‘পাইলট তৈরিতে ইউএস-বাংলার উদ্যোগ এভিয়েশন সেক্টরে মাইলফলক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পাইলট তৈরিতে ইউএস-বাংলার উদ্যোগ একটি মাইলফলক: বিমান প্রতিমন্ত্রী

পাইলট তৈরিতে ইউএস-বাংলার উদ্যোগ একটি মাইলফলক: বিমান প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পাইলট তৈরির জন্য ইউএস-বাংলার উদ্যোগ দেশের এভিয়েশন সেক্টরে মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

রোববার (২৮ মে) বিকেলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ১১ জন ক্যাডেট পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও প্যানপ্যাসিফিকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

২১ শিক্ষার্থীকে পাইলট বানাতে তাদের সব ধরনের খরচ বহন করে প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সেই ধারাবাহিকতায় ৩০ মে দ্বিতীয় ধাপে ১১ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

এর আগে গত ২ মে প্রথম ধাপে ১০ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করার পর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএসিপিএল) প্রাপ্ত হবেন তারা।

Caption

 

দীর্ঘ এক বছরের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানো হচ্ছে। দেশে ফিরে তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগদান করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন সেক্টরের উন্নতির জন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারিভাবেও এগিয়ে আসতে হবে। উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাইলটদের আমেরিকায় পাঠাতে ইউএস-বাংলার এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এভিয়েশন সেক্টরের জন্য একটি মাইলফলক। এমন পদক্ষেপের জন্য ইউএস-বাংলাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মেধাবী পাইলটরা বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা কম হওয়ার দিক থেকে আকাশ পথ সবচেয়ে নিরাপদ। তিনি উপস্থিত ট্রেইনি পাইলটদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা পাইলট হবেন তারা চাকরি জীবন থেকে শুরু করে অবসরে যাওয়ার পরও এ পেশার মর্যাদা ধরে রাখবেন। আপনাদের কোনো কার্যকলাপের জন্য যেন এ পেশা প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আমরা ইদানিং দেখতেছি নানান আলোচনা সমালোচনা আসছে। আপনাদের চলাফেরা, দায়িত্ব পালনে কোনোভাবে যেন সমালোচনা না হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন সেক্টরের এই বিপুল প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে এভিয়েশন শিল্পের প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের আরও বেশি সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। দক্ষ জনবলের এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আরও বেশি প্রশিক্ষিত নারী পাইলট গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান Next Generation Aviation Professionals (NGAP) শিক্ষাবৃত্তি” চালু করেছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ২০২২ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিজ খরচে পাইলট বানানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর নানা প্রক্রিয়ায় ৬ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে ২১ জনকে নির্বাচন করে তাদের ‘ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানোর যোগ্য’ বলে উল্লেখ করা হয়। বাছাই করা ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন তরুণ এবং একজন তরুণী।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের এপ্রিলে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রার্থী নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২১ জনকে বাছাই করা হয়। তারা ফ্লোরিডায় কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স ট্রেনিং শেষ করে দেশে ফিরবেন এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করবেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, শিক্ষার্থীদের পাইলট হওয়ার পূর্বশর্ত ছিল বিজ্ঞান বিভাগে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অথবা এ লেভেলে ন্যূনতম দুই বিষয়ে (গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান) গ্রেড-বি পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া। এছাড়াও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানের স্নাতকরাও আবেদন করেছেন। আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর ও উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবেদন করা শিক্ষার্থীদের আইকিউ টেস্ট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলার সিইও লে. ক. (অব.) মইনুল ইসলাম, বেবিচকের প্লানিং এ্যান্ড অপারেশন বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান, নভোএয়ার এর এমডি মফিজুর রহমান, ১১ ট্রেইনি পাইলট ছাড়াও তাদের অভিভাবক ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

   

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবিতে করেছে রাজশাহীর সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন দাবি তুলে ধরেন।

তারা বলেন, সরকারি কলেজগুলোতে মোট কর্মচারীর মধ্যে ৯৫ শতাংশ বেসরকারি কর্মচারী। এই সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশের প্রায় ৪০০টি সরকারি কলেজ ও ৩টি সরকারি মাদ্রাসায় বেসরকারি কর্মচারীরা বিগত ৫ থেকে ৩৫ বছর বা তারও অধিককাল ধরে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে। আমাদের মাসিক বেতন ৫০০০ থেকে ৯০০০ টাকা। এই অল্প বেতনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি। সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা পরিচালনাকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে জনবল নিয়োগ দেয়। কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোনো অগ্রাধিকার দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলী মোর্তুজা পনির।

