ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) কাছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্বের পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যক্রম ও সেবা প্রদান এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। এটা থামাতে হবে। আমাদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে সরকার আন্তরিক। বিআরটিএর সবসেবা একযোগে পেতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দেশবাসী সুফল পেতে শুরু করেছে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। আরও বেশি সচেতন ও সাবধান হতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের সবাইকে নিজ থেকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, সভায় অনেকে অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নেই। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে। এখানে বাস ও ট্রাক টার্মিনাল থাকাটা জরুরি। বাস ও ট্রাক টার্মিনাল করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
বিআরটিএ’র সেবা সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ এখন ঘরে বসে বিআরটিএ’র সেবা নিতে পারছেন। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ’র অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র একবার বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য গেলেই হবে।
সড়ক পরিবহণ ও সড়ক বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সওজের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের উপ সচিব (সমন্বয় ও প্রশিক্ষণ অধিশাখা) নীলিমা আফরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরে বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। একইভাবে সেবা কার্যক্রম নিয়ে সর্বশেষ অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় ও জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মালেক, বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁঞা ও চট্টগ্রাম বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপনক মো. জুলফিকার আলী।