যমুনা চরাঞ্চলের অর্থনৈতিক চালচিত্র বদলে দিয়েছে কৃষি-খামার



সুজন সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যমুনার বিস্তীর্ণ বালুচরে কৃষি বিপ্লব ঘটেছে। আর এ বিপ্লবের মূল সারথি হচ্ছে নদীভাঙা মানুষ। এক সময় নদীই যাদের ভূমিহীন সর্বহারা করেছে, এখন সে নদীর চরই তাদের আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। নদীভাঙা ভূমিহারা মানুষ আজ চরে ফলাচ্ছেন বাদাম, মরিচ ভূট্টা, সরিষা, শাক-সবজি, কালাই, তিল, কলা ও থাই কুলসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল। এ ছাড়া চরে ছোট ছোট অসংখ্য গরু ও ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। আর খামারের দুধ ও কৃষিজপণ্য বদলে দিয়েছে তাদের ভাগ্য।

সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনায় জেগে ওঠা চরে নদীভাঙা শত শত মানুষ শুধু কৃষিজপণ্য উৎপাদনই করছেন না। তারা ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তুলেছেন গরু, মহিষ ও ছাগলের খামার। খামারগুলোতে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার লিটার খাঁটি দুধ। এ দুধ চরবাসীর চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও উপজেলার হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। গত এক যুগে গো-মহিষের খামারে নদীভাঙা মানুষের জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক চালচিত্র বদলে দিয়েছে।

নদীভাঙনে বাস্তহারা নিঃস্ব শত শত পরিবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, সদর উপজেলা, চৌহালী, শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা বুকে জেগে ওঠা চরে বসতি গড়ে তোলে। তাদেরই একজন শহিদুল ইসলাম উপজেলার ভেটুয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। ১৮/২০ বছর আগে অন্যের জমিতে কামলা খেটে ও বর্গাচাষি হিসেবে কাজ করে এক বেলা খাবার জুটলেও আরেক বেলা থাকতে হতো উপোস। আর আজ তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫০ লাখ টাকা। বন্যা আর নদীভাঙনের সাথে যুদ্ধ করতে হয় বলে অর্থনৈতিক দুর্দশা চরবাসীদের স্বাভাবিক দৃশ্য। কিন্তু এখন ব্যাপক লাভের মুখ দেখে চরবাসীরা যেভাবে গরু পালনে ঝুঁকছেন তাতে শিগগিরই গরু পালনই চরবাসীর প্রধান পেশা হয়ে দাঁড়াবে বলে অনেকের ধারণা।

যমুনা নদীপাড়ের নাটুয়ারপাড়া ও কুমারিয়াবাড়ী বাজারটি উপজেলার অন্তত ৩০টি চরের বাসিন্দাদের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। এ বাজারের ঘাটে কথা হচ্ছিল চরগিরিশ জাতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কুমারিয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা এম কামরুল হাসান ওরফে গুলজারের সাথে। তার মতে ১৫ বছর আগে হাতে গোণা কিছু গৃহস্থ উন্নত জাতের গাভী, আবার কেউ ষাঁড় বাছুর এনে পালন করতে থাকেন। এর দুধ থেকে ভালো আয় আর গরু মোটাতাজা করার করণে ব্যাপক লাভ হওয়ায় গরু পালনে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। তিনি আরো বলেন, চরে গরু পালন ১৫ বছর আগে শুরু হলেও বছর চারেক ধরে এ বিপ্লব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে চরের অন্তত ৯০ ভাগ মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে।


জানা গেছে, জেলার শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে দেশের প্রধান দুগ্ধ উৎপাদনকারী ও গরু পালনকারী এলাকা গড়ে উঠেছে। তবে গরুর খামার ও গরু পালনকারীর সংখ্যা চর এলাকায় এত ব্যাপকহারে বেড়ে চলছে যে তা রীতিমত বিস্ময়কর। সিরাজগঞ্জের কয়েক উপজেলা থেকে মিল্ক ভিটা, ফার্মফ্রেসসহ প্রায় ২০টি দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছে। এ দুধের অন্তত ৬০ হাজার লিটারই চরের বলে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ও কয়েকটি দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।

রবিবার (২৮ মে) সকালে কাজিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম বলেন, গরু পালন করে চরের মানুষ গত এক যুগে যে সাফল্য পেয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী, মনসুর নগর, তেকানী, চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, শুভগাছা ও মাইজবাড়ী ইউনিয়নের চরগুলোর মধ্যে কয়েকটি চরে বলা চলে গরু-ছাগল-মহিষ পালনে বিপ্লব ঘটে গেছে। চরে নাটুয়ারপাড়ায় প্রতি শনিবার ও বুধবারের বিশাল গরু ছাগলের হাট বসে। বেচাকেনা হয় প্রচুর।

যমুনা নদীপাড়ের নাটুয়ারপাড়ায় ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি চরের বাসিন্দাদের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। নাটুয়ারপাড়া নৌকা ঘাটে কথা হচ্ছিল নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরকারের সাথে। তার মতে ১০/১২ বছর আগে হাতে গোণা কিছু গৃহস্থ দেশি গরু ছাগল পালন করতে। এখন উন্নত জাতের গাভী, আবার কেউ ষাঁড় বাছুর এনে পালন করতে থাকেন। এর দুধ থেকে ভালো আয় আর গরু মোটাতাজা করে এখন অনেকেই লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, প্রতি বছরই যমুনার চরে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে সবুজ ঘাস খাওয়ানোর জন্য পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মহিষ ও গরু বাথান নিয়ে আসে। চৌহালী থেকে কাজিপুরের দুর্গম চরের তৃণভূমিতে শত শত মহিষ ও গরুকে ঘাস খাচ্ছে।

   

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আইডিয়ালের শিক্ষার্থী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিন মুগদার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হন। পরে মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি ধাক্কা দেয় মাহিনকে। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলেকে হারিয়ে বাবা মাসুম মিয়া স্তব্ধ। বাবা-মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে মুগদার বাতাস। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় চাচার বাসায় চলে যাবে। আর মাহিন ফিরল না।’

মাহিনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বড়ভাই মাহফুজও। স্বজনদের দাবি, ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন দুর্ঘটনায় মাহিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বৃষ্টি চেয়ে কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায়



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বৃষ্টির জন্য কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বিশেষ এ নামাজে ইমামতি করেন কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী।

স্থানীয় পীর ও মাসায়েখদের আয়োজনে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তি সহ শত শত মুসল্লীরা এ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।

কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী বলেন, ইসতিসকার নামাজ বা (বৃষ্টির নামাজ) হল একটি সুন্নাহ নামাজ (ইসলামি প্রার্থনা) আল্লাহর কাছে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য।তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হলে নবিজির (সা.) অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরম, মাঠে ফসল ফলানো কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এ বিশেষ নামাজ। ইনশাআল্লাহ এ নামাজকে কেন্দ্র করে আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখবেন। আমিন।

;