রংপুরে বালুভর্তি ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে বালুভর্তি ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু

রংপুরে বালুভর্তি ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের কাউনিয়া বালুভর্তি ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় রাবেয়া বেগম (৫৭) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হারাগাছ পৌরসভার বানুপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাবেয়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তপধন শহীদ আবাসন এলাকার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ জানান, সকাল ৭টার দিকে ওই নারী হারাগাছ রংপুর সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।

এ সময় বালুভর্তি একটি ডাম্পট্রাক রংপুর শহরে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে থাকা ওই নারীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার পর চালক ট্রাকসহ পালিয়ে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

যাদের কোন জাত-ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীতে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকাণ্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

;

গ্যাসের সিস্টেম লস এ বছরেই জিরোতে নেমে আসবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাসের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযানের কারণ সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সিস্টেম লস জিরোতে নেমে আসবে বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ২ বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে অবৈধ শিল্প সংযোগ ৩৩৬টি, ৯৭টি ক্যাপটিভ, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ১৩টি, ৯৮৯টি কিলোমিটার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৬০৪ কোটি টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে অনেক বাঁধা এসেছে, শুধু রাজনৈতিক নেতা নয়, অনেক রকম বাঁধা এসেছে। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এখানে কোন বাঁধাই বাঁধা নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে প্রতিবছর অডিটিং করার জন্য। মিটার ক্যালিব্রেশন করা হবে, তাদের প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে কি-না। নিয়ম অনুযায়ী কার‌্যক্রম চলছে কি না। সারাদেশে যতো আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরিদর্শন করবে।

তিতাস গ্যাসে তৃতীয় পক্ষের মধ্যমে অডিটিং করার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তিতাস গ্যাসের হিসাব, তাদের বিলিংয়ের অংকে কোন ভুলভ্রান্তি আছে কিনা। কোন ভুতুড়ে গ্রাহক আছে কিনা। তিতাসের প্রাইসিংয়ের মধ্যে কোন ফাকফোকর আছে কিনা অডিট করা হবে। তাদের ট্যাক্সেশন নিয়ে অভিযোগ ছিল, সেটাও যাচাই-বাছাই করবে।

তিনি বলেন, আমরা ১২হাজার কোটি টাকায় প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্পটি হলে ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে ভূমিকা রাখবে। শিল্পে কিভাবে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিতাস গ্যাস ৩০ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্প নিয়েছে। এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে যাওয়া হবে। গোটা তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে কিভাবে ফান্ডিং করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে বলেছি, তাদের একটি রোডম্যাপ করার জন্য। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে শুধু টেকনোলজি না। টেকনোলজি শুধুমাত্র একটি কমপোনেন্ট মাত্র। সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা অতীতে সহযোগিতা করেছেন আপনাদের একটি ভূমিকা প্রয়োজন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।

;

জীবিকার খোঁজে গিয়ে ছেলে নিখোঁজ ১১ বছর, ফিরলেন না এবারও!



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হাতে সযত্নে ফ্রেমে বাঁধানো সন্তানের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জুরা খাতুন (৫২)। ছবির দিকে তাকিয়ে বলছেন, 'আমার ছেলে ফিরে পাবার আশায় এসেছিলাম, কিন্তু পাইনি। এখানে যারা এসেছে তারা তাদের ছেলেকে ফিরে পেয়েছে। শুধু আমার ছেলেকে পাইনি। কেউ আমার ছেলেকে খুঁজে দেন বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।'

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোর থেকেই স্বজনরা এসে ভিড় করেছেন কক্সবাজার নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে। গ্রীষ্মের রৌদ্র খরতাপ উপেক্ষা করে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা তাদের। এই স্বজনদের কারো ছেলে, কারো স্বামী আবার কারো বাবা দীর্ঘদিন ধরে বন্দি হয়ে আছেন মিয়ানমার কারাগারে। কেউ মাছ ধরতে গিয়ে ভুল করে বর্ডার ক্রস করে অবৈধ প্রবেশের দায়ে আটকা পড়েছেন, আবার কেউ বিদেশ গিয়ে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্নে দালালের খপ্পরে পড়ে আটকা পড়েছে বছরের পর বছর। হারানো প্রিয়জনদের ফিরে পেতে অনেকেই এসেছেন। তাদেরই একজন জুরা খাতুন।

