চোখ খুললেই উন্নয়ন চোখে পড়ে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
চোখ খুললেই উন্নয়ন চোখে পড়ে: কৃষিমন্ত্রী

চোখ খুললেই উন্নয়ন চোখে পড়ে: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চোখ খুললেই দেশের সর্বত্র উন্নয়ন চোখে পড়ে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, গ্রামের দুর্গম রাস্তাও সব পাকা হয়ে গেছে। 

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মহিষমারা ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সম্মান ও মর্যাদায় পৃথিবীতে অনন্য উচ্চতায় তুলেছেন। এই উন্নয়নের বাংলাদেশকে আজ সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে। তাই, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যুবসমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে দক্ষ মানবসম্পদ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তরুণদেরকে খেলাধুলায় আরো উৎসাহিত করতে হবে ও সুস্থ বিনোদন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, মহিষমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

স্বপ্নেও ভাবিনি হামাগো পাহা ঘর হবি!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনে কহনো স্বপ্নেও দেহি নাই হামাগোর একখান পাহা ঘর হবি। পেটই যেহানে চলে না সেহানে আবার ঘর পামু কই। রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে পাটখড়ি দিয়ে চাপড়া তুলে কোন রহম পোলাপান নিয়ে থাকি। এহন শেখের বেটি হাসিনা ঘরও দেছে জমিও দেছে। হামাগো কি যে ভালো লাগতেছে তা কতি পারব না। হামাগো দেশের সব জমির মালিক মনে হইতেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে এভাবেই নিজেদের অনুভূতির কথা প্রকাশ করছিলেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির উপকারভোগীরা। এ সময় তাদের সবার চোখেই ছিল আনন্দের অশ্রু।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি হাতে পেয়ে বালিয়াকান্দি জঙ্গল ইউনিয়নের পারুলিয়া গ্রামের লক্ষণ মন্ডলের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলে বৈদ্যনাথ মন্ডল (৪৫) বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার একটি পা নেই। আমার দুটি সন্তান। অন্যের জমি চাষ করে সংসার চালায়। থাকার কোন জায়গা ছিল না। নেই কোন জমিও। এখন আমি জায়গাসহ একটি পাকা ঘরের মালিক। ঘরের চাবি ও জমির দলিল হাতে পেয়ে মনে হচ্ছে পুরো বাংলাদেশই আমার, দেশের সব জমির মালিক আমি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামের মৃত দূর্গাচরণ দাসের স্ত্রী লক্ষী দাস (৭০) অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে ছেলেদের সাথে থাকি। আমার দুই ছেলে জামালপুর বাজারের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ঝড়-বৃষ্টি এলেই আমাদের কষ্টের কোন সীমা থাকেনা। এখন একটা নতুন ঘর পেলাম। মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেয়েছি। শেখ হাসিনাকে যেন ভগবান ভালো রাখেন।

উল্লেখ্য, চতুর্থধাপে বালিয়াকান্দিতে ১২০ টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত বালিয়াকান্দিতে মোট ৫২০টি অসহায় পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। তথ্য অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার না থাকায় বালিয়াকান্দিকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

উপজেলা অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ, ইউএনও রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী ও সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গ।

;

‘ঝড়ে অহন আমার বউ পোলাইন লইয়া ঈদ কাটাতে পারমু’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে উচ্ছ্বাসিত ভূমিহীনরা। অনেকেই আবার আনন্দে কান্নায় পড়েন। ঘর পেয়ে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। এ সমস্ত পরিবারগুলো আগে থাকত অন্যের জমিতে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর জেলার ১২শ পরিবারে ঘরের দলিলসহ অনান্য কাগজপত্র তুলে দেয়া হয়।

ধনিয়া ইউনিয়নের জয়নাল হোসেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব হারিয়েছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করে অভাব অনটনে ছিলেন। স্ত্রী অন্যের কাছ থেকে সাহায্য তুলে সংসার চালাতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে তার জীবন। আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।

কান্না জড়িত কণ্ঠে জয়নাল বলেন, এক সময় আমার ঘরবাড়ি কিছু আছিল না। আমি ভিক্কা কইরা খাইতাম। বাবা মার চিকিৎসা করতে গিয়ে সব টাকা পয়সা খরচ হয়ে গেছে । কোন জায়গা জমি না থাকায় মানুষের বাড়ি থাকি। অহন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়া আমি খুব খুশি। অহন খুব আরামে থাকতে পারমু, আমি এই ঝড়ে অহন আমার বউ পোলাইন লইয়া ঘরেই ঈদ কাটাতে পারমু আমার খুব আনন্দ লাগছে।

