বিপন্ন বিশ্বে ‘সার্বজনীন মানবাধিকারে’র ৭০ বছর



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে টিভি, কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে আসছে আতঙ্কের ছবি। শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ, বোমা বর্ষণের লাইভ। দেখা যাচ্ছে পঙ্গপালের মতো মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছে। এক দেশ থেকে নানা দেশে শরণার্থীরা পালাচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়। তারপর সারি সারি লাশ ও বীভৎসতার স্টিল ছবিতে প্রতিদিনের অনলাইন, অফলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া ভরে যাচ্ছে। মানবতার তন্ত্রীতে বাজছে বিনাশের করুণ সুর।

মানবতা ও মানবাধিকারে চরম পতনে মনে পড়ে ঐতিহাসিক একটি কবিতা:

‘আমি এখানে কাঁদতে আসিনি,
যেখানে ওরা
মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তোমরা যারা বেঁচে আছো,
আমি শুধু তাদের সঙ্গেই
কথা বলতে এসেছি।
বৃক্ষহীন সমতল থেকে দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত
অনেক অনেক মানুষকে খুন করা হয়েছে
আমাদের এই মৃতদের নামে আমি দাবি করছি শাস্তি।’

বিপ্লবী-কবি পাবলো নেরুদার মতো আজ সবাই উগ্র ও হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করছে। বিপণন বিশ্ব আর্তনাদ করে কাঁদছে মানবাধিকারের দাবিতে। যুদ্ধ, দাঙ্গা, সংঘাতে রক্তাক্ত বিশ্ববাসী অধিকারের জন্য চিৎকার করছে।

অথচ আজ থেকে ৭০ বছর আগে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল শান্তি ও মানবাধিকার রক্ষায়। ১০ ডিসেম্বর ১০৪৮ সালে জাতিসংঘের পক্ষে উচ্চারিত হয়েছিল ‘সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণা’। বলা হয়েছিল: মানব পরিবারের সকল সদস্যের সহজাত মযাদা ও সমানাধিকারের স্বীকৃতি বিশ্বে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও শান্তির ভিত্তি। মানবিক অধিকারসমুহের প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা মানবজাতির বিবেকের পক্ষে অপমানজনক ও বর্বরোচিত কাযকলাপ।

জাতিসংঘের মানবাধিকারের ঘোষণায় এমন একটি পৃথিবীর সূচনা ঘোষিত হয়েছে, যেখানে মানুষ বাক ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং ভয় ও অভাব থেকে নিষ্কৃতি পাবে। মানবিক অধিকারসমূহ অবশ্যই আইনের শাসনের দ্বারা সংরক্ষিত হবে। মানুষের মর্যাদা ও মূল্য, নারী ও পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজে মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার সুনিশ্চিত হবে।

দুটি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডবের ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। বিশ্বনেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল শান্তি ও নিরাপত্তার মোহনায়। এর ফলেই ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে ঘোষিত হয়েছিল সার্বজনীন মানবাধিকারের অঙ্গীকার।

কিন্তু যুদ্ধবাজরা শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারকে বার বার ভূলুণ্ঠিত করেছে। নারী, শিশু, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে। পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল ও প্রান্তে প্রান্তে বইয়ে দিয়েছে রক্তের গঙ্গা ও মৃত্যুর মহোৎসব।

আজ পৃথিবীর দেশে দেশে সুপ্ত ও প্রকাশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরেও রক্ষিত হচ্ছে না মানুষের মৌলিক অধিকার। পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় ও অনিরাপদ প্রাণির নাম এখন 'মানুষ'।

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়ার মধ্য, দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশে চলছে অন্তহীন সংঘাত। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামেন, আফগানিস্তান, মায়ানমার বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। পক্ষ ও প্রতিপক্ষের হানায় অকাতরে মরছে মানুষ। লাঞ্চিত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। পৃথিবী ভরে গেছে মানবিক অধিকারহীন, গৃহহারা, উদ্বাস্ত, শরণার্থীতে।

কেউ কি জানতো, ঘোষণার ৭০ বছরের মধ্যে চরমভাবে লঙ্ঘিত হবে সার্বজনীন মানবাধিকার? সৃষ্টি হবে চরম মানবিক নিরাপত্তাহীনতা ও বিপর্যয়? কে জানতো, শান্তিবাদী মানবিক বিশ্বকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মানবতা ও মানবাধিকার রক্ষায়?

আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে নতুন শপথে বিশ্বকে এক হতে হবে। হিংসা, বিদ্বেষ, যুদ্ধ ও সংঘাতের কবল থেকে মানুষকে বাঁচাতে শান্তিবাদীদের হাতে হাত মেলাতে হবে। উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করতে হবে মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রত্যয়।

   

সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইনসহ সকল গণমাধ্যমের ওপর আরোপিত কর সহনীয় করার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই’র প্রেস ও মিডিয়া বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক এম. শোয়েব চৌধুরী। ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. রাকিবুল আলম (দিপু)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে দেশের গণমাধ্যম। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রেস ও মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সমূহ চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানে এই শিল্পের সব অংশীজনকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির তাগিদ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। সংবাদ মাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম. শোয়েব চৌধুরী বলেন, অন্যান্য শিল্পের মতো সংবাদ মাধ্যমকেও ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। কাজেই অন্যান্য খাতের ন্যায় সংবাদ মাধ্যমকেও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত। কাগজ, কালি, ছাপার যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত কর কমিয়ে আনা দরকার। টেলিভিশনের ব্যান্ডউইথের ওপরও বিদ্যমান কর কমানো প্রয়োজন। সম্পূরক বাজেটে প্রেস ও মিডিয়ার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ এই শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের সংকট দূর করতে কমিটির উদ্যোগে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে তথ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে শিগগিরই সেমিনার আয়োজন করা হবে বলেন জানান কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মো. রাকিবুল আলম (দিপু)। এজন্য কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত লিখিত আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- সংবাদ মাধ্যমের জন্য কর সহনীয় করা, সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-বোনাস ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, এ খাতে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ প্রাপ্তি সহজিকরণ, ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রাপ্তিতে পত্রিকা সমূহের সম-অধিকার নিশ্চিতকরণ, সরকারের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত বিল দ্রুত পরিশোধ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা। সেই সাথে, বেসরকারি খাতের সাথে সংবাদ মাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে প্রতি ৩ মাস পর পর সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মালিক, সম্পাদকসহ, ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়মিত সৌজন্য সভা আয়োজনের আহ্বান জানান তারা।

পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে উৎসাহ ও অপসাংবাদিকতাকে নিরুৎসাহিত করা ও সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ও মুক্ত আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব গভর্নরসের (পিডিবিএফ) সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, দ্য ব্লেজার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রাজিব ইউ. এ. চপল, এফবিসিসিআই’র ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল এনডিসি, কমিটির কো-চেয়ারম্যান আক্কাস মাহমুদ, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, তাওহিদা সুলতানা, এজাজ মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কিছুটা বেড়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। ফলে বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৩৫ ডলার। ডলারের দাম ১০৯ টাকা ৯৭ পয়সা ধরে এই মাথাপিছু আয়ের হিসাব করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেওয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

বিবিএসে’র হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো টাকার অঙ্কে মাথাপিছু গড় আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু গড় আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) চূড়ান্ত হিসেবে টাকায় মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২ হাজার ৭৮৪ টাকা।

এদিকে, বিবিএস বলছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হবে। যেটি আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৪৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসছে শিল্প খাতে। শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধির হিসাবে সবচেয়ে খারাপ কৃষি খাতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের অর্থবছরে তা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে শিল্প ও কৃষিতে কমলেও আগের বছরের তুলনায় এবার সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে সরকারি এ সংস্থা। তারা বলছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে, আগের অর্থবছরে তা ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, মাথাপিছু আয় একে ব্যক্তির আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরে আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্স অর্থাৎ প্রবাসী আয়কেও অন্তর্ভুক্ত করে মোট জাতীয় আয় হিসাব করা হয়। এ আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে দিয়ে এই হিসাব করা হয়ে থাকে।

;

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলা: তিন ডিপোতে কর্মবিরতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলায় তিন ডিপোতে কর্মবিরতি

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলায় তিন ডিপোতে কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের (এসএপিএল) ডিপোতে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ডিপোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়ন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে এই কোম্পানির মালিকানাধীন এসএপিএল, ইস্পাহানি ও ওসিএল ডিপোতে কাজ বন্ধ রেখেছেন সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারীরা। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিআন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের (সিডিএ) সভাপতি কাজী খায়রুল বাশার মিল্টন।

সোমবার (২০ মে) রাত ১২টার দিকে এসএপিএল ডিপো কর্তৃপক্ষের লোকজনের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কয়েকজন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী আহত হন। এই ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।

কর্মবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

তিনি বলেন, ‘ডিপোগুলোতে কাজের পরিবেশ নেই। আমাদের কর্মচারীদের বসার জন্য কোনো জায়গা নেই। কাজ করতে গেলে ডিপোর লোকজন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সোমবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কর্মচারীদের সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডিপোর লোকজন আমাদের কর্মচারীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর করেন। এতে অন্তত চারজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ডিপো মালিকদের পক্ষ থেকেও থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা দু’পক্ষকে সংযত থেকে বিষয়টি সমাধান করার জন্য বলেছি।’ কাজের পরিবেশ তৈরি না হলে অন্য কন্টেইনার ডিপোগুলোও বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

বাংলাদেশ ইংল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এসএপিএল ডিপোতে সিএন্ডএফ কর্মচারীদের সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এটি আমাদের বিষয়টি জানায়নি। শুনেছি এই ঘটনায় এসএপিএলসহ তিনটি ডিপোতে কাজ বন্ধ রেখেছেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা। যেহেতু এখনও কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবহিত করেনি, তাই এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’ তবে ঘটনার বিষয়ে এসএসিএল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

;

কৃষিখাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিখাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ আমাদের জমি কমছে, আর মানুষ বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করতে পারে, কারণ অস্ট্রেলিয়া কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে সফল হয়েছে, কারণ গত ১৫ বছরে কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে উৎপাদন আরও বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

;