মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকারকেই ক্ষমতায় আনার আহ্বান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার যাতে দেশ শাসনের সুযোগ না পায় সে লক্ষ্যে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা।

তারা বলেছেন, দেশের যা উন্নয়ন হয়েছে তা কেবল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকারের অধীনেই। আর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশ শাসনের সুযোগ পেলে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জিত সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ‘যে মহান বিজয় এখনো সুসংহত হয়নি’ শীর্ষক আলোচনাসভায় দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ডা. এস. এ. মালেক।

আলোচনায় অংশ নেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহম্মেদ, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার প্রমুখ। 

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে ডা. এস এ মালেক বলেন, স্বাধীনতা এখনো সুসংহত হয়নি। তার প্রমাণ এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির অংশগ্রহণ। এর প্রথম ও প্রধান কারণ আমাদের অসচেতনতা। যারা দেশের অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সংবিধানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের ভোট দেওয়া সচেতন জনগণের পক্ষে আর সম্ভব নয়। দেশের ভালো ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে। নির্বাচনের আগে এই ১৮ দিনে আমাদের ১৮ বছরের চেয়েও বেশি কাজ করতে হবে নৌকার পক্ষে।’

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানের অভাব নেই। খুনি খোন্দকার মোশতাক গং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে  সরাসরি জড়িত ছিলেন। আর ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হয়েও আজ যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতার শত্রু, বিএনপি-জামায়াতের সাথে জোট বেঁধে বাংলাদেশের মানুষের সাথে তামাশা করছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এই অশুভ শক্তির আঁতাত প্রত্যাখ্যান করবে এবং আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দলকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিবেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে তিনি তার আন্তরিকতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি দিয়ে তা প্রমাণও করেছেন। সুতরাং জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যদি সত্যিই অগ্রসর জাতি-রাষ্ট্রগুলোর অন্তর্ভুক্ত হতে চায় তাহলে বর্তমান বাস্তবতায় নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকেই বেছে নেওয়ার বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন শেষ বয়সে এসে নিজেকে একেবারে শূন্যের কোটায় নামিয়েছেন। কারণ বিএনপি তার কোনো কথাই শোনেনি। নিবন্ধন হারানো জামায়াতকে ঠিকই তারা দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একটি ভালো কাজ করেছেন। তা হলো, দেশের সব রাজনৈতিক দল সংলাপে এসেছে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তবে তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির পক্ষ নিয়েছেন। এটা ন্যাক্কারজনক।’

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা বাঙালি ছিল না। পরবর্তীতে তারাই এদেশে ক্যান্টনমেন্ট কিংবা সামরিককেন্দ্রিক রাজনীতি পরিচালনা করেছে। এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রীও ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রিক হয়ে পড়েন। যেখান থেকে তারা রাজনীতিও পরিচালনা করতেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অবদান, তিনি এই অপরাজনীতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন এবং ক্যান্টনমেন্ট থেকে তা বের করে এনেছেন।’