এই মায়ের বাড়ি কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ার ছড়া। ১১ বছর আগে তাঁর ছেলে আব্দুর রহিম সাগরে মাছ আহরণ করতে গিয়ে ভুলবশত মিয়ানমার সীমান্তে প্রবেশ করার অপরাধে তাকে আটক করে কারাগারে দেন মিয়ানমার সরকার।

গত ৫ বছর আগে কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে এমন খবর পান বলে জানান তিনি। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করেও তার ছেলেকে মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারেননি তিনি।

তাই জুরা খাতুন ছেলে ফিরে পাবার আশায় মিয়ানমার কারাগার থেকে ১৭৩ বাংলাদেশি ফেরত আনার খবর পেয়ে ছুটে যান জেটিঘাটে। কিন্তু তাঁর আশায় গুড়ে বালি। ছেলেকে না পেয়ে হতাশ হন তিনি। তাই অঝোর নয়নে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই মা।

শুধু জুহুরা খাতুন নয়, শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে ১৭৩ বাংলাদেশিকে আনার খবরে প্রিয়জনদের খুঁজে অনেক স্বজনই এসেছেন। কেউ কেউ প্রিয়জনদের ফিরে পেলেও অনেকেই খুঁজে না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।

এমন আরেকজন মা টেকনাফের হ্নীলার বাসিন্দা হাসিনা আক্তার। একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ সোহেলকে হারিয়েছেন তিনি। হাসিনা আক্তার জানান, 'দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তার ছেলে। খবর পেয়েছেন ছেলে মিয়ানমার কারাগারে বন্দি। তাই মিয়ানমার থেকে ১৭৩ জনের মধ্যে সোহেল আসবেন, সেই আশায় অধীর অপেক্ষায় ছিলেন তিনিও। কিন্তু ছেলে ফিরলেন না।' কান্না জড়িত কন্ঠে হাসিনা জানান, 'সন্তানকে ফিরে পেতে দালালকে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন। দালাল টাকা খেয়ে ছেলেকে ফিরিয়ে দেননি। এখানে এসেও ছেলেকে পেলাম না।' ছেলে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন আর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রিয়জন ফিরে পেয়ে অনেকের চোখেমুখে আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও অনেকেই প্রিয়জনদের ফিরে না পেয়ে কান্নায় নুনিয়াছড়া জেটিঘাটের আকাশ বাতাস ভারী করেছে। তারাও হারানো স্বজনদের ফিরে পেতে আকুতি জানান সরকারের কাছে।

বুধবার দুপুর ১টায় গভীর সাগরে অপেক্ষমান মিয়ানমারের জাহাজ থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশিকে 'কর্ণফুলী টাগ-১' জাহাজে করে শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে আনা হয়। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ইমিগ্রেশনের জন্য সবাইকে একটি প্যান্ডেলে রাখা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেই, তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মিয়ানমার কারাগার থেকে ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। এসময় তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। যাঁদের ইতিমধ্যে সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আরো সব বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমার কারাগারে রয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের মধ্য বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

;

বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ডুবি, ১১ নাবিক উদ্ধার, নিখোঁজ ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচর সংলগ্ন পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনায় ১১ নাবিককে উদ্ধার করেছেন মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা। তবে এখনো ১ নাবিক নিখোঁজ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে জাহাজডুবির এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা কালা মিয়া জানায়, এমভি মৌমনি নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ভাসানচরের পূর্ব অংশে ইসলাম চর এলাকায় পৌঁছালে দুপুর ১২টার দিকে ১২ নাবিক ও মালামালসহ জাহাজটি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা ১২ নাবিক ডুবে যাওয়া জাহাজের উপরের অংশ ধরে ভাসতে থাকে। এ সময় নাবিকরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান।

পরে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়। এরমধ্যে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়া জাহাজের নাবিকদের দেখতে পেয়ে তাদের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ জানান, কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই জেলেদের একটি বোর্ড নাবিকদের উদ্ধার করে। তাদেরকে নিরাপদে পৌঁছানোর সব ব্যবস্থা করছে কোস্টগার্ড। তবে এখনো এক নাবিক নিখোঁজ রয়েছে।

;