ভোটের চূড়ান্ত মহারণে সিলেট বিভাগের ১১৪ যোদ্ধা



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ২০ দিন বাকি। এ নির্বাচনে ভোটের মহারণে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে লড়বেন ১১৪ প্রার্থী। মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের বাইরেও একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন এ বিভাগে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পরপরই শুরু হবে প্রচারণা। ১০ বছর পর সিলেটে ‘নৌকা’ ও ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের উম্মাদনায় মাতবে ভোটাররা।

সিলেট জেলার ছয়টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী যারা:

সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিএনপির খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আলহাজ্ব মাওলানা নাসির উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এনপিপির ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশের বিপ্লবি ওয়ার্কাস পার্টির উজ্জল রায়, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের প্রনব জ্যোতি পাল, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) মুহাম্মদ ফয়জুল হক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ রেদওয়ানুল হক চৌধুরী।

সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী, বিএনপির তাহসীনা রুশদীর লুনা, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাছির আলী, গণ ফোরামে মুকাব্বির খান, ইসলামী আন্দোলনের মো. আমির উদ্দিন, এনপিপির মনোয়ার হোসাইন ও বিএনএফ এর মোশাহিদ খান।

সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, বিএনপির আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির উসমান আলী, খেলাফত মজলিসের মো. দিলওয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আতিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের এম এ মতিন বাদশা।

সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ, বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টি আহমেদ তাজ উদ্দিন তাজ রহমান, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির মনোজ কুমান সেন ও ইসলামী আন্দোলনের জিল্লুর রহমান।

সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার, জাতীয় পার্টির আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, গণফোরামের বাহার উদ্দিন আল রাজী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শহীদ আহমদ চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের মো. নুরুল আমিন, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ মতিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনির চৌধুরী।

সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী, বিকল্পধারার শমসের মবিন চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলনের মো. আজমল হোসেন।

সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী যারা:

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, বিএনপির নজির হোসেন, জাকের পার্টির আমান উল্লাহ আমান, ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বদরুদ্দোজা সুজা।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্তা, বিএনপির নাছির চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল হাই এবং গণতন্ত্রী পার্টির গুলজার আহমদ। এই আসনে মোট প্রার্থী ৬ জন।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মোঃ মাহফুজুর রহমান খালেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ মুহিবুল হক আজাদ, জাকের পার্টির মো. শাহজাহান চৌধুরী ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সৈয়দ শাহ মোবাশ্বির আলী।

সুনামগঞ্জ -৪ আসনে বিএনপির মো. ফজলুল হক আসপিয়া, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মো. আজিজুল হক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আল হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ, ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের তানভীর আহমদ তাসলিম, ম্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির মো. দিলোয়ার।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক, বিএনপির মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মজিদ, গণ ফোরামের আইয়ুব করম আলী, খেলাফত মজলিসের মো. শফিক উদ্দিন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ এর মো. আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ’র মো. আশরাফ হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. হোসাইন আল হারুন প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।

হবিগঞ্জের চারটি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী যারা:

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ড. রেজা কিবরিয়া, গণফোরাম (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট), শেখ সুজাত মিয়া (বিএনপি), গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (আওয়ামী লীগ), আতিকুর রহমান আতিক (জাতীয় পার্টি), চৌধুরী ফয়ছল শোয়েব (বাসদ), জুবায়ের আহমদ (ইসলামিক ফ্রন্ট)।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে মো. আব্দুল মজিদ খান (আওয়ামী লীগ), ডা. আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন (বিএনপি), শংকর পাল (জাপা), মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, খেলাফত মজলিশ (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট), এজে মাসউদ হাসান (ইসলামী আন্দোলন চরমোনাইপীর), আফসার আহমেদ রূপক (স্বতন্ত্র) ও পরেশ চন্দ্র দাশ (এনপিপি)।

হবিগঞ্জ-৩ (সদর-শায়েস্তাগঞ্জ-লাখাই) আসনে অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি (আওয়ামী লীগ), আলহাজ্ব জি কে গউছ (বিএনপি), মো. আতিকুর রহমান আতিক (জাপা), পীযুষ চক্রবর্তী (সিপিবি), মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল (ইসলামী আন্দোলন চরমোনাই),

হবিগঞ্জ-৪ আসনে (মাধবপুর-চুনারুঘাট) অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মো. ফয়ছল (বিএনপি), আহমদ আব্দুল কাদের (খেলাফত মজলিশ (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) ও সোলায়মান খান রব্বানী (ইসলামিক ফ্রন্ট) এবং শেখ শামসুল আলম।

এছাড়া মৌলভীবাজারের চারটি আসনে চূড়ান্ত ভোট যুদ্ধে লড়বেন ১৯ জন প্রার্থী। ২৪ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। সর্বশেষ ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।

   

উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল

উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে কয়রা, খুলনার নিকট অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ৩ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিবে।

সোমবার (২৭ মে) ভোরে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল কালাম মল্লিকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৮ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০কিলোমিটার. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

;

রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে এ অবস্থা শুরু হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবীরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন অনেকে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোববার বিকেল ও সন্ধ্যা থেকে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল রোববার রাতে উপকূলে আঘাত হেনেছে। রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রামে রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম।

নোয়াখালীর হাতিয়ার বেশ কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল।

এই ঘূর্ণিজড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুড়ি গুড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

;

২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল ছাড়বে রিমাল, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূল অতিক্রমরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৩ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল কালাম মল্লিকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৭ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০কিলোমিটার. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

;

রিমালের তাণ্ডবে তছনছ উপকূল

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনচ হয়েছে, ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। প্রাণহানি হয়েছে বেশ কয়েকজনের।

মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রিমাল। শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে রাতভর বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। জেলার অন্য এলাকাতেও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।

রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেতুলিয়া নদীর উপচে পড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বরগুনায় তলিয়ে গেছে ২৭ গ্রাম, ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আমতলী ও তালতলী উপজেলার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস।

বলেশ্বর নদীর পানিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে। এতে শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন।

করমজলসহ বনের উঁচু এলাকাগুলোও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর হাসপাতালের কোন একসাইড ভেঙে ভিতরে পানি ঢুকেছে। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

মোংলার শ্যালা নদী ও পশুর নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপরে। রাস্তা ভেদ করে জয়মুনি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

চট্টগ্রামে রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম।

নোয়াখালীর হাতিয়ার বেশ কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল।

এই ঘূর্ণিজড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুড়ি গুড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে। সকাল নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

রবিবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টার পর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম রিমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ও মঙ্গলবারও (২৮ মে) সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

;