‘শুভসন্ধ্যা বীচ’ দেবে যাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনা থেকে ফিরে: বিদ্যুতের প্রভূত উন্নতি হলেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতা সরকারকে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। একমাত্র দৃশ্যমান অগ্রগতি থাকা বরিশাল পাওয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মহল নানামুখী অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

প্রথম দিকে পরিবেশ ও সুন্দরবন ধ্বংসের ধুয়া তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করে। এরপর কিছু ভাসমান লোকদের দিয়ে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চেষ্টা করে। ভাসমান লোকেদের উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার নতুন অভিযোগ তোলা হয়েছে; বালু উত্তোলনের কারণে না-কি ‘‍শুভসন্ধ্যা সী বিচ’ দেবে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সকলেই বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামতের ভিত্তিতেই বীচ থেকে ১.৭ কিলোমিটার দূরত্বে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি মতামত দিয়েছে, জোয়ার ও ভাটার সময়ে যেখানে পানি থাকে, সেই দুই পয়েন্টের মাঝামাঝি থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করলে বীচ থাকবে ঝুঁকিমুক্ত। বিষয়টিকে আরও নিরাপদ করতে তীর থেকে ১.৭ কিলোমিটার দূরত্বে ড্রেজার স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল পাওয়ার কোম্পানি।

এদিকে যখন থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে, একটি মহল তাদেরকে ঠেকানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়, কিন্তু এখনও তাদের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। লোকজন গেলেই শুভ সন্ধ্যা বীচ দেবে গেছে বলে প্রচার করা চেষ্টা করছে মহলটি।

অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে ১.৭ কিলোমিটার দূরে ড্রেজার ব্যবহার করলে তীর দেবে যেতে পারে, এটা অসম্ভব ব্যাপার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আপনি যদি কাউকে বলেন, আমার মাথা ব্যাথা করছে সঙ্গে সঙ্গে সে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিবে। অর্থাৎ আমরা কিছু না জেনেই সব কিছুতে বিশেষজ্ঞ সাজার চেষ্টা করি, এটা খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে। কিছু না জেনে অনেকে সমুদ্র বিশেষজ্ঞের মতো কথা বলছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বীচ দেবে যাওয়ার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জায়গাটি উজানে পায়রাসহ বেশ কয়েকটি নদীর মোহনা। এখানে যে পরিমাণ পলি বহন করে যত বালু তোলেন কোনো সমস্যা নেই। জোয়ারের সময় ভরাট হয়ে যাবে।

তীর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হলে ঝুঁকি আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, টেকনিক্যালি এতে সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে আধা কিলোমিটারের মধ্যে হলে কিছুটা ভাঙন হতে পারে।

মহলটির অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, কোম্পানিটি  কাজ ও ভাবনা আমার পছন্দ হয়েছে। আমার মনে হয়েছে তারা অনেক মানবিক। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রিতদের নিজেদের থেকে পুর্নবাসনের উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে এই অঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলের চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয়ী কয়লা। এমনকি আমদানিকৃত এলএনজির চেয়েও কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ কম। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে ১৫ টাকার মতো। অন্যদিকে কয়লায় ৫ থেকে ৭ টাকার মতো। অর্থাৎ দেশের সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য কয়লার বিকল্প নেই। যে কারণে সরকার কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে জোর দিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৪০ হাজার মেগাওয়ার্ট। যার মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়ার্ট কয়লা দিয়ে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

সে মোতাবেক কাজও শুরু করে। ওরিয়ন গ্রুপকে ৬টি এবং এস আলম গ্রুপকে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয় বিগত সংসদের মেয়াদে। যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এতোদিনে উৎপাদনে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেসরকারি এই কোম্পানি দু’টি এখনও কাজেই  শুরু করতে পারেনি। এস আলমের কিছুটা অগ্রগতি থাকলেও ওরিয়ন পুরোই অন্ধকারে।

অন্যদিক চলতি মেয়াদের শেষ দিকে ২০১৮ সালের এপ্রিল আইসোটেক গ্রুপকে বরগুনার তালতলীতে একটি ৩০৭ মেগাওয়ার্ট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয় সরকার। কোম্পানিটি এরই মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। মেশিন আমদানির কাজও অনেকদূর এগিয়ে  নিয়েছে।

