বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’।

এ উপলক্ষে রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রধান অতিথি থাকবেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বিশেষ অতিথি থাকবেন।

এ বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।

অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে।

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর-সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নীল রঙের আলোকসজ্জা করা হবে। এ ছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে।

অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এটি নিয়ে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

সায়মা ওয়াজেদ ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। তিনি এই অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

রাঙামাটির কুরকুটিছড়িতে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির বরকল উপজেলাধীন কুরকুটিছড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে মালেক মিয়া নামের ৫৬ বছর বয়সী একজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার ফজরের আযানের পরপরই কুরকুটিছড়ির ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাড়া এলাকায় এই দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ২নং বরকল ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুরভী আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দা মালেক ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদ সংলগ্ন নদীর পাড়ে ওজুর জন্য যান। এক ঘণ্টায়ও তিনি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ঘাটে গিয়ে মালেককে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই বন্যহাতির পাল এলাকায় হামলা দিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি স্থানীয়দের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট্য প্রশাসনের কোনো ধরনের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বন্যহাতির আক্রমণে নিজেদের প্রাণহানি থেকে শুরু করে ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এই ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা।

;

স্ত্রী হত্যার ৬ বছর পর পলাতক স্বামী গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে পলাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে হাতিয়া থানার পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মো. মহিউদ্দিন (৩৫) উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য মাইজচরা গ্রামের নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ির হোসেন আহম্মদের ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রোজিনাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী মহিউদ্দিন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে মহিউদ্দিন পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আবদুল আলীম বাদী ঘটনার পরের দিন হাতিয়া থানায় তার স্বামীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওসি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

;

ঢাকার বায়ু আজ আবার অস্বাস্থ্যকর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুদূষণে আজ সোমবার ঢাকার স্থান দ্বিতীয়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ১৭৬। এ বায়ু অস্বাস্থ্যকর।

আজ বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৯০। বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। তৃতীয় অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ১৬৪। চতুর্থ অবস্থানে আছে চিলির সান্তিয়াগো, স্কোর ১৬৩।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়।

একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে তা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হয়ে থাকে।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।

নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি—বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।

;

‘শান্তিরক্ষা মিশনে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশি সদস্যরা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করেছে। তিনি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও সোমবার (২৯ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি এ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের তিনি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ -জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার মহান কাজ করছে এবং শান্তিরক্ষায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের পাশাপাশি শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এ সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের শান্তিরক্ষী সদস্যরা আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত রাখবে।

;