আলী মোর্তুজা পনির বলেন, মাউশি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের একটি রিট মামলার নির্দেশনা মোতাবেক অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশ মানেননি। আমরা চাকুরি স্থায়ী করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৮ই নভেম্বর ২০২০ থেকে ২৬ শে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশের সরকারি কলেজ ও ৩টি মাদ্রাসায় কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি এবং অনশন কর্মসূচি পালন করি।

তিনি বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদেরকে চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর, সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতা প্রদান এবং অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের এই দাবিগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে বেসরকারি কর্মচারীরা চলমান নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবে।

তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরে আরও বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদেরকে চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতাদি প্রদান করতে হবে। বহুদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করাতে হবে ও কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এহসানুল কবীর, মনোয়ার হোসেন মনু, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সরদার, মহিলা সম্পাদক অঞ্জনা রাণী রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলফাজ উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, মো: আবুল কালাম আজাদসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দ।

;

পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম রংপুর
পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার 

পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার 

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে অঞ্চলে পাঁচ জেলায় রবি মৌসুমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দিবে কৃষি মন্ত্রণালয়। 

১০টি শস্য আবাদের জন্য এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমির জন্য উল্লেখিত বীজ ও সার পাবেন। এতে উপকৃত হবেন কৃষকরা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টা, পেঁয়াজ, সরিষা, গম, চীনাবাদাম, সূর্যমুখী, মসুর, সয়াবিন, মুগ ও খেসারি ডালের আবাদ বৃদ্ধিতে এই বীজ এবং সার বিনামূল্যে কৃষককে দেওয়া হবে। তবে যে জেলায় যেসব ফসলের আবাদ ভালো হয় সে জেলার কৃষককে ওই ফসলের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে। 

প্রণোদনা হিসেবে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ জন কৃষকের মধ্যে রংপুর জেলায় প্রণোদনা পাবেন ৪০ হাজার ১১০ জন কৃষক। গাইবান্ধায় ৩৮ হাজার ২০০ জন, কুড়িগ্রামে ৪৮ হাজার ৮২০ জন, লালমনিরহাটে পাবেন ২৬ হাজার ৯০০ জন এবং নীলফামারীতে প্রণোদনা পাবেন ২২ হাজার ৪৪০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।

তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে,  রংপুর জেলার কৃষকদের ভুট্টা, গম, সরিষা, চীনাবাদাম এবং শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে রবি মৌসুম। তবে কবে থেকে প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষককে দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘বিএডিসি (বীজ) কর্তৃপক্ষ আমাদের বীজ সরবরাহ করে। রবি মৌসুমেও তারাই বীজ সরবরাহ করবেন। সরিষার আবাদের সময় হয়ে গেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষককে বীজ দেওয়া হবে। বাকি বীজ পর্যায়ক্রমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

;

কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৫ সালে কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সার চাওয়ার অপরাধে কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিলেন আপনারা (বিএনপি), সেজন্য এখনও জাতির কাছে ক্ষমা চাননি, তারপরও ক্ষমতায় যেতে চান। 

হানিফ বলেন, আপনারা খুনির দল, হত্যাকারীর দল, কোন সাহসে আপনারা আবার ক্ষমতায় যেতে চান? এই সরকার জনগণের সরকার। আপনারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।

কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে থেকে আমরা বলতে চাই, কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্নীতিবাজ কোন মানুষের নেতৃত্বের সরকার মানুষ দেখতে চায় না। আপনাদের থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেটা আপনারা নিজেরাও দেখেছেন। আমেরিকার জরিপে দেখেছেন এখনো ৭০ ভাগ মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ১৯৯৫ ও ২০০৪ সালে নিহত হওয়াদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

;

সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বদরগঞ্জে পুজা মহন্ত (১৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মোবাইল ফোন থেকে সিমকার্ড খুলে নেওয়ার ক্ষোভে মা-বাবার ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুজা মহন্ত বদরগঞ্জ পৌরশহরের মমিননগর শাহাপাড়ায় সঞ্জয় মহন্তের মেয়ে। সে পার্বতীপুরের খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কিছুদিন থেকে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে পুজা। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতো। লেখাপড়া বাদ দিয়ে ফেসবুক নিয়ে আসক্ত না হওয়ার জন্য ভাই ও মা-বাবা তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুজা কারো কথা শোনতো না। 

এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার পুজার মোবাইল ফোন সেট থেকে সিম কার্ড খুলে নেয় পুজার বড় ভাই সাগর। এ নিয়ে পুজা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে দরজা বন্ধ করে পুজা ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। 

বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুজাকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাত আটটার দিকে পুজা মৃত্যু হয়।

সঞ্জয় মহন্ত বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে পুজা। জেদের বসে সে এমন কাণ্ড করে বসবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। এখন আমার সর্বনাশ হয়ে গেল।

বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পুজা নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

 

;