বেসরকারি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৃশ্যমান অগ্রগতি বলতে এটাকেই বিবেচনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও নানা রকম নেগেটিভ প্রচারণার শিকার হচ্ছে। একটি মহল তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে আইসোটেক গ্রুপের ইডি শরীফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা বলতে চাই পরিবেশ ও স্থানীয়দের কোন রকম ক্ষতিহয় এমন কাজ করবে না আইসোটেক। কাউকে কারো দ্বারা প্ররোচিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ। কারো কোনো বিষয়ে আপত্তি থাকলে প্রথমে আমাদের অভিযোগ কেন্দ্রে জানানোর অনুরোধ। যাতে আমরা তাদের সেই সমস্যা সমাধান করতে পারি। কিন্তু অবাক করার মতো তথ্য হচ্ছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি আমাদের কাছে।

   

সরবরাহের অভাব নেই, তবুও বাড়তি সবজির দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্যাণপুরের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন কারওয়ান বাজারে এসেছেন সপ্তাহের বাজার করতে। সাধারণত ছুটির দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি থাকে। সেই সাথে বাজারের চাহিদাকে মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরাও পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু সরবরাহের অভাব না থাকলেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে বাড়তি দাম আদায় করছেন বলে অভিযোগ আমজাদ হোসেনের।

শুক্রবার (১৭ মে ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাকভর্তি মাল নামিয়ে স্তুপ করে রাখা আছে রাস্তার ধারে। অথচ খুচরা বাজারে প্রবেশ করলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। খুচরা ব্যাবসায়ীদের দাবি প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য সরবরাহ হচ্ছে। তাই দাম একটু বেশি। অন্যদিকে ক্রেতাদের দাবি পাইকারি বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও খুচরা বাজারে তা হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ।


এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে কেজি প্রতি ৭০ টাকা থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এছাড়া আদা রসুনের দাম আগের দামের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ২৪০-২৮০ টাকা আর প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা দরে।

এদিকে শাকসবজির বাজারে দেখা যায়, পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। বাজারে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে, ঢেড়স ৮০ টাকা কেজি, লেবু এক হালি ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি, কাকরল ১০০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ১০০ টাকা কেজি, জালি কুমড়া ৬০ টাকা প্রতি পিস।

মাছ মাংসের বাজারেও একই চিত্র। গরুর মাংস আগের মতোই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি। ছাগল ও ভেড়ার মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২১০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা।


মাছের বাজারে কেজি প্রতি রুই মাছ আকারভেদে ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১,০০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৭০০ টাকা, রুপচাঁদা ১১০০ টাকা, পুঁটি ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, মৃগেল ৪০০ টাকা, বাটা মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা এবং বড় ও মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বার্তা ২৪.কম কে জানান, 'সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার তার বাজার করতে হয়। একদিনে মূলত বাসার সকল বাজার তিনি কারওয়ান বাজার থেকেই করেন। তার অভিযোগ দোকানে সকল পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সবকিছুর দাম বাড়তি।'

এদিকে সবজি ব্যবসায়ী মাসুম জানায়, 'বাজারে অনেক শাক সবজি উঠছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় কম। তাই দাম একটু বেশি। মূলত গরমে উৎপাদন এবং আমদানি দুইটাই কম। তাই কাষ্টমারদের কাছে দাম বেশি মনে হয় সবসময়। '

;

লোকসভা নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা জনিত কারণে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলাম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হলো। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন জানিয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন খেকে তিনি এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিষ্ট, ষ্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরী মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমন ও ষ্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫ টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোষ্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার দেখা গেছে।

;

সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে সাত বছরের শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শারাফাত হোসেন সিফাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাত সাতক্ষীরা শহরের শাহিন আলমের ছেলে। তবে, বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় সিফাত এবং তার মা আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় তার নানা মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে থাকতেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা তাকে হাঁস-মুরগি ঘরে উঠেছে কিনা দেখতে বললে সে তা দেখতে যায়। এসময় মুরগির ঘরের পাশের চালা (গর্ত) থেকে একটি সাপ এসে তাকে দংশন করে। প্রথমে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

;

ঢাকার বাতাস আজও খুব 'অস্বাস্থ্যকর'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে ঢাকার বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। যদিও সবচেয়ে বেশি দূষণ কঙ্গোর কিনশাসা শহরের বাতাসে।

এদিন সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৪৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চিয়াং মাই। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৭২। আর ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে জার্মানির শহর মিউনিখ ও নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৫৫।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;