শনিবার ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার রাত ১০টা ৩০মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন এবং সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালীর স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি।

এছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়: ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়।

সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

   

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আইডিয়ালের শিক্ষার্থী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিন মুগদার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হন। পরে মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি ধাক্কা দেয় মাহিনকে। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলেকে হারিয়ে বাবা মাসুম মিয়া স্তব্ধ। বাবা-মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে মুগদার বাতাস। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় চাচার বাসায় চলে যাবে। আর মাহিন ফিরল না।’

মাহিনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বড়ভাই মাহফুজও। স্বজনদের দাবি, ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন দুর্ঘটনায় মাহিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বৃষ্টি চেয়ে কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায়



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বৃষ্টির জন্য কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বিশেষ এ নামাজে ইমামতি করেন কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী।

স্থানীয় পীর ও মাসায়েখদের আয়োজনে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তি সহ শত শত মুসল্লীরা এ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।

কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী বলেন, ইসতিসকার নামাজ বা (বৃষ্টির নামাজ) হল একটি সুন্নাহ নামাজ (ইসলামি প্রার্থনা) আল্লাহর কাছে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য।তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হলে নবিজির (সা.) অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরম, মাঠে ফসল ফলানো কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এ বিশেষ নামাজ। ইনশাআল্লাহ এ নামাজকে কেন্দ্র করে আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখবেন। আমিন।

;