চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা-সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ। ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা-সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার ইমামবাড়ি রেলস্টেশনের আউটারে একটি ব্রিজের মেরামত কাজের জন্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেলপথে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ কসবা উপজেলার ইমামবাড়ি রেলস্টেশনের উত্তর পাশের আউটারের একটি ব্রিজে ফাটল দেখা দেয়। এতে করে ওই পথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল ট্রেনগুলো। বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা এটি মেরামত করার জন্য উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুর ১টা থেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটির মেরামত কাজ শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্রিজটির মেরামত কাজ চলবে।

এদিকে ব্রিজটি মেরামত কাজ করার কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টার পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান তিনি।

   

রাজধানীসহ ২০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
করাজধানীসহ ২০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

করাজধানীসহ ২০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' দুর্বল থেকে আরও দুর্বল হচ্ছে। প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় এরপর গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় এটি। তবে এর প্রভাব এখনো রয়েছে।

এতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ২০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে, ঢাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৫১ মিলিমিটার।

;

রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২শ’ মানুষ। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯০৪টি এবং নিজ ঘরে গাছ চাপায় নিহত হয়েছেন একজন।

ঘূর্ণিঝড় চলাকালে সোমবার (২৭ মে) রাত ১টার দিকে জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় সুরখালি ইউনিয়নে নিজ ঘরে গাছচাপা পড়ে গাওঘরা গ্রামের গহর আলী মোড়লের ছেলে লাল চাঁদ মোড়ল (৩৬) নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (২৭ মে) রাতে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে এবং ভেঙে পড়েছে। ছোট বড় শত শত মাছের ঘের, পুকুর এবং ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট। অনেকের গবাদিপশু, গৃহস্থলির আসবাবপত্র জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে অনেক এলাকায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) ও সোমবার (২৭ মে) ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বইছে খুলনা মহানগরীসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে।

খুলনা শহরের মধ্যে সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর অনেক সড়ক এবং ড্রেন ছিল পানির নিচে। নগরীর অনেক এলাকায় বসতঘরের মধ্যেও ছিল পানি।

খুলনা মহানগরীর ৩০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসাঃ শারমিন সুলতানা জানান, সোমবার রাতে ঘরে মধ্যে পানি ঢোকে। এখনো সেই পানি কমেনি। ঘরের আসবাবপত্র সব পানিতে ডুবে আছে। 

৩১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম জানান, ঘরের কথা কি বলবো। জিনিসপত্র সব খাটের উপরে। আর আমরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে। মাঝে মাঝে এসে দেখে যাচ্ছি। তার উপর বিদ্যুৎ নেই।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আরিফ হোসেন মিঠু জানান, ভৈরব এবং রূপসা নদীতে ভাটা লাগলে শহরের পানি কমে যাবে। বৈরি আবহাওয়ার জন্য নদীর পানি কমছে না। ফলে শহরের পানি নামতে দেরি হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৭শ’ ঘর সম্পূর্ণ ও ৫৬ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২শ’ মানুষ। খুলনা নগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে।

;

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন



স্পেশাল করেমপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণের পরিচয় মিলল। তাঁর নাম আজিজুল হাকিম ইমন। তিনি নগরের সদরঘাটের ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন ইমনের পরিবারের সদস্যরা। 

ইমনের ছোট ভাই রেজাউল হাকিম ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফেসবুকে ভাইয়ের ছবি দেখে এলাকার লোকজন আমাদের খবর দেন। পরে আমি নিজেও ফেসবুকে দেখি। এরপর হাসপাতালের মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছি। কীভাবে ভাইয়ের এমন পরিণতি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।'

তবে কিছুদিন ধরে ইমন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন রেজাউল। বলেন, ভাই নিজে নিজে কথা বলতেন। নানা অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এ জন্য চিকিৎসাও চলছে। সোমবার জোহর নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুজি করেও পাইনি। বাসা থেকে এতদূরে কীভাবে গেলেন বুঝতেছি না।'

ইমনদের বাসা রামপুর ওয়ার্ডের এয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এলাকায়। আর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বাসার প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের আছাদগঞ্জের চাক্তাই খাল থেকে।

খাল থেকে মরদেহক উদ্ধারের সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চার যুবক ডুব দিয়ে এক যুবককে তুলে টেনে খালের পাড়ে নিয়ে আসেন। পরে পাড়ে থাকা লোকজনের সহায়তায় ওই যুবককে খাল থেকে তুলে আনা হয়। তখনও যুবক বেঁচে ছিলেন বলে একজনকে বলতে শোনা যায়। যদিও তরুণটি ছিলেন নিস্তেজ।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর বলেন, ‘সোমবার বিকেলে চাক্তাইখালে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এ সময় এক যুবককে খালে পড়ে যেতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই যুবক কীভাবে পড়লেন তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।’

কোতোয়ালী থানা পুলিশের এসআই বাবুল পাল জানিয়েছেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবককে আছাদগঞ্জ থেকে চামড়া গুদামের দিকে যেতে দেখা যায়। এর কয়েক মিনিটের মাথায় স্থানীয় লোকজনকে চিল্লাচিল্লি করতে দেখা যায়। কয়েকজনকে খালে লাফিয়ে পড়তে দেখা যায়। এর আগে ওই যুবক খালে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাবুল পাল আরও বলেন, কলাবাগিচা খাল ও চাক্তাইখালের সংযোগস্থলে একটি ব্রিজ রয়েছে। সেখানে পাশে সংকীর্ণ একটি উন্মুক্ত জায়গায় লোকজন প্রস্রাব করেন। বৃষ্টিতে খালের পাড় পিচ্ছিল ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক ওখানে প্রস্রাব করতে গিয়ে খালে পড়ে স্রোতে তলিয়ে যান।

;

ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী: ধর্মমন্ত্রী

ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, একটি আদর্শ ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী।

তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদেরকে ধর্মীয় জ্ঞানে আলোকিত করার পাশাপাশি তাদের আচরণগত উৎকর্ষ সাধন এবং নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রভাব ফেলে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম অডিটোরিয়ামে 'টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ভূমিকা' বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, মসজিদ-মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে বসে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা লাভের সুযোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণ শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষার মেলবন্ধনে শিক্ষার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অনেকগুণে বৃদ্ধি পায়। সমাজের সমস্ত জরা-ব্যাধি প্রতিরোধ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এরূপ শিক্ষা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার নিরিখে কাজ করে যাচ্ছে। গত দেড় দশকে জাতির সামনে তিনি ৩টি উন্নয়ন পরিকল্পনা পেশ করেছেন। রূপকল্প-২০২১ এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার সফল হয়েছে। বাংলাদেশ স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।

মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, কাউকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসডিজি’র অন্যতম মূলনীতি হলো কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের মূল ফোকাসটা এখানেই। আমরা সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চাই। সকল ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ন্যায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে চারিদিকে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় লক্ষণীয়। দুর্নীতি-সন্ত্রাস, ঘুষ, কালোবাজারি, মজুতদারি, ভেজাল প্রভৃতি ব্যাধি সমাজে জেঁকে বসেছে। এই ব্যাধির করাল গ্রাস থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে এই প্রকল্পটির উপযোগিতা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটা অবশ্যই আমলে নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সৎ ও একনিষ্ঠ থাকতে হবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. বীরেন শিকদার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আরমা দত্ত, কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষেন্দু কুমার পাল ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কাযক্রম (৬ষ্ঠ পযায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ।

উল্লেখ্য, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পযায়) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রকল্পের সহকারী পরিচালক, মাস্টার ট্রেইনার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিক্ষকমন্ডলী ও সাংবাদিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

;