ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।

মিরপুর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি। পেয়েছেন মাছ চাষ করার জন্য পাশের ক্যানেল, সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।


মিরপুর উপজেলার গৌড়দহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মর্জিনা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী যে জায়গাটুকু দিয়েছে, সেখানে থাকার ঘরের পাশের জায়াগাটির সঠিক ব্যবহারের জন্য লাউ, শিম, বেগুন, পালং শাক, লালশাকের আবাদ করা হচ্ছে। এখানে সবজি চাষ করে পরিবারের খাওয়া এবং বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছি। এতে আমাদের বেশ স্বচ্ছলতাও এসেছে।  

কথা হয় রাবেয়ার সাথে। তিনি জানান, ক্যানেলের ধারে খুপড়ি ঘরেই ছিলো আমাদের বসবাস। আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। আমার তিনটা মেয়ে। এ মধ্যে একটা মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল)। আর দুইটা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের ইউএনও স্যার আমার বাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমার মাথা গোঁজার কোন ঠাই ছিল না। আজ আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে খুব ভালো রাখেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন উনাকেও সুস্থ রাখেন।

রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন মজনু বিশ্বাস। তিনি বলেন, পরিবারে এক ছেলে, এক মেয়ে ও আমার স্ত্রীসহ মোট চার জনের বসবাস। আমার ছোট ছেলেটি ক্লাস এইটে পড়াশোনা করে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে আয় উপার্জন করার ব্যাক্তি আমি নিজেই। অনেক বয়স হয়েছে আমার। নিজের কোন জমি বা বাড়ী ছিলো না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আমি ধন্য।

বেমেলো খাতুন (৬০)। ৮ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। ক্যানেলের ধারে পলিথিন মোড়ানো ছোট একটা ঘরে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর পেয়ে তিনি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমার খুবই আনন্দ লাগছে। পলিথিন টানানো ঘরে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতাম। সরকার আমাকে নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমি নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই। আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।


প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পাওয়া হুরজেল আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্ত্রীকে সাথে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতাম। আমার কয়েকবছর আগে পক্ষাঘাতে (প্যারালাইজড) এ আক্রান্ত হয়ে পড়ি। বেশ কয়েক বছর ধরে এই দূরারোগ্য ব্যাধির কবলে পড়ে সংসারটা এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে সংসার চালানোর জন্য আমার স্ত্রী এই সরকারী বাড়ীতে হাঁস/মুরগি পালন করছে। এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় আমি সরকারের প্রতি অনেক খুশী। তবে আমার চিকিৎসার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মত একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য  ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ।

উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে সুবিধাভোগীরা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এজন্য সবসময়ই তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয়। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে আমরা তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবারগুলো খুব খুশি কেননা তাদের না ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই, না ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানা। এখন তারা নির্দিষ্ট ঠিকানা পেয়েছে, ফলে শান্তিতে সুখের নীড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো ঘুরে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের বীজ সহায়তা প্রদান করেছি। এতে করে তারা লাউ ও শীমের গাছ ঘরের চিনের চালের উপরে তুলে দিতে পারছে অন্যদিকে বাড়ীর আঙ্গিনায় শাকসবজিসহ বেগুন ফুলকপির আবাদ করে সংসাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে আয় কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে।  

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহারা মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে। তিনি আরও বলেন, যাদের কিছুই ছিল না, যারা ক্যানেলের ধারে থাকতো, আবার কেউ কেউ অন্যের ওঠানে থাকতো। তাদের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে কেবল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখা হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই জমি ও ঘর তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাইতো তারা চিরকৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;