শুধু জয়নাল নয় অন্যদের অবস্থাও একই। প্রত্যেকের জীবনী রয়েছে এই ধরনের ঘটনা। যারা নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন কারণে নিঃস্ব। ছিলনা মাথা গোঁজার ঠাঁই। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ঠিকানা পেয়েছেন তারা। স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাড়ানোর।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে জুলেখা বেগম বলেন, আগে নদীর পাড়ে থাকতাম বৃষ্টি আইলে পানি পরত। বন্যা বাতাস হইলে অনেক ডর করতো। অহন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে থাকমু অনেক আরাম হইবো। বৃষ্টির পানি আর গায়ে পরবো না।

চতুর্থ পর্যায়ে ভোলায় ১২'শ টি এবং সদরে আরও ৯০ টি পরিবার পেয়েছেন ঘর। এর মধ্যদিয়ে সদর উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হল সদর উপজেলা। আশয়ণের ঘর পেয়ে তাদের জীবনমানের উন্নতি হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলী সুজা বলেন, এই ঘর বিতরণ ব্যক্তি বাছাই করার ক্ষেত্রে আমরা দরিদ্র, পঙ্গু, প্রতিবাগান কবলিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপরে থাকা ভূমিহীনদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ”বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল জেলার মতো আজ ভোলার ৭ উপজেলার বাস্তুহারা, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদেরকে ৬৫৩টি ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। একই সাথে ভোলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

;

কুমারখালী ও ভেড়ামারায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুমারখালী ও ভেড়ামারায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

কুমারখালী ও ভেড়ামারায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আউশ ধান ও পাটের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে ধান ও পাটের বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার সাড়ে ৭ হাজার কৃষকের মাঝে ধান ও পাটের বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. নাছরিন বানু, পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন আরজুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ হাজার ৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রত্যককে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি ও ডিএপি রাসায়নিক সার এবং পাট উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৩ হাজার কৃষককে এক কেজি করে পাট বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরে আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি এবং পাটচাষের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি।

অপরদিকে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২২/২৩ অর্থ বছরে খরিপ এক ২০২২/২৩ মৌসুমে ব্রিধান ৪৮ ও বি আর তোষাপাঠ -৮ চাষাবাদ সহোয়োগিতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ভেড়ামারা উপজেলায় ৪ হজার হাজার কৃষককে জনপ্রতি ৫ কেজি আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি এমওপি, ১০ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু।

ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহমুদা সুলতানা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, শাহনাজ ফেরদৌস সম্প্রসারণ অফিসার, অনুশ্রী দেবনাথ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার

;

নোয়াখালীতে মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষের দুইটি দরজা, দুইটি জানালা, মেঝে ও উপরের সিলিং এর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত আনুমানিক সোয়া এগারোটার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখানে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক সোয়া এগারোটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর এলাকায় নির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মোয়াজ্জিন ও খাদেম থাকার কক্ষে আকস্মিক ভয়াবহ এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে কক্ষটির দুইটি দরজা ও দুটি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানালার গাছগুলো ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলের সৃষ্ট কাণ্ডে পুরো কক্ষটি বিবর্ণ হয়ে যায়। বিস্ফোরণ স্থলে ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। বিস্ফোরণ স্থলের উপরে পক্ষের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের সময় কক্ষটিতে মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের কেউ না থাকায় দের কোন ঘটনা ঘটেনি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বেগমগঞ্জ মডেল মসজিদের দায়িত্বে থাকা ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, রাত দশটার দিকে তিনি মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের থাকার ওই তার একটি কাপড়ের ব্যাগ ও দাপ্তরিক কিছু ফাইলপত্র রেখে আসেন। রাত এগারোটার পরে বিস্ফোরণের শব্দ পান। ঘটনার সময় তিনি মসজিদের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়ে আসবাবপত্র গোছাচ্ছিলেন। এ সময় মসজিদের আশেপাশের লোকজন আগুন বলে এগিয়ে আসেন। তখন তিনিও দ্রুত মসজিদ থেকে বেরিয়ে যান। পরে আবার এসে দেখেন দ্বিতীয় তলায় খাদেম ও মুয়াজ্জিনদের থাকার কক্ষে আগুন জ্বলছে। দরজা, জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করেন।

আজ সকালে মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষটির মাঝামাঝি স্থানে আগুনে পোড়া জিনিসপত্রের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিস্ফোরণের ক্ষতিগ্রস্ত জানালার কাজ পড়ে আছে মেঝেতে। বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে পুরো কক্ষটি ধোঁয়ায় বিবর্ণ হয়ে গেছে। বিস্ফোরণ স্থলটিকে ইট দিয়ে চার পাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে মডেল মসজিদের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিস্ফোরণের উৎস সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় ওই পক্ষে কেউ ছিল কিনা সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ দলকে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রতিবেদন দিলে এ বিষয়ে দ্রুত পরবর্তী আইনগত উপলক্ষে গ্রহণ করা হবে।

;