‘কর অব্যবস্থাপনায় বছরে ২ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা হারাচ্ছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর ফাঁকি আর কর ছাড়ের কারণে বছরে ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থেকে দুই লাখ ৯২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

আর ছায়া অর্থনীতির জন্য রাজস্ব হারাচ্ছে বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। এ অংক মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ। যা দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ৩০০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে করপোরেট খাতে কর স্বচ্ছতা ও জাতীয় রাজস্ব এবং বাজেটে প্রভাব শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, একটি যৌক্তিক, স্বচ্ছ ও প্রগতিশীল সুসম কর ব্যবস্থা জাতীয় উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার আয় করে থাকে। সেই আয়ই জাতীয় বিভিন্ন উন্নয়নে ও সামাজিক উন্নয়নে খরচ হয়ে থাকে। এই কর ব্যবস্থা যতটা আধুনিক হবে কর আহরণ ও তত স্বচ্ছতার সাথে হবে, উন্নয়নের জন্য আমরা তত ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা বলে থাকি উন্নয়নে আমাদের বাস্তব জায়গা দরকার। সেই স্পেস তৈরি করতে প্রধান উপায় হলো অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন। অভ্যন্তরীণ সম্পদের সঞ্চালনের প্রধান দিক হলো কর্পোরেট ট্যাক্স। এ জন্য কর্পোরেট করের স্বচ্ছতা নিয়ে আলোচনা জরুরি।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে বলেন, ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না। কর জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে এটি হচ্ছে। অন্যদিকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে ২ লাখ ১৩ হাজার কোম্পানি রেজিস্টার্ড হলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৪৫ হাজার কোম্পানি।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের আকার ৩০ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে করের পরিমাণ ছিল ২০১০ সালে ২২ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। ছায়া অর্থনীতিতে ৮৪ হাজার কোটি টাকা কর ক্ষতি হচ্ছে। যা জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ। এ টাকা যদি পাওয়া গেলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় তিনগুণ বাড়ানো যেত। অর্থাৎ করনেট বৃদ্ধির প্রতিবদ্ধকতা হচ্ছে প্রধান অপ্রাতিষ্ঠানক খাত। বড় অংশই করের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে কর ফাঁকি দিন দিন বাড়ছে।

বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ড বলছে ২ লাখ ১৩ হাজার নিবন্ধিত কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪৫ হাজার কর জমা দিচ্ছে। অর্থাত্ নিবন্ধিত ৫টি কোম্পানির একটি কর দিচ্ছে। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত যত বড় তার কর আহরণ তত কম। এরকম একটি হাইপোথিসিস আছে বা এরকম একটি কথা বলা হয়ে থাকে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, কর অসচ্ছতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। কর ফাঁকি ও কর এড়ানো। কর ফাঁকি দিতে গিয়ে কোম্পানি তার প্রকৃত আয় কম দেখিয়ে থাকে। অন্যদিকে কর এড়ানোর বিষয়টি হলো লিগ্যাল ফ্রেমের আওতায় সরকারের দেওয়া সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। আমাদের দৃষ্টিতে এটাও কর অস্বচ্ছতা।

কর ফাঁকি ও কর এড়াতে আর্থিক তথ্য গোপনের প্রবণতা বেড়েছে উল্লেখ করে সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক বলেন, বৈশ্বিক ইনডেক্সে কর ফাঁকি ও কর এড়াতে আর্থিক তথ্য গোপন করার প্রবণতায় ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫২তম। বাংলাদেশ ২০২২ সালে আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়েছে। অর্থাৎ দেশে আর্থিক তথ্য গোপন করার প্রবণতা বেড়েছে।

কর ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজস্ব কর্মকর্তা ও অডিটরদের সঙ্গে কথা বলে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তা হলো, কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর মাত্রা ব্যাপক। কেউ কেউ বলছেন, ট্যাক্স লস যেটি হচ্ছে কর এড়ানোর জন্য সেটি ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আর কর লস যেটি হচ্ছে কর ফাঁকির জন্য সেটি ১৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, কর ফাঁকি যদি ৮০ শতাংশ হয় তাহলে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কর ফাঁকি ৫০ শতাংশ ধরা হলে রাজস্ব হারানোর পরিমাণ ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আমাদের ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থেকে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত কর আদায়ের সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে কর এড়ানোতে যে ব্যয় হচ্ছে সেটা যদি ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হয় তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মত।

কর ছাড়গুলো কিভাবে কমিয়ে আনবেন সেটার একটি লক্ষ্যমাত্রা থাকা দরকার আগামী বাজেটে। কর প্রসাশনের একটি লক্ষমাত্রা থাকা দরকার যে তারা ফাঁকি দেওয়া কর থেকে কিভাবে টাকা উঠিয়ে আনবেন। অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করা। একটি সমন্বিত লেনদেন কাঠামো দরকার। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

   

চেয়ারম্যানের আচরণে ক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যদের বিক্ষোভ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক আলোচনা সভায় আবু সায়েম লিটন নামে এক চেয়ারম্যানে আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন ইউপি সদস্যরা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সোমবার (৩ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্থানীয় সরকার আহরণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময়ে ইউপি সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করেন।

