ক্ষীরার ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি



সুজন সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
খিরার ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

খিরার ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জের মাঠে চাষ হয়েছে ক্ষীরার। আবহাওয়া ভালো থাকায় ক্ষীরার বাম্পার ফলনও হয়েছে। দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। সিরাজগঞ্জের ক্ষীরার চাহিদা রয়েছে সারাদেশেই। প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টন ক্ষীরা যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন আড়ৎগুলোতে। ফলন ভাল হওয়ায় মৌসুমী ক্ষীরার হাট বসেছে প্রায় ১৫টি স্থানে। এবছর জেলায় ৬৬৬ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ৬৬৬ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াশে ৪৩৯, উল্লাপাড়ায় ২০৪, কাজিপুরে ৫, বেলকুচিতে ৫, কামাখন্দে ৪, রায়গঞ্জে, শাহজাদপুরে ১ ও সদরে ৬ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে তাড়াশ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। অনুরূপ দাম পাওয়া গেলে এক বিঘা জমির ক্ষীরা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিক্রি করা যাবে।

অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন ক্ষীরা চাষে। ক্ষীরার বড় হাট এখন লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষীরা বেচাকেনা চলে। সপ্তাহে ৭ দিনই বসে এই হাট। চাষিরা ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ ক্ষীরা বিক্রি করছেন। বিক্রির জন্য কৃষকদের দিতে হয় না কোনো খাজনা।

জেলার তাড়াশ উপজেলার কোহিত, সড়াবাড়ি, তালম সাতপাড়া, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, খোসালপুর, বারুহাস, নামো সিলট, দিঘুরিয়া, দিয়ারপাড়া, খাসপাড়া, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, বরগ্রাম গ্রামের বিশাল সবুজে সমারোহ মাঠের পর মাঠ ক্ষীরার আবাদ হয়েছে। ক্ষীরার বিক্রি করার জন্য দিঘরীয়া এলাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছে আড়ৎ। প্রতিদিন ভোর থেকে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ক্ষীরা আড়তে আনতে শুরু করেন। আর আড়ৎ থেকে জেলাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ক্ষিরা কিনতে আসেন। প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন ক্ষীরা বেচা-কেনা হচ্ছে। দুপুরের পর শুরু হয় ট্রাক লোড। পরে ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক যোগে চলে যায়। এবার এই আড়ৎগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টন ক্ষীরা যাচ্ছে ঢাকায়।

ক্ষীরপোতা গ্রামের ক্ষীরা চাষি আব্দুল মতিন বলেন, গত মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছিলাম। আবহাওয়ার কারণে খুব একটা লাভের মুখ দেখিনি। এবার ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলনও বাম্পার হয়েছে। দামটাও খুব ভাল পেয়েছি।

বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া গ্রামের বর্গা চাষী ক্ষুদ্র কৃষক ফজর আলী বলেন, গত বছর ১৫ শতাংশ জমির ক্ষীরা বিক্রি করে বেশ লাভ হয়েছিল। এবারও ২৫ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে ক্ষীরার চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাচ্ছি।

সান্দ্রা গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, আমি তিন বছর ধরে ক্ষীরার চাষ করে আসছি। আগে এই আবাদ কম হতো। কিন্তু অন্যান্য ফসলের চেয়ে ক্ষীরা চাষে অধিক লাভের কারণে প্রতি বছর কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

উল্লাপাড়ার চলনবিল গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, প্রতি বছর আমি ধান ও সরিষা চাষ করি। এবার আড়াই বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ১০০ থেকে ১২০ মণ ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ক্ষীরা ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর এ রকম থাকলে আড়াই বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে।


এ বিষয়ে আড়ৎদার ফজলুল করিম বলেন, গত বারের তুলনায় এবার ক্ষীরার দ্বিগুণ আমদানি হয়েছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষীরায় আড়ৎ ভরে যায়। চাহিদাও বেড়েছে, দামও ভাল। এক বস্তা ক্ষীরার দাম ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ক্ষীরা জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে ক্ষীরা কিনে ট্রাক লোড করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা থেকে আসা পাইকার আলতাব ও সোহরাব আলী বলেন, ক্ষীরার প্রচুর আমদানি হয়েছে, কিন্তু দাম কমেনি। তবুও এক ট্রাক কিনেছি। ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (উপ-পরিচালক) বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, জেলার ফসলি জমিতে ক্ষীরা চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক কৃষকদের ক্ষীরা চাষে উৎসাহ ও পরার্মশ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৬৬ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭৫ হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে বলে তিনি জানান।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করতে বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সমালোচকদের গ্রেফতার, হয়রানি ও ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন, আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কার আনার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার অফিস এরইমধ্যে এই সংশোধনে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া এই আইনের অধীনে ২ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বুধবার গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মরত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয় এবং ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তার জামিন আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। মামলা করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক মতিউর রহমান ও এক আলোকচিত্রীর বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়। ফেসুবক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এই আইনের অধীনেই গত ফেব্রুয়ারিতে পরিতোষ সরকার নামে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার অফিস জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিধানগুলো সম্পর্কে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই আইনের স্বেচ্ছাচারিতা বা অত্যাধিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা থাকবে কিন্তু এভাবে গ্রেফতার অব্যাহত থাকলে সেটি সম্ভব নয়। এই আইনের সঠিক সংশোধন প্রয়োজন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষে সব মুলতবি মামলা পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

;

প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এটি সাংবাদিকতার নামে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ। বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতা। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের ব্যাপারে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা দায়েরের আগে আমরা প্রেস কাউন্সিলের মতামত নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

;

মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় গ্রেফতার ৭



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্চ মাসে দেশে ৩৬১ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭২টি, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা একটি ও গণপিটুনির ঘটনায় সাতজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমলেও নির্বাচনী সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনাও।

প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নারী ও পুরুষসহ ২৭ টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সভা সমাবেশে বাধা দেওয়ার ৩১ টি ঘটনায় ৩৮৯ জন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় ১৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমএসএফ মনে করে, এ আইনে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও মুখ বন্ধ করার ভয়ংকর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ আইনের বাতিল চেয়েছে সংগঠনটি।

;

টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইইউ'র সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাহায্য-সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হয়েই থাকবে।

ইইউ বাংলাদেশের একটি অপরিহার্য বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার এবং জিএসপি স্কিমের অধীনে এর বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বড় রফতানি অংশ সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছে, যা এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণে অনেক অবদান রেখেছে।

ইইউ’র জিএসপি’র অধীনে অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার এলডিসি-উত্তরণ লাভের প্রয়াস সহজ ও টেকসই করতে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস)-এর অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগ এবং ইইএএস-এর দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মনিকা বাইলাইটের সঙ্গে বৈঠককালে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, ডেপুটি হেড অব মিশন প্রীতি রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এমসিসিআই’র সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল আজম।

তারা পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে এলডিসি থেকে উত্তরণ, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

তিনি বলেন, আরএমজি শিল্পের সাফল্যের পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের অধীনে বাণিজ্য অগ্রাধিকার অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, এই খাতটি এখন টেকসই রাখার উপায় অবলম্বন করে এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার প্রয়াসে প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পোশাক শিল্প প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং ভোক্তা-পরবর্তী বর্জ্য আপসাইকেল করার ওপর দৃষ্টি রেখে কাজ করার পাশাপাশি বৃত্তাকার ধারায় বিনিয়োগ করছে।

ফারুক হাসান আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশের শিল্পকে তার টেকসই উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।

;