আবু সায়েম লিটন উপজেলার পুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

জানা যায়, আজ সকাল থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় সরকার আহরণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনার আলোচনা সভা চলছিলো। এ সময় এক বক্তব্যে আবু সায়েম লিটন নামে ওই চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যের বলেন, ‘এসব মেম্বারদের আমি হিসাব করিনা এদের দিয়ে ঘাস কেটেও নেইনা’ এ কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ইউপি সদস্যরা। এসময়ে তারা সভাস্থল ত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ চত্তরে বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে তাদের সভাস্থলে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাফিউল ইসলাম বলেন, তিনি (চেয়ারম্যান) বক্তব্যের সময়ে আমাদের উদ্দেশ্য বলেন ‘এসব মেম্বারদের আমি হিসাব করিনা এদের দিয়ে ঘাস কেটেও নেইনা’। এমন কথা আমাদের সম্মানে লেগেছে। আমরা জনগণের নির্বাচিত সদস্য।

পুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন বলেন, আমি এখানে এমনি কইলাম মেম্বারের ঘর যে ডাবনি হইছেন একবারে, এতে ওরা বাইরে গিয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজা মুঠোফোনে জানান, ওখানে ট্রেনিং চলছিল আমি ছিলাম না, আসলে কি হয়েছিলো সঠিক বলতে পারছি না।

;

জনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের প্রতিটি টাকা যাতে স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে ব্যয় হয়, তা নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার (৩ জুন) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সরকারি তহবিল ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। প্রতিবছরই বাড়ছে বাজেটের আকার ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির কলেবর। তিনি বলেন, এর ফলে সরকারি ব্যয়ও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

জনগণের টাকা যাতে স্বচ্ছভাবে ব্যয় হয় সেক্ষেত্রে অডিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিসহ সকল ধরনের অডিট হালনাগাদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ও তাগিদ দেন। বৈঠকে রাষ্ট্রপতিকে সিএজি রিপোর্টের সার্বিক কার্যক্রম ও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

সিএজি তাকে ৪৫টি কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট, দু’টি উপযোজন হিসাব রিপোর্ট এবং দুটি আর্থিক হিসাব রিপোর্ট সম্পর্কেও জানান।

এছাড়াও, সিএজি সরকারি কর্মচারীদের বেতন, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদানের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টগণও উপস্থিত ছিলেন।

;

সরিয়ে নেয়া হচ্ছে শাহবাগ থানা , মন্ত্রিসভার অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। থানাটি স্থানান্তরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, শাহবাগ থানা এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে শেরাটনের উল্টো দিকে সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে নেওয়া হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে পর শাহবাগ থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সরিয়ে শাহবাগের সাকুরা রেস্টুরেন্টের জায়গায় নেয়া হবে থানা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ' প্রকল্প বাস্তবায়নে শাহবাগ থানা ছিল অন্যতম প্রধান বাধা। এই সিদ্ধান্তের ফলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা থাকল না।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

;

পুলিশের ওপর হামলা: চার হিজড়া রিমান্ডে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পরীবাগে ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাহিদুল ইসলামের চোখ হারানোর ঘটনায় গ্রেফতার তৃতীয় লিঙ্গের চার সদস্যের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গ্রেফতারকৃত হিজড়ারা হলেন- তানিয়া (১৯), তন্নী ওরফে তিথি (২১), কেয়া ২০ এবং সাথী ওরফে পাভেল (২০)।

সোমবার (৩ জুন ) দুপুরে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

এদিকে হামলাকারীরা নকল হিজড়া বলে দাবি করছে পুলিশ। তাদের ভাষ্য, গ্রেফতারকৃতদের পুরুষাঙ্গ ঠিকই আছে। তবে মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ বিষয়ে আশরাফ হোসেন বলেন, হিজড়ারাও আমাদের সমাজের একটি অংশ। কিন্তু কিছু হিজড়া দুষ্টু, তারা কমিউনিটি নিয়ে চলে, তাদের সঙ্গে আবার কিছু আছে সুস্থ মানুষ। হিজড়ার বেশ ধরে চলে।

তথাকথিত এসব হিজড়াকে আর ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে যেসব হিজড়া সড়ক, পরিবহন ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে বিগত ছয়মাস ধরে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে আমরা খুব কঠোর অবস্থানে আছি। ডিএমপির আট বিভাগেই এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টিকারী হিজড়াদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরীবাগের ঘটনার পরে হিজড়াদের বিষয়টি আমাদের অবাক করে দিয়েছে।

এসময় তিনি জানান, আহত পুলিশ সদস্যের চোখে আলো ফেরাতে সব চেষ্টা করা হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিসি মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে এসআই আনোয়ারুল ইসলাম ও এসআই মো. মোজাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইস্কাটন গার্ডেনে নেভি কোয়ার্টার্সে ডিউটি করছিলেন। এসময় পাশেই পরীবাগ ফুটওভার ব্রিজের কাছে কয়েকজন রিকশাচালক ও পথচারীর চিৎকার শুনতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকজন হিজড়া/হিজড়া বেশধারীকে ছিনতাই করতে দেখতে পান। পুলিশের টিমটি তখন হিজড়াদের ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তারা অতর্কিতে পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে হিজড়াদের ছোঁড়া ইট-পাথরের একটি টুকরা এসআই মোজাহিদুল মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন হিজড়াদল ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি জানান, আহত মুজাহিদকে রাজারবাগ সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

;